২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
কফি পান করতে কার না ভাল লাগে? করোনা ভাইরাস সংক্রমণকালীন সময়ে চা এর পাশাপাশি কফি পান করার পরিমাণ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের এই ব্যস্ত জীবনে অনেক সময় ক্লান্তি ভর করে। কফি পান করলে শরীরের সব ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। শরীর ও মন চাঙ্গা হয়ে উঠে। আমাদের দেশে যখন করোনা ভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়েছিল তখন আমার স্পষ্ট মনে আছে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে কফি কিনতে গিয়ে আমি তা পাইনি। করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য মানুষ সব কফি কিনে ফেলেছিল। কফি আমি নিজেও খুব পছন্দ করি।
ক্রমাগত কফি পান করার কারণে দাঁতের এনামেলের উপর বাদামী বর্ণের দাগ পড়ে। তখন দেখতে খুব খারাপ দেখা যায়। খারাপ লাগাটা অবশ্যই আপেক্ষিক একটি বিষয়। করোনা ভাইরাস সংক্রমণকালীন সময়ে কফি পান করার কারণে ঘরোয়া পদ্ধতিতে আপনি চাইলে দাঁতের দাগ দূর করতে পারেন। হাইড্রোজেন পার অক্সাইড এবং বেকিং সোডার মিশ্রনের মাধ্যমে দাঁতের এনামেলের উপর কফির দাগ উঠানো সম্ভব। অক্সিডাইজার হিসাবে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড কফির ক্ষুদ্র কণাকে অপসারণ করে যা দাঁতে দাগ সৃষ্টি করে থাকে। বেকিং সোডা এই কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করে থাকে। বেকিং সোডা এবং হাইড্রোজেন পার অক্সাইড মিশিয়ে পেষ্টের মতো করতে হবে। এই মিশ্রিত পেষ্ট দাঁতের উপর দশ মিনিটের জন্য প্রয়োগ করতে হবে। কোনো সমস্যা না হলে বিশ মিনিট পর্যন্ত রাখা যেতে পারে। এরপর মিশ্রিত পেষ্ট অপসারণ করে রেগুলার টুথপেষ্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করে নিতে হবে। তবে এই নিয়ে আমাদের দেশে কোনো গবেষণা যেহেতু হয়নি তাই এর কার্যকারিতা নিয়ে অবশ্যই প্রশ্নের অবকাশ থেকে যায়। আর এ কারণেই অন্যান্য পদ্ধতি আলোচনা করা প্রয়োজন।
হাইড্রোজেন পার অক্সাইড পানি মিশিয়ে কুলকুচি করতে পারেন, প্রতিদিন অথবা কিছু দিন পর পর। একটি বিষয়ে আলোচনা না করলেই নয়। সেটি হলো কফি পান করার সময় কিছু নিয়ম-নীতি মেনে চললে দাঁতের এনামেলের উপর দাগ পড়বে না, আর যদি দাগ পড়েও তাহলে সেটি অনেক দাগ হবে না। অল্প অল্প করে অনেক সময় লাগিয়ে কফি পান করার পরিবর্তে এক বসায় দশ মিনিটের মধ্যে কফি পান শেষ করুণ। কিন্তু তাই বলে এক ঘণ্টা সময় নেয়া কোনো অবস্থাতেই ঠিক হবে না। কফি পান শেষ হয়ে গেলে এক গ্লাস পানি দিয়ে মুখের অভ্যন্তরে ভালভাবে কুলকুচি করবেন। আর আপনি যদি কোনো অনুষ্ঠানে থাকেন তাহেল মিনারেল ওয়াটারের বোতল থেকে একটু পানি মুখে নিয়ে নাড়াচাড়া করে তা খেয়ে ফেলুন। এতে করে কফি পান করার কারণে দাঁতের এনামেলের উপর কোনো দাগ পড়বে না। আর আপনার সামাজিকতাও কোনো ভাবেই নষ্ট হবে না।
আপনি যদি আইস কফি বা কোল্ড কফি পান করতে পছন্দ করেন তাহলে অবশ্যই একটি উন্নত মানের স্ট্র বা পাইপ দিয়ে কফি পান করলে দাঁতের এনামেলের উপর কফির দাগের ঝুঁকি অনেক কমে যায়। লক্ষ রাখবেন আইস কফি পান করার সময় কোনো ভাবেই আইস বা বরফ খন্ড কামড়াবেন না। যদি এরকম করেন তাহলে আপনার দাঁতের এনামেল ক্ষতিগ্রস্থ হবে এবং ধীরে ধীরে দাঁতের এনামেলে ফাটল দেখা দিতে পারে। তবে এটি একদিনে নাও হতে পারে। সাবধান থাকাই ভাল। হট কফি বা কোল্ড কফি পান করার পর যদি ব্রাশ করার সুবিধা থাকে অর্থাৎ আপনি যদি বাসায় বা অফিসে নিজস্ব রুমে অবস্থান করেন তাহলে সেক্ষেত্রে অবশ্যই দাঁত ব্রাশ করে নিবেন। এতে করে কফির কারণে দাঁতের এনামেলে কোনো ধরণের দাগ পড়বে না। ফল এবং শাকসব্জি খাবেন। ফলের মধ্যে মাল্টা, আপেল, নাসপাতি, জামবুরা, আমড়া খেতে পারেন। তবে একটি কথা না বললেই নয় তা হলো আপনার দাঁত যদি অতি সংবেদনশীল হয় অর্থাৎ দাঁত শির শির করে তাহলে কুলকুচি ছাড়া বাকী ঘরোয়া পদ্ধতি অর্থাৎ দাঁতে পেষ্ট লাগিয়ে চেষ্টা করা থেকে বিরত থাকতে হবে। সংবেদনশীল দাঁতের জন্য এনামেলের উপর দাগ এবং সংবেদনশীলতার চিকিৎসা একসাথে হয়ে যাবে। আলাদাভাবে তেমন কোনো খরচ হবে না। তবে ঘরোয়া পদ্ধতি অবশ্যই আপনারা প্রয়োগ করতে পারেন। বিশেষ করে কুলকুচি করা, দাঁত ব্রাশ করা এবং নিয়ম কানুন অনুসরণের মাধ্যমে অবশ্যই আপনার দাঁতের এনামেলের উপর কফির দাগ ধীরে ধীরে চলে যাবে।
এছাড়া বাজারে দাঁতের দাগ উঠানোর জন্য কিছু সলিউশন পাওয়া যায়। সেটি ব্যবহার করে দাঁতের দাগ উঠানো যায়। তবে এসব ক্ষেত্রে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা অতীব জরুরী। তবে যারা কফি পান করেন আমি তাদের কফি পান করতে নিষেধ করবো না। এটুকু বলবো অতিরিক্ত কফি পান করবেন না। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণকালীন সময়ে মাশরুম কফি পান করতে পারেন। বিশ্বের নামী-দামী ব্র্যান্ডের মধ্যে গ্যানোকফি থ্রি ইন ওয়ান পান করলে আপনি অনেক ধরণের উপকার পাবেন। একটু সচেতন হলে আর দাঁত ও মুখের যত্ন নিলে আপনি সার্বিক ভাবে অনেক ভাল থাকবেন।
ষ ডাঃ মোঃ ফারুক হোসেন
মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ
মোবাইল ঃ ০১৮১৭৫২১৮৯৭
ই-মেইল ঃ [email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।