২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
হেপাটাইটিস এর প্রকারভেদ এবং লিভা : হেপাটাইটিস মানে লিভারের প্রদাহ। এটি বিভিন্ন ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট হতে পারে। হেপাটাইটিস ভাইরাসের প্রধান টাইপ হলো অ, ই, এর ঈ, অ টাইপ হেপাটাইটিস এর উপসর্গ স্টোমাকের ভাইরাসের অনুরূপ, অধিকাংশ ক্ষেত্রে ১ মাসের মধ্যে সেরে যায়। হেপাটাইটিস ই ও ঈ এর কারণে হঠাৎ করে অসুস্থ হতে পারে। হেপাটাইটিস ই ও ঈ এর কারণে লিভার ক্যান্সার বা গুরুতর ক্রণিক ইনফেকশনের কারণে লিভার সিরোসিসও হতে পারে।
দূষণের মাধ্যমে হেপাটাইটিস ছড়ায়
হেপাটাইটিস অ আক্রান্ত ব্যক্তির মল দ্বারা দূষিত খাবার ও পানীয় এর মাধ্যমে ছড়ায়। এছাড়াও হেপাটাইটিস আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে ঘনিষ্ঠ মেলামেশার মাধ্যমে আক্রান্ত হতে পারেন, উদাহারণ স্বরূপ- ডায়াপার পরিবর্তন বা যৌন যোগাযোগর মাধ্যমে। অস্বাস্থ্যকর পয়ঃনিষ্কাষণ ব্যবস্থা বা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি বেড়ে যায়। হেপাটাইটিস ই এবং ঈ প্রধানতঃ সংক্রামিত ব্লাড, বীর্য বা শরীরের অন্যান্য তরল পদার্থের মাধ্যমে ছড়ায়।
হেপাটাইটিস অ ঝুঁকি: খাদ্য বা পানীয় জলের মাধ্যমে
হেপাটাইটিস অ দূষিত তাজা ফল, সবজি এবং সালাদের মাধ্যমে এর প্রদুর্ভাব দেখা যায়। খোশা ছাড়ানোর আগে বা খাদ্য গ্রহণের পূর্বে খাবার ভালভাবে ধুয়ে নিন। দূষিত পানি পান করেও আপনি হেপাটাইটিসে আক্রান্ত হতে পারেন। ট্যাপের পানি পান করার পূর্বে অবশ্যই সিদ্ধ করে নিতে হবে। ঘরের বাহিরে বোতলজাত পানি পান এবং বরফ এড়িয়ে চলা যদি তা বিশুদ্ধ পানি দিয়ে তৈরি না করা হয়। হেপাটাইটিস অ ও ই এর ভ্যাকসিন রয়েছে।
অপরিষ্কার হাত
হেপাটাইটিস অ দেহের বাহির একমাস টিকে থাকতে পারে। সবসময় ভাল স্বাস্থ্যবিধি- টয়লেট ব্যবহার, ডায়াপার পরিবর্তন এর পর এবং খাদ্য নাড়া চাড়া বা খাবার গ্রহণের পূর্বে অবশ্যই সাবান পানি বা জীবাণু নাশক দিয়ে হাত ভালভাবে ধুয়ে নিতে হবে, যাতে করে হেপাটাইটিস অ বিস্তার রোধ করা সম্ভব হবে।
দূষিত রক্ত
সংক্রামিত রক্ত এবং শরীরের তরল হেপাটাইটিস সংক্রামণে সাহায্য করে। জন্মের সময় মায়ের থেকে, যৌন সঙ্গীর মাধ্যমে কিংবা খোলা কোন ক্ষতের মাধ্যমেও এটি ছড়ায়।
হাত, পায়ের নখ বা চুল কাটা
বিউটি পার্লার বা সেলুনের মাধ্যমে হেপাটাইটিস ই ও ঈ সংক্রামিত হওয়ার কিছু ঝুঁকি থাকে। ২% থেকে ৫% ক্ষেত্রে সাজ-সজ্জার আইটেম যেখানে সম্ভাব্য রক্তের মাধ্যমে এর রোগ ছড়ানোর ঝুঁকি থাকে। ঝুঁকি এড়াতে আপনার ব্যক্তিগত নেইল কাটার, কিউটিকল ক্লিপলার, রেজার অন্যান্য বক্তিগত জিনিসপত্র ব্যবহারে মাধ্যমে এর ঝুঁকি কমাতে পারেন।
যৌন যোগাযোগ
হেপাটাইটিস ই আক্রান্ত কোন সঙ্গীর সাথে যৌন মিলনের মাধ্যমে আক্রান্ত হবার প্রধান কারণ। হেপাটাইটিস ই ভাইরাস সংক্রামিত ব্যক্তির রক্ত, যোনি তরল বা বীর্যের মাধ্যমে এ রোগ ছড়ায়। স্বল্প সময়ের জন্য বিরত থাকা বা ভ্যাকসিন হচ্ছে আক্রান্ত এড়ানোর সবচেয় নিরাপদ উপায়। এছাড়াও কনডম ব্যবহারেও ঝুঁকি এড়াতে সাহায্য করবে।
ব্যক্তিগত সামগ্রীর ব্যবহার
হেপাটাইটিস ই ও ঈ আক্রান্ত কারো ব্যক্তিগত জিনিস ব্যবহারের মাধ্যমে এ রোগ ছড়াতে পারে। এগুলোর মধ্যে টুথব্রাশ, রেজার, নেইল কাটার, সূঁচ বা অন্য কোনভাবে সংক্রামিত রক্তের সংস্পর্শে মিশে আক্রান্ত হয়। আপনার নিজস্ব ব্যবহারের জন্য এ সকল সামগ্রী রাখুন অন্য কারো সাথে শেয়ার থেকে বিরত থাকুন।
ষ ডাঃ ফাওয়াজ হোসেন (শুভ)
কনসালটেন্ট, গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি এন্ড হেপাটোলজি ডিপার্টমেন্ট
ইউনাইটেড হাসপাতাল, ঢাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।