মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের মদ খাওয়ার অনুমতি থাকলেও গাঁজা নিষিদ্ধ। সম্প্রতি, অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তে বলিউডের বিভিন্ন তারকাদের গাঁজা খাওয়ার বিষয়টিও প্রকাশ হয়ে যাওয়ায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। কিন্তু, নিষিদ্ধ হলেও ভারতে অনেক মন্দির আছে যেখানে প্রসাদ হিসাবে দেয়া হয় গাঁজা।
উত্তর কর্নাটকে কয়েকটি মন্দির রয়েছে যেখানে, গাঁজাকে পবিত্র প্রসাদ হিসাবে মানেন সেখানকার কিছু সম্প্রদায়ের মানুষ। কর্নাটকের ইয়াদগির জেলার তিনথিনিতে রয়েছে মৌনীশ্বর মন্দির। জানুয়ারিতে বাৎসরিক মেলার সময় কৃষ্ণা নদীর পারের এই মন্দিরে প্রচুর ভক্ত জড়ো হন। সেই ভক্তদের প্রসাদ হিসাবে দেয়া হয় এক প্যাকেট করে গাঁজা। মৌনীশ্বর মন্দিরে প্রার্থনা করার পর তা সেবন করেন ভক্তরা। মন্দির কমিটির সদস্য গঙ্গাধর নায়ক বিষয়টি স্বীকারও করে জানিয়েছেন, গাঁজা প্রসাদ মৌনীশ্বরের ঐতিহ্য।
ইয়াদগির ও রাইচুরের বেশ কয়েকটি আশ্রমেও এই রীতি প্রচলিত আছে। রাইচুর জেলার সিন্ধানুর তালুকে রয়েছে অম্বা মঠ। সেখানকার সদস্য মহন্তেশের মতে ধ্যানশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে গাঁজা। তিনি বলেছেন, ‘এটা নেশার দ্রব্য নয়। অনন্ত আনন্দে পৌঁছানোর রাস্তা। অনেকে সপ্তাহে একদিন গাঁজা সেবন করেন ও ধ্যান করেন।’ একই বিশ্বাস ইয়াদগিরি জেলার শোরাপুর তালুকের সিদ্ধাবতা দামা শিবাযোগী আশ্রমের সদস্যদেরও। সেখানকার সিদ্ধারামেশ্বরা শিবাযোগী বলেছেন, ‘ধ্যানে মনোবনিবেশ করার জন্য গাঁজা খাই আমরা।’
সম্প্রদায়ের লোকেদের ভাবাবেগকে আঘাত করা থেকে বিরত থাকতে সব কিছু জেনে শুনেও ‘চোখ বন্ধ’ রাখে পুলিশ। এ ব্যাপারে রাইচুরের পুলিশ সুপার প্রকাশ নিত্যম বলেছেন, ‘গাঁজা যেখানেই পাওয়া যাচ্ছে, আমরা তা বাজেয়াপ্ত করছি। কিন্তু মন্দির বা মঠের ব্যাপারে নির্দিষ্ট করে কিছু জানা নেই।’ সূত্র: এবিপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।