Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বায়নে মূল্যবোধের অবক্ষয়

আফতাব চৌধুরী | প্রকাশের সময় : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০২ এএম

বর্তমান যুগকে বলা হচ্ছে, ‘বিশ্বায়নের যুগ’। অত্যন্ত জোর দিয়েই বলা হয় যে, এ যুগ হলো দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলার ‘বিশ্বায়নের যুগ’। আত্মতৃপ্তি সহকারে ঘোষণা করা হচ্ছে, সারা বিশ্ব এখন আমার আপনার ঘরের মধ্যে। দুনিয়া হলো এক বিশ্বগ্রাম। ‘বিশ্বায়ন’ শব্দটির গভীরতা ও ব্যাপকতা অপরিসীম। গন্ডিবদ্ধতা, সীমাবদ্ধতা ও সংকীর্ণতাকে অতিক্রম করার মধ্য দিয়েই ঘটে সমাজের অগ্রগতি। ‘থাকবো নাকো বদ্ধ ঘরে; দেখবো এবার জগৎটাকে/ কেমন করে ঘুরছে মানুষ যুগান্তরের ঘূর্ণিপাকে’- ছত্রটি শুধুমাত্র কবির কল্পনা নয়, এ হলো মানুষের এগিয়ে চলার সহজাত আকাক্সক্ষা। একথা কেউই অস্বীকার করবে না যে, কমিউনিস্ট পার্টিই প্রথম আন্তর্জাতিকতার মতাদর্শ বিশ্বজনতার প্রাঙ্গনে এনে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে। ১৮৪৮ সালে প্রকাশিত কার্ল মার্কস ও ফ্রেডরিকে এঙ্গেলস রচিত ‘কমিউনিস্ট ইস্তাহার’ যে বাক্য দিয়ে সমাপ্ত হয়েছিল তা হলো, ‘দুনিয়ার মজদুর এক হও।’ এর চেয়ে বড় ও ব্যাপক বিশ্বায়নের বার্তা আর কী হতে পারে! কার্যত রাজনৈতিক স্তরে এটাই ছিল প্রথম নতুন যুগ সৃষ্টির লক্ষ্যে বিশ্বায়নের বার্তা। কিন্তু যে বিশ্বায়নের যুগ হিসেবে বর্তমান সময়কে চিহ্নিত করা হচ্ছে তা হলো, সাম্রাজ্যবাদী পুঁজির বিশ্বায়ন। পুঁজির লক্ষ্যেই হলো যত বেশি সম্ভব মুনাফা অর্জন। মুনাফার উদ্দেশ্য নতুন নতুন বাজারের সন্ধান। আর বাজার দখলের প্রতিযোগিতার প্রয়োজনে দেশ হতে দেশান্তরে ছুটে যাওয়া। অবাধ চলাচলে বাধা পেলে সে বাধা দূর করার জন্য হিংস্র আক্রমণ করতেও পিছপা হয় না লগ্নিপুঁজির মুরুব্বিরা। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অসাধারণ অগ্রগতি ঘটেছে এ সময়ে। কার্যত ‘প্রযুক্তির বিপ্লব’ ঘটেছে, যার মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বেড়েছে প্রভূত পরিমাণে, বৃদ্ধি পাচ্ছে মুনাফা। কিন্তু সমগ্র পুঁজিবাদী দুনিয়ায় প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রণ একচেটিয়া পুঁজির মালিকদের হাতে। মুনাফালোভী পুঁজির আগ্রাসী চরিত্র ক্রমাগত পরিবর্তিত হচ্ছে বিশ্ববাজার নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে ও হিংস্র লোলুপতায় লগ্নি পুঁজি বহুজাতিক ও অতিকায় আন্তঃরাষ্ট্রীয় চরিত্র ধারণ করে দুনিয়াব্যাপী দাপট দেখাচ্ছে।

বর্তমানে বিশ্বায়নের যুগে সাম্রাজ্যবাদ প্রযুক্তি বিপ্লব, নতুন বিশ্ব পরিস্থিতি ও নতুন নতুন কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে আত্মরক্ষায় আপাত সফল হলেও সে কিন্তু ক্ষয়রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারে না। স্বভাবতই পাল্টায়নি তার আগ্রাসী গতিবিধি, বরং তা হয়েছে আরো নগ্ন ও আরো হিংস্র। সাম্রাজ্যবাদী লগ্নিপুঁজি বিশ্বব্যাপী অবাধ চলাচল নিশ্চিত করার জন্য জাতিরাষ্ট্রের ধারণাকে পর্যন্ত নস্যাৎ করে দিতে উদ্যত হয়েছে। অথচ, পুঁজিবাদই তার বিকাশের প্রক্রিয়াতেই জাতি রাষ্ট্রের ধারণাকে সংহত করেছিল। লগ্নিপুঁজির বিশ্বব্যাপী কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা নেতৃত্ব দিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রসাধনী মোড়কে সামনে রেখেছে আন্তর্জাতিক ত্রিমূর্তি- আইএমএফ, ডব্লিউটিও এবং ওয়ার্ল্ড ব্যাংককে। কিছু ক্ষেত্রে এ প্রসাধনী মোড়কটিকে বজায় রাখা হচ্ছে না- যেমন ইরাক, আফগানিস্তান বা ফিলিস্তিনে। আবার বিশ্বায়নের এ প্রক্রিয়াতেই সৃষ্টি হয়েছে তীব্র বৈষম্য। এ বাস্তবতা উন্নত ও উন্নয়নশীল উভয় দেশের ক্ষেত্রেই সত্য এবং সমস্ত দেশের ধনী ও দরিদ্রের মধ্যেও সত্য। বিশ্বায়নের অগ্রগতি এখন কর্মবিহীন উন্নয়ন থেকে কর্মনাশ চালাতে তৎপর, তেমনই অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিকভাবে দেশ বা দেশের বাজার দখলের পটভূমি তৈরি করতে সেই দেশের জনগণের মগজ দখলের জন্য সাংস্কৃতিক আগ্রাসন ও ‘মেধাযুদ্ধ’ কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এটিও মার্কিন নীতি অনুসারে একটি আগাম আক্রমণ। এজন্যই প্রচার মাধ্যমসহ নানা মাধ্যমকে ব্যবহার করে বিশেষত তরুণ প্রজন্মকে প্রভাবিত করা হচ্ছে এক মতাদর্শহীন, স্বার্থপর, ভোগবাদী সমাজ তৈরি করার জন্য।

শুধু অন্ধকার নয়, আলোর দিকও আছে ঠিকই। সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বায়নের বিরুদ্ধে নানা বৈশিষ্ট্যের প্রতিবাদী আন্দোলন ক্রমাগত প্রসারিত হচ্ছে। এ ধরনের তত্তে¡র বিরুদ্ধে সংগঠিত প্রতিবাদ ও জনসমাবেশ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বায়নে স্বার্থপর, মতাদর্শহীন, মূল্যবোধহীন একদল যান্ত্রিক মানুষ তৈরি করার প্রক্রিয়ার শিকড় অনেক গভীরে প্রবেশ করেছে। ন্যায়সঙ্গত সমাজ তৈরি করার লক্ষ্যে যে মানব কারিগরের প্রয়োজন তারা হবেন ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্যবাদের ঊর্ধ্বে শ্রেণি চেতনায়-সমাজ ভাবনায় উদ্বুদ্ধ মূল্যবোধে সমৃদ্ধ মানুষ।

কিন্তু বর্তমান বিশ্বায়ন তরুণ প্রজন্মকে শেখানো হচ্ছে যে আদর্শ, মতবাদ, সমাজ, সংগ্রাম এসব হলো শুধু কথার কথা। আসল কথা হলো ‘নিজের জন্য ভাবো’। পুঁজিবাদের আমোঘ বাণী- ‘নিজে বাঁচলে বাপের নাম’। বিশ্বায়নের বার্তা বলে একথা প্রচার হচ্ছে যে, প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকার জন্য দেশে বা সমাজের জন্য স্বপ্ন না-দেখে নিজের জন্য স্বপ্ন দেখো। প্রতিযোগিতার এই ইঁদুর দৌড়ে পিছনে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে যাবতীয় মূল্যবোধকে। সহমর্মিতা, সৌভ্রাতৃত্ব ও সংহতিবোধকে উপেক্ষা করার জন্য প্রলোভিত ও প্ররোচিত করা হচ্ছে। ঘটা করে ‘বন্ধুত্ব দিবস’ পালন করা হলেও এমন ঘটনা দেখা যাচ্ছে যে, ঘনিষ্টতম বন্ধুর তুলনায় কোনো গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় কয়েকটি নম্বর কম পেলেই ধরে নিচ্ছে যে বন্ধুর কাছে প্রতিযোগিতায় হেরে গেল। এমনকি এরকম ক্ষেত্রে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে হতাশাজনিত আত্মহত্যা বাড়ছে। অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, স্বার্থপরতা বাড়ছে, দায়বদ্ধতা শেষ হয়ে যাচ্ছে। সন্তান তাদের পিতা-মাতার প্রতি দায়িত্ব পালনের জন্য সময় দিতে চাইছে না। বৃদ্ধ পিতা-মাতার জন্য বৃদ্ধাশ্রমের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর্থিক সঙ্গতিসম্পন্ন পরিবারগুলোতে নাতি-নাতনিদের জন্য দাদা-দাদী অপ্রয়োজনীয় হয়ে যাচ্ছেন। এরকম পরিবারগুলোতে যান্ত্রিক নিয়মে প্রতিযোগিতা ক্লিষ্ট শৈশব-জীবনের সাথী হচ্ছে টিভি ইন্টারনেট-ভিডিও গেমস। কোনো খেলোয়াড়, কোনো শিল্পী জনপ্রিয় হবেন তাতেও নির্দেশ দিচ্ছে প্রযোজক ও আয়োজক হিসেবে বহুজাতিক সংস্থাগুলো ও তাদের দ্বারা পরিচালিত প্রচারমাধ্যম। চিন্তাভাবনার স্বাধীনতা ও নিজস্বতা হারিয়ে যাচ্ছে। বাজার অর্থনীতিতে বাজারের দ্বারা পছন্দ, অপছন্দ, রুচি নির্ধারিত হচ্ছে। আবার এর মাঝেই সমাজের বিপুল অংশের শিশু-কিশোররা ক্ষুধা-দারিদ্র্য-বঞ্চনার মধ্য দিয়ে মানবোন্নয়নের সমগ্র সুযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকছে।

সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বায়ন এক ভয়ানক অন্যায়-অসঙ্গত উন্নয়নে পরিণত হয়েছে। পৃথিবীতে ৩৫৮টি বৃহৎ পুঁজির মালিকানার সম্পত্তির পরিমাণ পৃথিবীর ৪৫ শতাংশ মানুষের সম্মিলিত বাৎসরিক জিডিপি অপেক্ষা বা ২৩০ কোটি মানুষের সম্পত্তি অপেক্ষা বেশি। এই তীব্র বৈষম্যকে যারা ন্যায়সঙ্গত বলে আখ্যা দিচ্ছে তাদের চাইতে বড় কপট ও অমানবিক আর কারা হতে পারে? আবার দ্বান্দ্বিক নিয়মেই নানা মাত্রায় ও নানা চেহারায় দেশে দেশে প্রতিরোধ গড়ে উঠেছে এই বৈষম্য ও অমানবিকতার বিরুদ্ধে। ক্রমবর্ধমান প্রতিরোধকে মোকাবিলা করার জন্য মার্কিন সাম্র্যাজ্যবাদ প্রতিবাদী দেশগুলোর উপর অর্থনৈতিক চাপ, অবরোধ ও নিষেধাজ্ঞা, রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি, এমনকি সন্ত্রাসবাদী ইত্যাদি নানা অজুহাত তৈরি করে বেপরোয়া সামরিক আগ্রাসন করছে। এটাই বর্তমান সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বয়ানের বাস্তব চেহারা। প্যালেস্টাইনদের বিরুদ্ধে ইসরাইলকে মদত দান ও নরহত্যা তারই উজ্জ্বল প্রমাণ।

১৯৯০-৯১ বিশ্বায়নের ও নয়া উদার আর্থিক নীতির অভিযানের শুরু এবং সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়নের বিপর্যয় একই সময়ে ঘটা কি নেহাতই কাকতালীয়? এ বিষয়ে গভীর বিশ্লেষণ হচ্ছে। কিন্তু এই সময় থেকেই উল্লাসিত সাম্রাজ্যবাদ উদ্ধত ঘোষণা জারি করে যে- ‘পুঁজিবাদের আর কোনো বিকল্প নেই।’ সমাজতান্ত্রিক দুনিয়ার বিপর্যয়ে হচকিত ও আশাহত বিশ্বের উদ্দেশ্য সাম্রাজ্যবাদের শিরোমণি মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ নির্দেশিকা পাঠাতে শুরু করে- ‘সবাই আমার কাছে আত্মসমর্পণ করো’। মার্কিন প্রশাসন কার্যত হুমকি জারি করে চলে যে, তার অনুগামী না-হলে সন্ত্রাসবাদী হিসেবে চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়া হবে।

আবার এ পটভূমিতেই তথাকথিত উত্তর আধুনিকতাকেও অতিক্রম করে ফ্রান্সিস ফুকুয়ামা প্রকাশ করলেন ‘ইতিহাসের অবসান’ রচনা। বলা হলো, পুঁজিবাদী বিশ্বই হলো বিকাশের চূড়ান্ত ও অন্তিম পর্যায়। আর কোনো নতুন সমাজের জন্য, সমাজতন্ত্রের জন্য ভাবনার প্রয়োজন নেই। অতএব প্রয়োজন নেই কোনো মতাদর্শের। তাই গড়ে তোলে বিশ্বজুড়ে এক মতাদর্শহীন ভোগবাদী সমাজ। নয়া উদার আর্থিক নীতি ও মুক্ত বাজার নীতির সওয়ালকারীরা তার স্বরে ঘোষণা করতে থাকল যে, সোভিয়েত ইউনিয়ন বা সমাজতন্ত্রের বিপর্যয়ে বেদনাহত হবার কোনো কারণ নেই।

পরিবর্তিত আন্তর্জাতিক অবস্থাতে লগ্নিপুঁজি ও সাম্রাজ্যবাদের বৈশিষ্ট্য ও কৌশলে যে গুণগত পরিবর্তন দেখা দিয়েছে তাও উপলব্ধি করা প্রায়োজন। লেলিন পুঁজিবাদের বিকাশের সর্বোচ্চ স্তরে সাম্রাজ্যবাদ কী চরিত্র ধারণ করে তার ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। কিন্তু এই বাস্তব বিবেচনায় রাখতে হবে যে, আন্তর্জাতিক লগ্নিপুঁজির উদ্ভব ঘটেছে এক নতুন যুগে, যে যুগ লেনিনের সময়কাল এবং যুদ্ধোত্তর ও কল্যাণমূলক রাষ্ট্রবাদের যুগ থেকে পৃথক। আবার লগ্নিপুঁজির বিশ্বায়ন সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলোর নিজেদের মধ্যে একটা নির্দিষ্ট মাত্রার ঐক্য প্রতিষ্ঠা করছে। দেখা যাচ্ছে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামরিক আগ্রাসনের মাধ্যমে দুনিয়াব্যাপী প্রভূত্ব কায়েমের লক্ষ্যে ধাবমান সাম্রাজ্যবাদ ও তাদের নেতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একদিকে সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলোর নিজেদের দ্বন্দ্বকে আপাতত কিছুটা চাপা রেখে বহুজাতিক-আন্তর্জাতিক পুঁজিবাদী সংস্থাগুলোর মাধ্যমে অভিযান চালাচ্ছে। ফ্রান্সিস ফুকুয়ামা মতাদর্শের অবসানের তত্ত্ব প্রচার করে এই অন্যায়, অসঙ্গত, বৈষম্যমূলক, মূল্যবোধহীন সমাজের চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চেয়েছেন। কিন্তু তা তো হবার নয়। অন্যায়-অসঙ্গতির মধ্যেই সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বায়নের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার বড় উপাদান। এই উপাদানকে সুংসহত করাই বর্তমান সময়ের কর্তব্য। বর্তমান সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বায়নের প্রকোপে মূল্যবোধের যে অবক্ষয় ঘটছে তার বিরুদ্ধে মতাদর্শগত সংগ্রাম না করে সাম্রাজ্যবাদ-বিরোধী সংগ্রামকে এগিয়ে নেওয়া যাবে না।

সুতরাং, একথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, বর্তমান বিশ্বায়ন সমাজের সর্ব স্তরের মতাদর্শহীনতা ও মূল্যবোধের অবক্ষয়ের বিষবাষ্পে যেভাবে কলুষিত করছে তার বিরুদ্ধে সংগ্রামকেই আজকের দিনের গণ-আন্দোলনে সূচির অগ্রাধিকারে রাখতে হবে। মতাদর্শহীনতা ও মূল্যবোধহীনতার বিরুদ্ধে সংগ্রাম না করে একটি ন্যায়সঙ্গত সমাজ নির্মাণের সংগ্রামে সফল হওয়া সম্ভব নয়।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সাম্রাজ্যবাদী-বিশ্বায়ন
আরও পড়ুন