পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন ও জীবনমানের মারাত্মক অবনতির ফলে লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে তীব্র হয়েছে বিক্ষোভ। এর ফলে সেখানে বিদ্রোহী সরকারের কমান্ডার খলিফা হাফতারের সঙ্গে মিত্রতা আছে এমন অন্তর্বর্তী সরকার পদত্যাগ করেছে। তাবুক ভিত্তিক হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের (এইচওআর) মুখপাত্র এজেল-দিন আল ফালিহ বলেছেন, এই সরকারের প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লাহ আল থানি তার পদত্যাগপত্র রোববার দিনশেষে স্পিকার আগুইলা সালেহর কাছে জমা দিয়েছেন। পার্লামেন্টের মুখপাত্র আবদাল্লাহ আবাইহিগ বলেছেন, এখন এইচওআরের আইনজীবীরা আল থানি সরকারের জমা দেয়া এই পদত্যাগপত্র পর্যালোচনা করবে। উল্লেখ্য, আল থানি সরকার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নয়। কবে ওই পর্যালোচনা বৈঠক বসবে সে বিষয়েও কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। ততদিন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আবদাল্লাহ আল থানি দায়িত্বে অব্যাহত থাকবেন কিনা তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল-জাজিরা। তেলসমৃদ্ধ দেশ লিবিয়া। ২০১১ সালে দীর্ঘদিনের শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত করে ন্যাটো বাহিনী। তখন থেকেই দেশটি টালমাটাল হয়ে পড়েছে। কোথাও কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। কেউ কারো কথা শুনছে না। এক এক এলাকা শাসন করছে এক এক সরকার। মুলত তখন থেকেই লিবিয়া দুটি অংশে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। একটি অংশের নাম হয়েছে পূর্বাঞ্চলীয় প্রশাসন। আরেকটি অংশ হয়েছে পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রশাসন। পূর্বাঞ্চলীয় সরকারকে সমর্থন করছে সশস্ত্র গ্রæপগুলো। এর নেতৃত্বে রয়েছেন কমান্ডার খলিফা হাফতার। অন্যদিকে পশ্চিমাঞ্চলে ক্ষমতায় রয়েছেন বিদেশী সমর্থিত সরকার। এই সরকারকে গভর্নমেন্ট অব ন্যাশনাল একর্ডের (জিএনএ) বলে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। তাদের কাছ থেকে রাজধানী ত্রিপোলির নিয়ন্ত্রণ নেয়ার জন্য ১৪ মাস ধরে তীব্র চেষ্টা চালিয়ে যায় হাফতার বাহিনী। জুনে তারা অনেকটা কাছে চলে আসে। বর্তমানে তারা সিরতে শহরের কাছাকাছি অবস্থান করছে। শুক্রবার এইচওআর অভিযোগ করে যে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং জিএনএ সরকার দেশকে লুণ্ঠন করছে। পূর্বাঞ্চলকে তারা অবজ্ঞা করছে। জনসেবায় অবনতির অভিযোগে তাদেরকে অভিযুক্ত করে। কয়েক দিনে শত শত মানুষ বেনগাজি ও অন্যান্য পূর্বাঞ্চলীয় শহরে বিক্ষোভ করছে। ভয়াবহ বিদ্যুত সংকট ও নাজুক জীবনযাপনের বিরুদ্ধে তাদের এই বিক্ষোভ। এ সময় তারা গাড়ির টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে, ট্রাফিক পয়েন্টগুলোতে অবরোধ সৃষ্টি করে অচল করে তোলে সবকিছু। শনিবার বিক্ষোভ দেখা দেয়া খলিফা হাফতারের শক্তিশালী ঘাঁটি আল মারজ-এ। এক বিবৃতিতে ইউনাইটেড নেশনস সাপোর্ট মিশন ইন লিবিয়া (ইউএনএসএমআইএল) বলেছে, বিক্ষোভে কমপক্ষে একজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন তিনজন। জনগণের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক তদন্তের আহŸান জানিয়েছে ইউএনএসএমআইএল। স¤প্রতি একই রকম বিক্ষোভ দেখা দেয় লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে। সেখানে ত্রিপোলির দুর্নীতির প্রতিবাদ জানানো হয়। বিক্ষোভ হয় পশ্চিমা বেশ কিছু শহরে। আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।