Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার দাবি বিএনপির

খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়া

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:৫৮ এএম

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার দাবি জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, তিনি দারুণভাবে অসুস্থ, দেশ-বিদেশের সবাই তা জানেন। তাঁর সুচিকিৎসা প্রয়োজন, এ নিয়েও কারো মনে কোনও দ্ব›দ্ব নেই। এই কোভিড-১৯ চলাকালে যখন বিমান পরিবহন বন্ধ ও কেউ কারও সাথে দেখা করতে পারে না। সেরকম সময় তাঁকে বাসায় থাকার অনুমতি দেয়া হয়েছে। বাসায় থাকার ফলে অন্তত উনার মানসিক কষ্টটা কিছুটা কমেছে। কিন্তু তাঁর সুচিকিৎসার বিষয়টি যেটা শুধু মানবিক না নৈতিক ও জনগণের দাবি। কেউ একজন অসুস্থ হলে সুচিকিৎসা হওয়া দরকার। এ কারণে যদি প্রয়োজনে দেশের বাহিরে যেতে চান তবে বাহিরে যেতে পারেন, এ ব্যাপারে যে আবেদনটা করা হয়েছে তা গ্রহণ করা হয়নি। সেজন্য আমরা আমাদের দলের পক্ষ থেকে বলবো, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য বিদেশে যাওয়ার এ নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হোক।

গতকাল সোমবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে নবগঠিত স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন।

নজরুল ইসলাম বলেন, বেগম জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্থতা কামনা করেছেন স্বেচ্ছাসেবক দল। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে, আগামী দিনের লড়াই-সংগ্রামে তারা সামনের কাতারে থেকে লড়াই করার শপথ নিয়েছে। আমরা দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই, যাতে স্বেচ্ছাসেবক দল তাদের যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে পারে।

তথ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া শুধুমাত্র তিনবারের প্রধানমন্ত্রীই নন, তিনি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের নেত্রী। যে গণতন্ত্র স্বাধীনতার মূল চেতনা। অর্থ্যাৎ স্বাধীনতার চেতনা পুনরুদ্ধারকারী নেত্রী তিনি। এদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিনা চিকিৎসায় অকালে দুনিয়া থেকে চলে যাওয়ার ব্যবস্থা করার অধিকার কারোর নেই। সেজন্য আমরা তথ্যমন্ত্রীকে বলবো, খালেদা জিয়ার মুক্তি কিংবা কারাবন্দির সাথে অন্যকিছুকে যুক্ত করাটা ঠিক হবে না। কারণ এটা অসুস্থতার বিষয়, চিকিৎসার বিষয়, রাজনৈতিক বিষয় না। তাই আমাদের রাজনীতির সাথে তাঁর সুচিকিৎসা এক করাটা এক ধরনের অপরাধ।’

খালেদা জিয়ার কারাদন্ড নিয়ে তথ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘এর আগেও যিনি তথ্যমন্ত্রী ছিলেন এবং এখন যিনি আছেন উনারা হলেন জিয়া পরিবারের সমালোচনাবিষয়ক মন্ত্রী। কারণ তাদের কাজের বিষয়ে তারা যতটুকু কথা বলেন তার চেয়ে বেশি কথা বলেন শহীদ জিয়ার বিপক্ষে, বেগম খালেদা জিয়ার বিপক্ষে এবং তারেক রহমানের বিপক্ষে। মনে হয় যেন এটাই তাদের মন্ত্রণালয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফাত আলী সপু, সেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল ও সিনিয়র সহ-সভাপতি গোলাম সরোয়ার, আনু মোহাম্মদ শামীম আজাদ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদরেজ জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াছিন আলী, সহ-সাধারণ সম্পাদক কাজী ইফতেখায়রুজ্জামান প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিএনপি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ