Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কঙ্গোর কারাগারে বন্দিরা অনাহারে মারা যাচ্ছে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০২ এএম

গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোর অস্বাস্থ্যকর কারাগারগুলোয় প্রতি বছর মারা যাচ্ছে কয়েকশ বন্দি। বিভিন্ন এনজিও ও কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ মৃত্যুর পেছনে রয়েছে প্রকট খাদ্যাভাব ও ওষুধ সংকট। ইতুরি প্রদেশের বুনিয়ায় একটি কারাগারে চলতি সপ্তাহে মারা গেছে দুই বন্দি। এ নিয়ে এপ্রিল থেকে কারাগারটিতে মারা গেছে ১৭ জন। খবর এএফপি। বুনিয়ার কারাগারের পরিচালক ক্যামিলে এনজোনজি বলেন, আমাদের এখানে মোট বন্দির সংখ্যা ১ হাজার ৩৬৪ জন। এত বিপুলসংখ্যক বন্দিকে এখানে স্থান দেয়া সম্ভব না। কারণ কারাগারটির ধারণ ক্ষমতা সর্বোচ্চ ২২০ জন। এখানে সব থেকে বড় সমস্যা হলো খাদ্য সংকট। এক্ষেত্রে কারা কর্তৃপক্ষের অপারগতা দেখে খাদ্য সরবরাহে একটি স্থানীয় গির্জা এগিয়ে এসেছে। জাস্টিন টিটিকে নামে এক বন্দি বলেন, আমরা এখানে কোনোমতে বেঁচে আছি। আমাদের ঘুমানোর জায়গা নেই। নেই পর্যাপ্ত খাদ্য ও ওষুধ। বাস্তবে অধিকাংশ দিনই আমাদের দুই চামচ করে পরিজ খেতে দেয়া হয়। ভাগ্য ভালো হলে কখনো কখনো ভাত জোটে। জাতিসংঘের হিসাবে ২০১৮ সালে কঙ্গোর কারাগারগুলোয় অন্তত ২২৩ জন মারা গেছে। এর আগে ২০১৭ সালে মারা গেছে ২০১ জন। এদিকে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, দেশটির অধিকাংশ কারাগারই ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত বন্দিতে পূর্ণ। নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রেক্ষাপটে এ বিষয়ে এপ্রিলেই সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করেছিল এনজিওটি। কারণ রাজধানী কিনসাসায় ওই সময় এনদোলো সেনা কারাগারে প্রায় ১০০ জন কভিড-১৯-এ সংক্রমিত হয়। এদিকে ২০১৯ সালে কঙ্গোর কারাগারে বন্দিদের অবস্থা নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর অ্যাগেঙ্গার কারাগারের অগাস্টিন নামে এক বন্দি জানান, কারা কর্তৃপক্ষ প্রতি বন্দির বিপরীতে যে খাবার সরবরাহ করে, তা দুই বছর বয়সী শিশুর জন্যও যথেষ্ট নয়। ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, অধিকাংশ কারাগারেই দেখা গেছে বন্দিদের শুধু ম্যালেরিয়া ও যক্ষ্মার চিকিৎসা দেয়া হয়। এছাড়া ওষুধ হিসেবে প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য কোনো কিছু দেয়া হয় না বললেই চলে। বুনিয়ার কেন্দ্রীয় কারাগারের এক বন্দি বলেন, আমরা জানি না দেশের প্রেসিডেন্ট আমাদের নিয়ে আদৌ ভাবছেন কিনা। তবে প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স শিসেকেদি কারাগার ও বন্দিদের দুরবস্থার এ ইস্যুটি শুক্রবার মন্ত্রিপরিষদের আলোচ্যস‚চিতে উপস্থাপন করেন। ফ্রান্স প্রেস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কঙ্গো


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ