Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোয় পারাপার ভোগান্তি চরমে

আমানত উল্যাহ, রামগতি (লক্ষ্মীপুর) থেকে : | প্রকাশের সময় : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০৪ এএম

লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের দিনামাঝির খেয়া নামক স্থানে ভ‚লুয়া নদীর উপর ব্রিজ নেই। নদীটির ওপর নির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ দিয়ে যাতায়াত করছেন প্রায় ২০ হাজার মানুষ। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয় এলাকাবাসীর। মো. আজিজুল হক নামের এক ভুক্তভোগী বলেন, নির্বাচন এলেই এলাকার জনপ্রতিনিধিরা এখানে সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রæতি দেন। ভোটে পাস করার পর আর প্রতিশ্রæতির কথা মনে থাকে না। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের পশ্চিম কলাকোপা গ্রামের ভ‚লুয়া নদীর ওপর দিনামাঝির খেয়া নামক স্থানে একটি ব্রিজের অভাবে ২০ হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করছেন। প্রায় ২শ’ ফুট দৈর্ঘ্যের বাঁশের সাঁকোটি উঁচু-নিচু অবস্থায় আছে। মানুষ যাতায়াত করলে এটি দোলে। স্থানীয় ভুক্তভোগী আলী আরশাদ, আব্দুল গণী, আব্দুল মতিন, ও মুশাররাফ হোসেন মুশু বলেন বাদামতলি,বটতলি, জুগিগো সমাজ, চরকাদিরা ও চরবাদাম ইউনিয়নের ২০ হাজার লোকের যাতায়াত এই সাঁকো দিয়ে। প্রায় ৩০ বছর ধরে ভ‚লুয়া নদীর ওপর সেতু নেই। নদীটির ওপর নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে গ্রামের ২০ হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে।
এলাকাবাসী সূত্র জানায়, প্রায় ৩০ বছর ধরে এলাকাবাসীর চাঁদায় নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে ওই নদী পারাপার হয় পথচারীরা। প্রতিদিন এ পথ দিয়ে বটতলী, বাদামতলি, জুগিগো সমাজ, ভ‚লুয়া বাজার কেরামতিয়া বাজার, জমিদারহাট, আলেকজান্ডার, রামগতি থানা, পার্শ্ববর্তী কমলনগর থানা, ফজুমিয়ারহাট ও হাজিরহাটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতের একমাত্র পথ এই সাঁকো। যার কারণে এ এলাকার জনগণরা ঝুঁকি নিয়েই যাতাযাত করছে। সাঁকোটির পাশেই হাজীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ও চরজগবন্দু সফিগঞ্জ দাখিল মাদরাাসা। প্রতি সপ্তাহের হাট বাজারে আশা যাওয়া করতে দুর্ভোগের শিকার হন এলাকাবাসী। দূর-দূরান্ত থেকে বিভিন্ন ধরনের কৃষি পণ্য ধান গম ও সবজি নিয়ে এসে কৃষকরা সাঁকো পার হতে ভোগান্তির শিকার হন। সঙ্গে গুণতে হয় অতিরিক্ত টাকা। শিক্ষার্থীদের ঝুঁকি নিয়ে নদীর এপার-ওপারে যেতে হয়। যান চলাচলের ব্যবস্থা না থাকায় অসুস্থ মানুষকে জেলা শহরে নিয়ে আসতে দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।
রহিমা খাতুন (৬০) বলেন, আমি কোনো সময় এই সাঁকো দিয়ে হেঁটে যেতে পারিনি। ভয়ে সব সময় বসে বসে পার হই। একদিন সাঁকো থেকে নিচে পড়ে গিয়েছিলাম। শিক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম ও মিজানুর রহমান বলেন, সাঁকো পার হয়ে স্কুলে যেতে হয়। অনেক সময় আশা যাওয়ার সময় পানিতে পড়ে যায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুস শহীদ বলেন, এই নদীর উপর একটি ব্রিজ খুব জরুরি। বিষয়টি নিয়ে অনেকবার সংশ্লিষ্টদের নিকট ধরনা দিয়েও কোনো লাভ হয়নি।
চরবাদাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন জসিম বলেন, সেতু নির্মাণের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরে (এলজিইডি) আবেদন করা হয়েছে। আশাকরি খুব শিগগিরই এর একটা ফল পাওয়া যাবে। রামগতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল মোমিন বলেন, এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পারাপার

২০ জানুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ