পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অবশেষে ইলিশ যাবে ভারতে। সম্রাজ্যবাদী ভারত গরু নিয়ে নাটক এবং পিঁয়াজ ইস্যুতে নাস্তানাবুদ করলেও ভারতে এবারও শারদীয় দুর্গাপূজায় শুভেচ্ছা হিসেবে বাংলাদেশ থেকে সীমিত আকারে ইলিশ রফতানি হবে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে কী পরিমাণ ইলিশ রফতানি করা হবে তা আজ রোববার চূড়ান্ত করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। অথচ ২০১২ সালে ভারতে ইলিশ রফতানি বন্ধ করা হয়েছিল।
এর আগে গত বছর শারদীয় দুর্গাপূজায় শুভেচ্ছা হিসেবে ৫০০ টন ইলিশ ভারতে রফতানির অনুমতি দিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। তবে বাংলাদেশের মানুষ চায় না ভারতে ইলিশ রফতানি করা হোক। এমনকি কয়েক বছর আগে দেশের বুদ্ধিজীবীরা পরামর্শ দিয়েছিল তিস্তা চুক্তি না করা পর্যন্ত ভারতকে ইলিশ দেয়া যাবে না। দেশে ‘আগে তিস্তা চুক্তি পরে ইলিশ’ শ্লোগান উঠেছিল।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, ইলিশ রফতানি করতে হলে সরকারের অনুমতি নিতে হয়। দেশে ইলিশের উৎপাদন ও চাহিদার কথা বিবেচনায় নিয়ে ২০১২ সালের ১ আগস্ট থেকে ইলিশ রফতানি বন্ধ করে দেয় সরকার। তবে গত বছর শারদীয় দুর্গাপূজায় শুভেচ্ছা হিসেবে ৫০০ টন ইলিশ ভারতে রফতানির অনুমতি দেয়া হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় সীমিত আকারে ইলিশ রফতানির অনুমতি দেয়া হবে এবার। তবে এবার ৫০০ টনের বেশি ইলিশ রফতানির অনুমোদন দেয়া হতে পারে। কোন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কী পরিমাণ রফতানি করা হবে তা আগামীকাল ঠিক করা হবে। উল্লেখ্য, ২০১২ সালের পহেলা আগস্ট ইলিশসহ সব ধরনের মাছ রফতানি নিষিদ্ধ করে সরকার। পরে ওই বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর ইলিশ ছাড়া অন্য সব মাছ রফতানিতে অনুমতি দেয়া হয়। ফলে ভারতে বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের কোলকাতায় ইলিশের জন্য হাহাকার পড়ে যায়। এদিকে ইলিশ রফতানি বন্ধ থাকলেও পাচার হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। নানাভাবে ইলিশ ভারতে পাচার হচ্ছে। পাচার বন্ধে ইলিশ রফতানির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার কথাও কয়েকবার জানায় সরকার।
এদিকে ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে এবার বাংলাদেশ পুঁজা উপলক্ষ্যে ভারতকে গতবছরের চেয়ে তিনগুন বেশি ইলিশ দেবে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ইলিশ রফতানি-সংক্রান্ত অনুমতিপত্র সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর হাতে পৌঁছেছে। দিল্লি থেকে ‘স্যানিটারি ইমপোর্ট পারমিট’ আদায় করে মাছ দ্রুত আমদানির তোড়জোড় চলছে। নির্দেশিকা অনুযায়ী, পূজা উপহার হিসেবে ১০ অক্টোবরের মধ্যে ১৪৫০ মেট্রিক টন ইলিশ পাঠানো যাবে। গতবার ৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ পাঠানোর ছাড়পত্র মিলেছিল। এবার মোট ৯টি সংস্থাকে কম করে ১৫০ মেট্রিক টন করে ইলিশ রফতানির অনুমতি দিয়েছে ঢাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।