Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চেন্নাইকে বাঁচাতে ফিরছেন রায়না!

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০৪ এএম

একদিকে একঝাঁক বুড়ো। অন্যপাশে প্রায় সব তরুণ। গত আইপিএল থেকেই চেন্নাই সুপার কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের খেলা হলে এই তুলনা চলে আসে। ২০১৯ আইপিএল পর্যন্ত তরুণদের ওপর বুড়োরাই রাজত্ব করেছে। গ্রুপ পর্বে দুইবারের দেখায় দুইবারই জিতেছে চেন্নাই, একবার চেন্নাইয়ের মাঠে, আরেকবার দিল্লির মাঠে। প্লে-অফে এসেও বড়রাই দেখিয়ে দিয়েছে অভিজ্ঞতার গুরুত্ব। এবারের আইপিএলে এসে গল্পটা কিছুটা পাল্টে গেল। পরশু দুবাইয়ে চেন্নাইকে গ্রুপ পর্বের প্রথম দেখায় হারিয়ে দিল দিল্লি!
আগে ব্যাট করে দিল্লি ব্যাটিং পাওয়ার প্লে-তে দ্রুত রান তোলেনি। কিন্তু মাঝের ওভারে ঠিকই চেন্নাইয়ের দুর্বলতার সুযোগ নিয়েছেন দুই ওপেনার পৃথ্বী শ ও শিখর ধাওয়ান। তিন পেসার দীপক চাহার, স্যাম কারেন ও জস হ্যাজেলউডের প্রথম স্পেলের পর দুই স্পিনার পীয‚ষ চাওলা ও রবীন্দ্র জাদেজার ওপর চড়াও হয়ে ওপেনিং জুটিতে ৯৪ রান যোগ করে শ-ধাওয়ান জুটি। শেষ পর্যন্ত পুরো ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয় এই ওপেনিং জুটিই। চাওলার স্পিনে রান করলেও তার বলেই আবার ৩৫ রানে ধাওয়ান আউট হন। দ্রুতই ৪৩ বলে ৬৪ রান করা পৃথ্বীও আউট হন। এরপর আবার পেসাররা বোলিংয়ে আসায় রান বাড়াতে পারেনি দিল্লি। ২০ ওভারে দিল্লির স্কোর থামে ৩ উইকেটে ১৭৫ রানে।
তাড়া করতে নেমে একেবারে লেজেগোবরে অবস্থা হয় চেন্নাইয়ের। মুরালি বিজয় ও শেন ওয়াটসন গত দুই ম্যাচের মতো আজও বল খরচা করে আউট হন। এরপর রান তাড়ার পুরো চাপটা এসে পড়ে তিনে নামা
ফাফ ডু প্লেসির ওপর। তিনিও সঙ্গীর অভাবে হাত খুলে খেলতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ১৫ ওভার যেতে না যেতেই আস্কিং রান রেট বাড়তে বাড়তে ১৫ ছুঁয়ে ফেলে। ততক্ষণে ম্যাচ দিল্লির পকেটে।
ডু প্লেসি করলেন ৩৫ বলে ৪৩ রান। বাকিরা ক্রিজে এসে বল নষ্ট করে আউট হয়ে গেলেন। চেন্নাই শেষ পর্যন্ত করে ৭ উইকেটে ১৩১। দিল্লি ম্যাচ জেতে ৪৪ রানে। কাগিসো রাবাদা ৪ ওভারে মাত্র ২৬ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
টানা দুই ম্যাচে হেরে মাত্র ২ পয়েন্ট নিয়ে আট দলের মধ্যে পাঁচে আছে তারা। চেন্নাইকে বিব্রত করছে হারের ধরনগুলো। এই দুই ম্যাচেই দলের হয়ে যা একটু ফাফ ডু প্লেসিই লড়েছেন। মিডল অর্ডারে দায়িত্ব নিয়ে খেলতে পারছেন না আর কেউ। মিডল অর্ডার দ্রুত রান তুলতে না পারায় স্লগ ওভারে লোয়ার মিডল অর্ডারের সামনে অসম্ভব সব লক্ষ্য এসে পড়ছে। প্রথম ম্যাচে ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলা আম্বাতি রাইডুর চোটে দলটির মিডল অর্ডারের কঙ্কাল বেরিয়ে পড়েছে। সে ফাঁক আড়াল করতে তাই শেষ প্রচেষ্টা হিসেবে সুরেশ রায়নাকে ফেরানোর চিন্তাভাবনা করছে তারা।
দলের সঙ্গে খেলার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতেও গিয়েছিলেন রায়না। কিন্তু পারিবারিক জীবনে ভয়াবহ এক বিপর্যয় নেমে এলে দলকে রেখে দেশে ফিরেছেন সদ্য জাতীয় দল থেকে অবসর নেওয়া ব্যাটসম্যান। প্রতি মৌসুমেই যার ব্যাট থেকে প্রায় চার শর ওপরে রান পাওয়া যায়, এমন ব্যাটসম্যানের অভাব প‚রণ করার মতো মিডল অর্ডার গড়তে পারেনি চেন্নাই। রায়না নিজেও ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তার এক ঘনিষ্ঠ সূত্র ইন্ডিস্পোর্টসকে বলেছেন, ‘এ দিকে (পারিবারিক ঝামেলা) সবকিছু সে গুছিয়ে এনেছে, এখন সিএসকে দলের সঙ্গে যোগ দিতে চায়।’ ভারতীয় অন্যান্য সংবাদমাধ্যমের খবর যদি সত্যি হয়ে থাকে, তবে খুব দ্রুত সংযুক্ত আরব আমিরাতে দেখা যাবে রায়নাকে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডও বলে দিয়েছে, যদি চেন্নাই চায়, তাহলে রায়নাকে খেলতে দিতে কোনো বাধা নেই তাদের পক্ষ থেকে।
তবে আইপিএলের জন্য উড়াল দিলেই রায়নাকে পাবে না চেন্নাই। ভারতীয় বোর্ড এটাও জানিয়ে দিয়েছে, যেহেতু আবার নতুন করে দলের সঙ্গে যোগ হবেন রায়না, তাঁকে নির্দিষ্ট সময় কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। অর্থাৎ রায়না আমিরাতে পা রাখার পর অন্তত ৭-৮ দিন অপেক্ষা করতে হবে চেন্নাইকে। ধোনিদের জন্য খুশির সংবাদ, চতুর্থ ম্যাচের আগে ছয় দিন ফাঁকা পাচ্ছেন তারা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চেন্নাই


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ