পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রতিটি বিচারবহির্ভ‚ত হত্যাকান্ডের জন্য আলাদা বিচার বিভাগীয় কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের উদ্যোগে এক মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।
সংগঠনের সমন্বয়কারী ও সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক সামছুল আলমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ডা. এম এ সামাদ, মোহাম্মদ মাসুম, হারুন অর রশীদ, সামছুল হক সরকার, সিরাজুল ইসলাম মাস্টার প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার গত ১২ বছর যাবৎ সারাদেশে পুলিশ ও র্যাব দিয়ে বিচারবহির্ভ‚তভাবে মানুষকে ক্রসফায়ার দিয়ে যাচ্ছে। এই ক্রসফায়ার ব্যবস্থার প্রবর্তক বেগম খালেদা জিয়ার সরকার র্যাব গঠন করে বাংলাদেশের এক কমিউনিস্ট বামপন্থী পÐিত মোফাক্কর চৌধুরীকে ক্রসফায়ার দেয়। শতশত বাম কমিউনিস্ট কর্মীদের ক্রসফায়ার দেয়া হয়েছে। গত ১৫ বছর যাবৎ পুলিশ, র্যাব লাগাতারভাবে ক্রসফায়ার নাটক করে বেড়াচ্ছে। কিছু পুলিশ ও র্যাব সদস্য টাকা কামানোর হাতিয়ার হিসেবে ক্রসফায়ারের ব্যবহার করছে। ২০১৮ সালে ২৬ মে টেকনাফের ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাবেক যুবলীগ নেতা একরামুল হককে হত্যার পরও ক্রসফায়ার বলে চালিয়ে দেয়া হয় এবং মিথ্যা প্রেসনোট প্রদান করা হয়। গত ১৫ বছরে তিন হাজারের বেশি মানুষকে ক্রসফায়ারে বিচারবহির্ভ‚তভাবে হত্যা করা হয়েছে।
বাম নেতারা বলেন, ২০১৮ সালে পুলিশ-র্যাব মিলে ৪২১ জনকে ক্রসফায়ারে হত্যা করেছে। ২০১৯ সালে পুলিশ-র্যাব মিলে ৩৬৭ জনকে ক্রসফায়ারের নামে বিনা বিচারে হত্যা করেছে। চলতি বছর এ পর্যন্ত ২৮৫ জনকে ক্রসফায়ারে দেয়া হয়েছে।
গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের নেতারা আরও বলেন, বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার মুখে আইনের শাসনের কথা বললেও বাস্তবে র্যাব-পুলিশ দিয়ে বিনা বিচারে মানুষ হত্যা করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।