Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ফিলিস্তিনে ফাতাহ-হামাস ঐকমত্য

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১০:০২ এএম

কয়েকটি আরব রাষ্ট্রের নির্লজ্জ কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে ফাতাহ ও হামাস। আর তারা এখন থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন যৌথভাবে করবে বলে অঙ্গিকার করেছে। শান্তি প্রতিষ্ঠায় ফিলিস্তিনে জাতীয় নির্বাচনের ব্যাপারে ঐক্যে পৌঁছেছে।
জানা যায়, ফিলিস্তিনের প্রধান দুই পক্ষ ফাতাহ ও হামাস জানিয়েছে যে, প্রায় পনেরো বছরের মধ্যে প্রথম কোনো নির্বাচন নিয়ে তারা ঐক্য পৌঁছেছে। আলজাজিরার খবর।

এর ফলে পশ্চিম তীরের ফাতাহ ও ফিলিস্তিন সরকার (পিএ) প্রধান মাহমুদ আব্বাস এবং গাজার সরকার হামাসের প্রধান রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়ার মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে চলেছে।

তুরস্কে দুই পক্ষের মধ্যে এই সমঝোতা হয়। চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হওয়ার ছয় মাসের মধ্যে ফিলিস্তিনে একটি একক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

বৃহস্পতিবার ফাতাহের শীর্ষ কর্মকর্তা জিবরিল রাজুব বলেন, এ চুক্তির ফলে আমরা একমত হয়েছি যে, শুরুতে আইনসভা নির্বাচন হবে, এরপর পিএ'র প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে এবং সর্বশেষ প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল গঠন করা হবে।

২০০৬ সালে সর্বশেষ দেশটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ভূমিধস বিজয় অর্জন করেছিল হামাস। তবে ফাতাহর সঙ্গে ক্ষমতার দ্বন্দ্বে কেন্দ্রীয়ভাবে সরকার গঠন করতে না পেরে গাজা নিয়ন্ত্রণ নেয় ফিলিস্তিনি মুক্তি আন্দোলনের দলটি।

হামাসের শীর্ষ কর্মকর্তা সালেহ আল-আরুরি জানান যে, তুরস্কের সহায়তায় সমঝোতায় পৌঁছেছে দুই পক্ষ। তিনি বলেন, সত্যিকার অর্থে আমরা ঐকমত্য হয়েছি। এই বিভক্ত আমাদের জাতীয়ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং এর অবসানের জন্য আমরা কাজ করছি।

সম্প্রতি ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চুক্তির পর ফিলিস্তিনের ১৪টি রাজনৈতিক দল নিজেদের মধ্যে মতবিরোধ মেটাতে আগ্রহ প্রকাশ করে।

এর মধ্যে প্রধান দুইটি দল হামাস-ফাতাহসহ নিজেদের মধ্যে সমঝোতার জন্য তুরস্কের প্রতি আহ্বান জানায়। সোমবার ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোয়ানকে ফোন করে এ ব্যাপারে তার সহায়তা চান

ইসরায়েলের সঙ্গে আরব রাষ্ট্রগুলোর চুক্তির পর আঙ্কারার প্রতিক্রিয়া দেখায় এবং কড়া সমালোচনা করে।

এ ছাড়া ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসনে সৌদি আরব ও আমিরাত অধিকাংশ ক্ষেত্রে চুপ থাকলেও এরদোয়ান ছিলেন বরাবরই সরব।

ফলে এরদোয়ানের সঙ্গে আব্বাসের মধ্যে সম্পর্কে দূরত্ব থাকলেও ফিলিস্তিন সরকার আঙ্কারার ওপর ভরসা করে।



 

Show all comments
  • Ibrahim ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১১:০৭ এএম says : 0
    আল্লাহ আমাদের সাথে আছেন
    Total Reply(0) Reply
  • a aman ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৮:৩৪ পিএম says : 0
    Just do it , idiots can not leave in harmony even when you are about to ocuupy or killed by israel. Always remeber muslims --- Unity make you strong
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফিলিস্তিন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ