বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানকে বিধিবহির্ভূতভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, এমন দাবি করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালযয়ের জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সংগঠনটির সভাপতি ও সম্পাদক সাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এই নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে চাকরিচ্যুতির সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানান।
বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত ক্ষোভ ও দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট গতকাল ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে অনুষ্ঠিত এক সভায় মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানকে চাকুরি থেকে অব্যাহতি প্রদান করে। অধ্যাপক খান ২০১৮ সালের ২৬ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকে কিছু অনাকাঙ্খিত বক্তব্য সম্বলিত একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেন। ভুল বুঝতে পেরে তিনি তাৎক্ষণিক দুঃখ প্রকাশ করেন এবং নিবন্ধটি প্রত্যাহার করে নেন। তারপরেও বিধি-বহির্ভূতভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট তাকে চাকুরি থেকে অব্যাহতি প্রদান করলো। এই অব্যাহতি প্রদান ১৯৭৩ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ এর সাথে সম্পূর্ন সাংর্ঘষিক। আমরা মনে করি ভিন্নমত পোষন এবং প্রকাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারণার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত এবং একটি সমৃদ্ধ জাতি গঠনে স্বাধীন মত প্রকাশের কোনো বিকল্প নেই। এরকম ন্যাক্কারজনকভাবে ভিন্নমত দমন করলে একদিকে যেমন আমরা জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে হেয় প্রতিপন্ন হব তেমনি মেধা ও মননেও ভয়ানকভাবে পিছিয়ে পড়বে সমগ্র জাতি। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি অধ্যাপক খান প্রকাশিত নিবন্ধে আপত্তিকর অংশের জন্য সত্যিকারের মনোবেদনায় ভূগে ক্ষমা চেয়েছেন। তাই অনতিবিলম্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের এ সিদ্ধান্ত বাতিল করে তাকে চাকুরিতে পুনর্বহাল করার জোর দাবি জানাচ্ছি।’
বিবৃতি দেয়া শিক্ষকরা হলেন- অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ কামরুল আহছান, অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান, অধ্যাপক সোহেল রানা অধ্যাপক জামাল উদ্দিন অধ্যাপক নুরুল ইসলাম অধ্যাপক মাসুম শাহরিয়ার অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার , অধ্যাপক আবু সাঈদ মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান, ডক্টর বোরহান উদ্দিন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।