Inqilab Logo

সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ভারতের সাথে বিতর্কিত অঞ্চলকে বই, মুদ্রায় চিত্রিত করলো নেপাল

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০২ এএম

ভারত অধিকৃত উত্তরাখন্ডের পিথোরাগড়ের তিনটি অঞ্চলকে নিজস্ব হিসাবে চিহ্নিত করে একটি নতুন রাজনৈতিক মানচিত্র অনুমোদনের তিন মাস পরে এবার নেপাল শিক্ষাগত পাঠ্যক্রম এবং মুদ্রা পরিবর্তন করে, সেখানেও জায়গাগুলোকে অর্ন্তভ‚ক্ত করলো।

নেপালের শিক্ষামন্ত্রী গিরিজ মণি পোখরেলের কার্যালয় শুক্রবার এই তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছে যে, উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠ্যক্রমে নতুন ‘নেপালের ভ‚গোল ও আঞ্চলিক সীমানা’ অর্ন্তভ‚ক্ত করা হয়েছে। ভ‚মিকাটি লিখেছেন পোখরেল নিজেই। বইটিতে উত্তরাখন্ডের কলাপানির বিতর্কিত এলাকাটি নেপালের অঞ্চল হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। একটি সূত্র বলেছে যে, এতে নেপালের ভৌগলিক আয়তন বলা হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৬৪১ দশমিক ২৮ বর্গকিলোমিটার, যার মধ্যে ৪৬০ বর্গ কিমি হচ্ছে কালাপানি এলাকা।

একই দিন, প্রধানমন্ত্রী কে পি অলির নেতৃত্বে নেপাল মন্ত্রিসভাও দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক নেপালের রাষ্ট্র ব্যাংককে এক ও দুই টাকার নতুন মুদ্রায় নেপালের নতুন রাজনৈতিক মানচিত্র ছাপানোর অনুমতি দিয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, নেপাল সরকারের মুখপাত্র এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ জ্ঞাওয়ালি এই ঘোষণা দিয়েছেন। নতুন মুদ্রাগুলি নেপালের একটি প্রধান উৎসব হিসাবে উদযাপিত দশেরা (সেখানে দাশাইন নামে পরিচিত) উপলক্ষে বাজারে ছাড়া হবে।
গত বছরের নভেম্বরে, ভারতের কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের পিথোরাগড়ের মূল লিপুলেখ সড়কের উদ্বোধনের বিরুদ্ধে নেপাল প্রতিবাদ জানিয়েছিল এবং অভিযোগ করেছিল যে, এই সড়কের একটি অংশ নেপালের ভূখন্ডের মধ্য দিয়ে গেছে। লিম্পিয়াধুরা, লিপুলেখ এবং কালাপাণি - তিনটি ক্ষেত্র নিয়ে বিতর্কের পরে - নেপালের সংসদ এলাকাগুলোকে তাদের ভূমির অংশ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করতে দেশের মানচিত্র আপডেট করার জন্য সংবিধান সংশোধনের পক্ষে সর্বসম্মতভাবে ভোট দিয়েছিল। এরপরে সরকার ঘোষণা করেছিল যে, সমস্ত নথিই নতুন মানচিত্রটি ব্যবহার শুরু করবে। সে অনুযায়ী মানচিত্রের পরিচয় ‘সম্পূর্ণ আইনী’ করতে স্কুলের বই এবং কয়েনগুলোতে এটি অর্ন্তভ‚ক্ত করা হয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, নেপাল সরকার দূতাবাসগুলোতে নতুন মানচিত্র জারির প্রক্রিয়া শুরু করেছে এবং সরকারী গেজেটেও তা প্রবর্তন করছে।

এরই মধ্যে নেপালের অনেক বিশেষজ্ঞই বলেছিলেন যে, এই রেজোলিউশনের প্রয়োজনীয়তা দিনের পর দিন আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও ক‚টনীতি বিভাগের প্রধান খড়গা কেসি বলেন, ‘গত কয়েকমাস ধরে দুই দেশের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। তবে, নেপালের নতুন মানচিত্র প্রবর্তন করা দেশটির একটি সার্বভৌম সিদ্ধান্ত।’ তিনি বলেন, ‘তবে আমি বিশ্বাস করি যে বিষয়গুলি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা উচিত এবং এর সমাধান অবশ্যই পাওয়া উচিত।’ সূত্র : টিওআই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ