বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় শিশু পুত্র কন্যার সামনে দা’য়ের কোপে স্ত্রীকে খুনের পর থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন এক আওয়ামী লীগ নেতা। নুসরাত শারমিনকে (৩০) কুপিয়ে মারাত্মক আহত করেন স্বামী আবদুর রহিম (৩৮) । এরপর নিজেই ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশের নিকট ধরা দেন।
উদ্ধার করা হয়েছে ঘটনায় ব্যবহৃত দা’টি। বৃহস্পতিবার রাতে চমেক হাসপাতালে নুসরাত মারা যান। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার ঢেমশা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড উত্তর ঢেমশা মরহুম আবেদীনের বাড়ির পার্শ্ববর্তী প্রবাসী জসিম উদ্দীনের ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। স্বামী আবদুর রহিম বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢেমশা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সিকদার পাড়ার ডা. নুরুল আমিনের বাড়ির মরহুম রমজু মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে বাপের বাড়ি সাতকানিয়া পৌরসভার গোয়াজর পাড়া থেকে স্বামীর বাসায় আসেন গৃহবধু নুসরাত শারমিন। সাথে তার ভাইও আসে। পরে ভাই চলে গেলে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ার এক পর্যায়ে ঘরে থাকা দা দিয়ে স্ত্রীকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন স্বামী রহিম।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান দুপুরে বাপের বাড়ি থেকে আসার পর স্বামী-স্ত্রী ও দুই ছেলে মেয়ে বাসায় ছিলেন। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ার এক পর্যায়ে ৩টি শব্দ শোনা যায়। এর পর বড় ছেলে কান্নাকাটি শুরু করলে তাকে নিয়ে বাসা তালাবদ্ধ করে পার্শ্ববর্তী বোনের বাড়িতে ছেলেকে রেখে আসেন স্বামী। কিছুক্ষণ পর আবারও এসে দরজা খুলে ছোট মেয়েকে নিয়ে বাসা তালাবদ্ধ করে বের হয়ে বোনের বাড়ি চলে যান রহিম। প্রায় আধঘন্টা পর বাসার সামনে পুলিশ আসে। পরে বাসার তালা খুলে পুলিশ গৃহবধুকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। বাসা রক্তে ভেসে গেছে। ওই মহিলার মাথার পেছনে ও গলায় দা’য়ের আঘাত দেখা গেছে।
প্রতিবেশীরা জানান ৩ মাস আগে রহিম পরিবার নিয়ে এ বাসায় উঠেন। প্রায় সময় রহিম তাদের বাসার ভেতর তালাবদ্ধ করে রাখতেন। তিনি বাসা থেকে বের হলে স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েদের বাসার বাইরে তালাবদ্ধ করে চলে যেতেন।
৬-৭ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। ৪ বছর আগে স্ত্রী নিয়ে রোয়াংছড়িতে বসবাস শুরু করেন। করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর থেকে বাড়িতে চলে আসেন। তার দুই বছরের এক ছেলে ও ৩ মাসের এক মেয়ে রয়েছে। একসময় ইন্সুরেন্স কোম্পানীতেও চাকরি করতেন রহিম।
সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, স্বামীর দায়ের কোপের আঘাতে গুরুতর জখম স্ত্রী চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতেই মারা গেছেন। এ ঘটনায় ঘাতক স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আলামত হিসেবে ঘটনায় ব্যবহৃত দা’টি উদ্ধার করা হয়েছে।
ওসি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বামী বলেন চারিত্রিক সমস্যা থাকার কারণে তাকে দা দিয়ে কোপানো হয়েছে। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদে সে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।