চট্টগ্রাম মহানগরীকে বিশ্বমানে উন্নতি করার অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এসব সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে সিটি কর্পোরেশনের আয় বাড়াতে আইনের সঠিক প্রয়োগ ও সিটি কর্পোরেশন আইন সংশোধনের পরামর্শ দিয়েছেন চসিকের উন্নয়নে গঠিত পরামর্শক কমিটি। গতকাল শনিবার টাইগারপাস চসিক ভবনে কমিটির প্রথম সভায় এ পরামর্শ দেওয়া হয়। 

সভায় চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, চট্টগ্রামে বিনিয়োগের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল, চট্টগ্রাম থেকে ঘুনধুম পর্যন্ত রেললাইন যাচ্ছে। এ রেল লাইন পরবর্তীতে মিয়ানমার হয়ে চীনের সাথে যুক্ত হবে। তখন দেশের অর্থনীতির বিশাল স্বর্ণদুয়ার খুলে যাবে। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে এ শহরে সবচেয়ে সুবিধা ভোগ করছে চট্টগ্রাম বন্দর। একটি টেকসই অর্থনীতির জন্য উৎপাদনশীল বন্দর প্রয়োজন। আর উৎপাদনশীল বন্দরের জন্য একটি সচল শহর দরকার। তাই এই মহানগরীকে সচল রাখতে হবে।
পরামর্শক কমিটির প্রধান সাবেক মুখ্য সচিব ও পিকেএসএফ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল করিম বলেন, চট্টগ্রামের সন্তান হিসেবে এর সুখ-দুঃখ, সমস্যা ও সম্ভাবনার সাথে আমি পরিচিত। সম্ভাবনাগুলো কাজে লাগাতে পারলে চট্টগ্রাম একটি আন্তর্জাতিক মানের নগরীতে উন্নিত হবে। সে ব্যাপারে উপায় অন্বেষন করা জরুরি। চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মো. মোজাম্মেল হকের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন কমিটির সদস্য সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, দৈনিক আজাদী সম্পাদক এমএ মালেক, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর গৌতম বুদ্ধ দাশ, কমোডর (অব.) জোবায়ের আহমেদ, নগর পরিকল্পনাবিদ ও রাশিয়ার অনারারি কনসাল স্থপতি আশিক ইমরান, শিক্ষাবিদ হাসিনা জাকারিয়া, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সভাপতি প্রবীর কুমার সেন, বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি এমএ সালাম ও চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস। নান্দনিক, পরিবেশবান্ধব ও উন্নত নগরী গড়তে বিশিষ্টজনদের পরামর্শ নিতে ১৭ সদস্যের একটি পরামর্শক কমিটি গঠন করেন চসিক প্রশাসক।