২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
হৃদরোগ এমন একটি সমস্যা যা থেকে নিস্তার পাওয়া বেশ শক্ত। অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায়, হৃদরোগ হয়ে গেছে মূলত বংশগত কারণে। এরপর স্বাস্থ্যের অবনতি হতে হতে একটা সময়ে মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হয় তাদেরকে। অন্যদের ক্ষেত্রে এত হতাশাময় অবস্থা না হলেও দেখা যায় তাদের স্বাস্থ্য ভেঙে দিয়েছে হৃদরোগ।
শরীরে হৃদরোগের প্রভাব কমিয়ে আনা যাবে না, এমনটা কিন্তু নয়। দৈনন্দিন কিছু অভ্যাসের পরিবর্তন করলেই কিন্তু আমরা নিজেদেরকে অনেকটা সুস্থ রাখতে পারি। কী সেসব অভ্যাস? হৃদরোগ নিয়ে গবেষণার অগ্রগতির ফলে এমন অনেক অভ্যাসের কথা আমরা জানতে পেরেছি, যা আমাদের হৃদয়কে রাখতে পারে সুস্থ।
১) ইতিবাচক থাকুন :
জীবনের প্রতি আপনার মনোভাব স্বাস্থ্যের ওপর অনেক বড় প্রভাব রাখতে পারে। রোগ নিরাময়ের ব্যাপারে আপনি যদি ইতিবাচক থাকেন, তাহলে আপনি মনে আশা নিয়ে ব্যায়াম করবেন, ঠিকভাবে খাওয়া-দাওয়া করবেন, চিকিৎসা নেবেন ও সুস্থ থাকবেন।
আর যদি আপনি হতাশ হয়ে ভাবেন, “আমি আর কখনোই সুস্থ হব না” তাহলে আপনার জীবন নিজে থেকেই একটু একটু করে নষ্ট হয়ে যাবে। সুতরাং দৃষ্টিভঙ্গি রাখুন ইতিবাচক। আর কোনোভাবেই নিজেকে স্ট্রেসের মাঝে রাখবেন না।
২) প্রক্রিয়াজাত মাংস খাওয়া কমিয়ে দিন :
প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং মাংস এমনিতেই একটু কম খাওয়া উচিত রোগীদের। আর সে খাবারটা যদি হয়ে থাকে প্রক্রিয়াজাত মাংসের কোন পদ তবে তা থেকে দূরে থাকাই ভালো, এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক কমে আসে।
৩) সকালের নাশতা বাদ দেবেন না মোটেই :
আপনার স্বাস্থ্য যেমনই হোক না কেন, কোনোমতেই সকালের নাশতা বাদ দেয়া চলবে না। সকালে স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে হার্ট অ্যাটাক বা এধরনের রোগে মৃত্যু হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়।
৪) ধূমপান ছেড়ে দিলে পাবেন অনেক বেশি উপকার :
এটা জানা কথা যে ধূমপান ছেড়ে দিলে শরীরের অবস্থা সবদিক দিয়েই ভালো হয়ে যাবে। কিন্তু আগে যা ধারণা করা হতো, ধূমপান ছেড়ে দেয়ার উপকার তারচাইতেও বেশি বলে জানা গেছে সম্প্রতি। ধূমপান ছেড়ে দিলে হৃদরোগে মৃত্যুর সম্ভাবনা কমে আসে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত!
৫) শীত থেকে দূরে থাকুন :
ঠা-া তাপমাত্রা এবং শীতকাল দুটোই হৃদরোগের জন্য ঝুঁকি তৈরি করে। তাপমাত্রা কমে গেলে বাড়ে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর সংখ্যা। এর পাশাপাশি শীতকালে বাড়ে রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং কোমরে মেদ জমার পরিমাণ। সুতরাং এসব সময়ে থাকুন একটু বেশি সতর্ক।
৬) নিয়মিত হাঁটুন :
হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। অন্যান্য অনেক রোগের নিরাময়ের জন্য নিয়মিত হাঁটার কথা বলা হয় রোগীদের। আর এই অভ্যাসটি হৃদরোগের জন্যেও উপকারি। নিয়মিত হাঁটায় কমে আসতে দেখা যায় রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি।
ষ ফারজানা অমি
লালপুর, ফতুল্লা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।