মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মহারাষ্ট্র রাজ্যে ক্ষমতাসীন শিবসেনার সঙ্গে অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াতের সংঘাতে উত্তাল গোটা ভারত। কঙ্গনার পক্ষে-বিপক্ষে ভাগ সোশ্যাল মিডিয়া, বলিউড, রাজনীতিও। এমন সময়েই জোর গুঞ্জন উঠেছে, পরিবারসহ বিজেপি’তে যোগ দিতে পারেন এই অভিনেত্রী।
কঙ্গনার মুম্বাই যাত্রার আগে তার মা আশাদেবী প্রধানমন্ত্রী মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আমরা কংগ্রেসী পরিবার হওয়া সত্তে¡ও অমিত শাহ আমার মেয়েকে নিরাপত্তা দিয়েছেন। মোদিজিকেও অনেক ধন্যবাদ।’ এরপরে মানালির ভাম্বলা গ্রামে বিজেপি’র এক পদযাত্রাতেও অংশ নেন কঙ্গনার মা। গেরুয়া শিবির থেকে এই নিয়ে স্পষ্ট কিছু জানা না গেলেও, হিমাচল প্রদেশের বিজেপি’র পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই কঙ্গনা রানাওয়াতকে দলে পেতে সক্রিয়তা শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রসঙ্গত, কঙ্গনার দাদা হিমাচলপ্রদেশের মান্ডির গোপালপুর আসন থেকে কংগ্রেসের বিধায়ক ছিলেন।
এর আগে, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে স্নায়ুযুদ্ধে, তাকে তুই-তাকারি করে ভিডিও-বার্তা দিয়েছিলেন কঙ্গনা। আবার কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর নাম জড়িয়ে, শিবসেনাকে ‘সোনিয়া-সেনা’ বলেও তোপ দেগেছেন। তিনি বলেন, ‘বালাসাহেব ঠাকরে যে বিচারধারার ভিত্তিতে শিবসেনা গঠন করেছিলেন, আজ ক্ষমতার লোভে তা বিক্রি করে শিবসেনা হয়ে গিয়েছে সোনিয়া-সেনা।’
এদিকে, কঙ্গনা-পর্বে মহারাষ্ট্র সরকারের ভ‚মিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি। সূত্রের খবর, কঙ্গনার অফিসে ভাঙচুরের ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী ঠাকরের প্রধান উপদেষ্টা অজয় মেহতাকে রাজভবনে সমন পাঠিয়েছিলেন তিনি। পরেরদিনই রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস অটওয়ালে। জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী অভিনেত্রী কঙ্গনার সঙ্গেও তার বৈঠক হয়। সংবাদমাধ্যমকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘সরকার তো দাউদের বাড়ির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয় না। ৫২ হাজার অবৈধ বাড়ি রয়েছে মুম্বইয়ে। কঙ্গনার সঙ্গে যা হয়েছে, তা নিন্দনীয়। উনি ক্ষতিপূরণ চান।’ কঙ্গনার রাজনীতিতে যোগদান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিজেপি কঙ্গনাকে কোনও সমর্থন দেয়নি। তবে উনি বিজেপি বা আরপিআই-এ যোগ দিতে চাইলে স্বাগত জানানো হবে। উনি বিজেপি’তে যোগ দিলে একটা রাজ্যসভার আসন তো পাবেনই।’
মোদি-শাহ এর ঘনিষ্ঠ অটওয়ালের এই মন্তব্যের জেরে ‘কুইন’ অভিনেত্রীর বিজেপি’তে যোগদানের জল্পনা আরও বেড়ে যায়। এদিকে, শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত বলেছেন, ‘কঙ্গনা-পর্ব শেষ।’ তবে মহারাষ্ট্রের শাসক দল শিবসেনা বনাম কঙ্গনা রানাওয়াতের লড়াই যে সহসা মিটছে না, তা শুক্রবার রাতে আবার প্রমাণ হয়ে যায়। মাদক যোগে এবার কঙ্গনা রানাওয়াতের বিরুদ্ধেই তদন্ত শুরু করতে চলেছে মুম্বাই পুলিশ। শুক্রবার এমনই জানিয়েছেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ। তদন্তের স্বার্থে তলব করা হতে পারে অভিনেত্রীকে। সূত্র : টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।