পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
পাকিস্তানের নতুন মানচিত্রের ব্যাপারে ইসলামাবাদের অবস্থানকে সমর্থন করে রাশিয়া। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. মুইদ ইউসুফ বুধবার এ কথা বলেছেন। তিনি বলেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব ও আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এই মানচিত্র তৈরি করা হয়েছে। ইসলামাবাদে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, মঙ্গলবার সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের বৈঠক পাকিস্তানের নতুন রাজনৈতিক মানচিত্র প্রদর্শনের ব্যাপারে ভারতের আপত্তি প্রত্যাখ্যান করেছে। ড. ইউসুফ বলেন, পাকিস্তান এসসিও বৈঠকে গর্বের সঙ্গে রাজনৈতিক মানচিত্র প্রদর্শন করেছে। সদস্য দেশগুলো ভারতের আপত্তিকে প্রত্যাখ্যান করে। এমনকি রাশিয়াও এই ইস্যুতে পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো। তিনি জানান, স্বাগতিক দেশ রাশিয়া তিন দিন আগে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোকে তাদের কারিগরি দিক পরীক্ষা করে নিতে বলে। ১১ সেপ্টেম্বর এই কারিগরি পরীক্ষার সময়, পাকিস্তানের মিটিং রুমের দেয়ালে নতুন মানচিত্র আঁকা থাকা নিয়ে ভারত আপত্তি জানায়। উপদেষ্টা বলেন যে ভারত রাশিয়ার কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করে। পাকিস্তানের মানচিত্রে ভারতের অবৈধ দখল করা জম্মু-কাশ্মীর দেখানোর কারণে প্রতিবাদ জানায় তারা। এরপর রাশিয়া পাকিস্তানকে জানায় যে ভারত চায় ভার্চুয়াল সেশনে পাকিস্তানের পতাকাটি যেন না দেখানো হয়। এই অভিযোগের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় রাশিয়াকে বলে, গত ৫ আগস্ট উদ্বোধন করা এই মানচিত্রে আমাদের বৈধ অধিকার প্রদর্শিত হয়েছে এবং নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবগুলো মেনে এটা তৈরি। এই মানচিত্র সরিয়ে নেয়ার প্রশ্নই ওঠে না। ড. ইউসুফ বলেন, পাকিস্তান সুষ্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে কাশ্মীর কখনোই ভারতের অংশ ছিলো না এবং কখনো হবেও না। তিনি বরেন, আমরা এসসিও সদস্যদের মনে করিয়ে দিয়েছি, ভারত জাতিসংঘ সনদ লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের মর্যাদা পরিবর্তনের চেষ্টা করছে। বৈঠক থেকে ভারতীয় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের ওয়াক আউটের সমালোচনা করে ড. ইউসুফ বলেন, এসসিও পাকিস্তানের মানচিত্র নিয়ে আপত্তি উত্থাপনের সঠিক ফোরম নয়। কারণ এই ফোরাম বহুপক্ষীয় ইস্যু নিয়ে কাজ করে, কোন দ্বিপাক্ষিক ইস্যু নিয়ে নয়। এই ফোরাম হলো সহযোগিতা ও জড়িত হওয়ার। এপিপি, এসএএম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।