পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নির্বাচনী আইন সংশোধনের নামে বর্তমান নির্বাচন কমিশন (ইসি) বিধবস্ত নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে আরো দূর্বল করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, কেএম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার সময়কাল ইতোমধ্যে তিন বছরের বেশি সময় পেরিয়েছে।
এই সময়কালে এই কমিশন একটিও সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করতে পারেনি। এই অবস্থায় তারা নির্বাচনী আইন সংশোধনের নামে বিধবস্ত নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে আরো দূর্বল করার অপপ্রয়াস করছে। এটা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। ইসির উচিত নির্বাচনী ব্যবস্থার যে ক্ষতি তারা ইতোমধ্যে করেছে সেই ক্ষতিপূরণ করা, নতুন কোনো সর্বনাশের হাত থেকে নির্বাচনী ব্যবস্থাপনাকে রক্ষা করা। গতকাল বৃহস্পতিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমানে নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রতি দেশের মানুষ ও গণতন্ত্রে বিশ্বাসী কোনো রাজনৈতিক দলের ন্যূনতম শ্রদ্ধা কিংবা আস্থা নাই। গত ১০ বছরে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে যারা গলাটিপে হত্যা করেছে কেবলমাত্র তারা এবং তাদের সহযোগী হিসেবে নিলর্জ্জ ভূমিকা রাখা বর্তমান শাসকগোষ্ঠির বশংবদ কমিশনই দায়ী। দলের পক্ষে এই নির্বাচন কমিশন বাতিল করার দাবি জানিয়ে বলেন, একটি নিরপেক্ষ সরকারের তত্বাবধায়নে এবং একটি নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় দেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগনের ভোটাধিকার নিশ্চিত করে জনগনের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এজন্য ‘গণ আন্দোলনে‘র কোনো বিকল্প নেই বলে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবানও জানান বিএনপি মহাসচিব।
রাজনৈতিক দলসমূহের নিবন্ধন আইন-২০২০ প্রণয়ন, নির্বাচনী আইন(আরপিও) সংশোধনী প্রস্তাব এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনী আইন-২০২০ প্রণয়নে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগের প্রতিবাদ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এই উদ্যোগ অস্বাভাবিক, অনভিপ্রেত, অগ্রহণযোগ্য এবং মহল বিশেষের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের অপকৌশল। বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল কমিশনের এই উদ্যোগ প্রত্যাখান করেছে।
আরপিও সংশোধনে উদ্যোগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, প্রস্তাবে যেসব বিধান বাদ দেয়া হয়েছে তার অন্যতম হলো কমিশনের পক্ষ থেকে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা, প্রিসাইডিং অফিসার ভোট গ্রহণ বন্ধ করা, সর্বোপরি আইনের গুরুতর লঙ্ঘনের জন্য প্রার্থিতা বাতিলের(৯১ ই ধারা) ক্ষমতা রোধ। এসব ক্ষমতা রোধ করলে কমিশন একটি ঠুঁটো জনন্নাথে পরিণত হবে, যার মাধ্যমে কার স্বার্থ সিদ্ধি হবে তা আমাদের বোধগম্য নয়। তাদের (ইসি) সবচেয়ে ভয়ানক অপচেষ্টা হলো আমাদের নির্বাচন ব্যবস্থার কফিনের শেষ পেরেক ঠুকে দেওয়া। তারা প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশনকে স্থায়ী ভাবে পঙ্গু করার জন্যও যেন উঠে-পড়ে লেগেছে। ভবিষ্যতে একটি ভালো নির্বাচন কমিশন পাওয়ার পথ রুদ্ধ করতে চায় বর্তমান নির্বাচন কমিশন।
২০১৪ সালে ইসি নির্বাচন করেছে রাজনৈতিক দলবিহীন নির্বাচন, ২০১৮ সালে করেছে ভোটারবিহীন ‘নৈশ’ নির্বাচন। প্রস্তাবিত আরপিওর মাধ্যমে আগামীতে করবে নির্বাচন কমিশনবিহীন প্রহসনের নির্বাচন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আইন হচ্ছে একটি রক্ষাকবচ। আইন পরিবর্তনের কাজে কমিশন হাত দিতে পারে না। সরকার চাইলে নির্বাচন কমিশন সরকারকে আইন করার ব্যাপারে পরামর্শ দিতে পারে। কিন্তু স্বপ্রণোদিত হয়ে কমিশন আইন প্রণয়নের উদ্যোগ সংবিধানের ১১৯ অনুচ্ছেদের সাথে সাংঘর্ষিক। আইন পরিবর্তনর করার মাধ্যমে ক্ষমতা খর্ব করা অনেকটা আত্মহত্যার শামিল। আইন পরিবর্তনের করার মাধ্যমে তারা জনগণের কাছে আরো ঘৃণা হিসেবে গণ্য হবে। বর্তমান আইনে মনোনয়ন পত্র বাতিলের এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের।
তাহলে নির্বাচনে যাচ্ছেন কেনো জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী, গণতান্ত্রিক পথেই সরকার পরিবর্তনে আমরা বিশ্বাসী। এটার কারণে আমরা সব নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। নির্বাচনে অংশ নেওয়াটা আমাদের আন্দোলনের অংশ, পার্ট অব দ্যা মুভমেন্ট। আপনি যখন রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করতে পারছেন না, ডেমোনেস্ট্রেশন করতে পারেন না, তখন তো সেই সুযোগগুলো নিতে হবে যে সুযোগে আপনি কিছুটা হলেও জনগণের কাছে যেতে পারবেন, জনগণকে নিয়ে এগিয়ে আসতে পারবে, কথাগুলো বলতে পারবেন। সেই কারণে আমাদের সব অ্যাকশন গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য, আমাদের আন্দোলনটা গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যেই।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।