পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পদ্মাসেতুর রেল সংযোগ প্রকল্প ‘রি ডিজাইন’ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ত্রæটি সংশোধনের জন্য রেলের গার্ডার সরিয়ে ফেলতে হবে। সড়কের সঙ্গে রেললাইনের হেডরুম উচ্চতা কমপক্ষে ৫ দশমিক ৭ মিটার করে নতুন ডিজাইন আগামী সপ্তাহে জমা দেবে রেলওয়ে।
পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ লাইন নির্মাণে ত্রুটি ধরা পড়ায় তার সমাধান পদ্ধতি নিয়ে পদ্মা সেতুর মাওয়া এবং জাজিরা প্রান্ত পরিদর্শন করেন সেতু সচিব মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন ও রেল সচিব মো. সেলিম রেজা। গতকাল শুক্রবার সকালে মাওয়া প্রান্তের দোগাছিস্থ সার্ভিস এরিয়া-১ এর সভাকক্ষে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন পদ্মা সেতু প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) এবং পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
সেতু সচিব বেলায়েত হোসেন জানান, আগামী সপ্তাহে রেলওয়ে রি-ডিজাইন জমা দেওয়ার কথা। রেলসংযোগ প্রকল্পের এই ভুলটি দ্রুত সমাধান হবে বলে মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, আমি ও রেল সচিব সেতুর উপর উঠে রোডওয়ে ও রেলওয়ে ডেক বসানোর কাজ পরিদর্শন করেছি। সেতুর ২ কিলোমিটার পর্যন্ত ডেক বসানো শেষ হয়েছে। আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি ১০টি স্প্যান বসানো সম্ভব হবে। আগামী বছরের ডিসেম্বরে সেতুর সব কাজ শেষ করে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের হেডরুম উচ্চতার ত্রুটি নিয়ে ধরা পড়লে রেলওয়ের কাজে আপত্তি জানায় বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে দ্রæত সমাধানের তাগিদ আসে। মন্ত্রিপরিষদ সচিবের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বিষয়টি অবগত হন। এরপর সমাধান খোঁজা শুরু হয়। তার অংশ হিসেবে গতকাল শুক্রবার সরেজমিন পরিদর্শন করেন রেল সচিব, সেতু সচিব, পদ্মা রেলসংযোগ ও মূলসেতু প্রকল্পের দুই পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, পদ্মা রেলসংযোগ প্রকল্পের ভুল সমাধান ইঞ্জিনিয়ারিং প্রক্রিয়ায় হচ্ছে। এ জন্য বর্তমান যে গার্ডার আছে তার পরিবর্তন করবে রেলওয়ে। সড়ক থেকে রেল লাইনের উচ্চতার যে স্ট্যান্ডার্ড আছে সেটি অনুসরণ করতেই এটা করা হবে। মূল পদ্মাসেতুর ভেতরে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ কাজ করছে সেতু কর্তৃপক্ষ। এর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি। তবে সমস্যা তৈরি হয়েছে সেতুর দুই পাড়ের রেললাইন নিয়ে, যা ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত এবং মাওয়া থেকে পদ্মাসেতু হয়ে ওই পারের জাজিরা থেকে ভাঙা পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি পদ্মা রেল লিংক প্রকল্প নামে পরিচিত, যার কাজ করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে গ্রুপ।
পদ্মাসেতু সূত্র জানায়, সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। দুই পাশের কিছু অংশে রেললাইন ওপর দিয়ে গেছে। এসব জায়গায় হেডরুম যে উচ্চতায় দেওয়ার কথা, সেটি দেয়নি রেলওয়ে। এ অবস্থায় সেতুতে ওঠানামা করতে পারবে না বড় ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান।
হরিজন্টাল ও ভার্টিক্যাল দুটো দিকেই রেলওয়ের কাজে আপত্তি দেওয়া হয়েছে। দেশের সড়কপথের হেডরুম স্ট্যান্ডার্ড হলো, হরিজন্টাল ১৫ মিটার, ভার্টিক্যাল ৫ দশমিক ৭ মিটার, যা এখানে মানা হয়নি। এ অবস্থায় সেতুতে ট্রাক কাভার্ড ভ্যানও দুই তলা বাস যেতে পারবে না। দেশে মহাসড়কগুলোতে নিয়ম অনুযায়ী হেডরুম উচ্চতা রাখতে হয় সর্বনিম্ন ৫ দশমিক ৭ মিটার। কিন্তু পদ্মা রেললিংক প্রকল্পে মাত্র ৪ দশমিক ৮ মিটার উচ্চতা দেওয়ায় এ সমস্যা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।