পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, রোহিঙ্গা সমস্যা ভারতের সৃষ্টি। বাংলাদেশে সোনাদিয়া গভীর সমুদ্রবন্দর করার কথা ছিল চীনের সহায়তায়; ভারতীয়রা অসন্তুষ্ট বলে এটা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আমাদের চিরকালের বন্ধু চীন দূরে গেছে। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমেদ স্মরণসভায় তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এই স্মরণ সভায় তিনি আরো বলেন, জনগণের ভালোবাসা নিয়ে ক্ষমতায় যেতে চাইলে বিএনপিকে ভারত থেকে দূরে থাকতে হবে। বিএনপির বেগম খালেদা জিয়া বুঝেছিলেন ভারত এ দেশের বন্ধু নয়, শত্রু। সেই জিনিসটা তিনি হিসাব করতে পেরেছিলেন। এখন যারা বিএনপি পরিচালনা করছেন তাদেরও ভারত থেকে সাবধানে থাকতে হবে।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ভারতের সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জীর মৃত্যুতে বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে এতদিন শোকদিবস পালন করা হয়েছে। কিন্তু হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও মৃত্যুবাষির্কী ভারতে পালন করা হয় না। যে কোনো দেশে স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম হবে, মানবতার জন্য সংগ্রাম হবে। আমি মানববন্ধনে বলেছি, এই প্রণব মুখার্জী আমাদের কী কী উপকার করেছেন, তার একটা হিসাব করি। ফেলানি যখন মারা যায়, তার বিচারটা পর্যন্ত তিনি করেননি। তিনি কী বলেছিলেন, ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনের রাস্তাটাকে ফেলানির নামে নাম করা হোক। ভারতের প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রণব মুখার্জী কোনো দিন এসবের প্রতিবাদ করেননি। আমাদের বঙ্গবন্ধুর আমলে তৈরি সংবিধানে লেখা আছে কাকে সমর্থ করব। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের এই প্রতিষ্ঠাতা বলেন, বিএনপিকে বুঝতে হবে ভারতের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে তাদের সাহস রাখতে হবে। এখন বিএনপিকে জাগতে (সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী) হলে অতীতের ভুল ভ্রান্তি স্বীকার করে নিতে সমস্যা নেই। প্রফেসর এমাজউদ্দীন সাহেবকে এজন্য বুঝতে হবে। উনার জ্ঞানের আলোকে উনি দেখিয়েছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেই আলোটা আমাদের ভেতরে, আমাদের রাজনীতিবিদের ভেতর প্রবেশ করেনি। আওয়ামী লীগ তো বোঝেনি, বিএনপির খালেদা জিয়া বুঝেছিলেন ভারত এ দেশের বন্ধু নয়, শত্রু। সেই জিনিসটা তিনি হিসাব করতে পেরেছিলেন। বিএনপিকে ভারত থেকে সাবধানে থাকতে হবে।
আওয়ামী লীগ সরকার অনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে বিচার বিভাগকে ধ্বংস করে দিয়েছে দাবি করে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, অন্য আসামির জামিন হয় খালেদা জিয়ার জামিন হয় না। আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির লোকজনের বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পড়া উচিত। তাহলে তারা বুঝতে পারত, বর্তমান আওয়ামী লীগ কত খারাপ কাজ করেছে। সেখানে তারা আইনের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে, বিচার বিভাগকে ধ্বংস করে দিয়েছে, হাইকোর্টের বিচারপতিদের তাড়িয়েছে। বিএনপির এখন সময় এসেছে তরুণদের দিয়ে কাউন্সিল মিটিং করার। আমরা যারা আছি, তাদের দিয়ে মিটিং করাতে হবে।
সরকারের উদ্দেশে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, কোনো না কোনো সময় তো দেশে ক্ষমতায় পরিবর্তন হবে, তখন আপনাদের ভুল শাসনের, দুঃশাসনের বিচার হলে আপনাদের কত বছরের সাজা হবে? এ কথাটা প্রধানমন্ত্রী ভালো করেই জানেন।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, দেশে এখন এমন সব ঘটনা ঘটছে, করোনা দুর্যোগের মধ্যেও হৃদয়বিদারক পরিস্থিতি চলে। টেলিভিশনে ব্রিফ করা বন্ধ, বিকেল ৫টা বাজে প্রেস রিলিজ দিতে দিতে। সবাই ভালো করে পড়ে না। আগে সবাই জানতেন ২০ ঘণ্টায় কতজনের মৃত্যু হয়েছে, এখন বলতে পারেন না। কেন না এটাকে ধীরে ধীরে সহনীয় করে তোলা হয়েছে। মাত্র একদিন আগে একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ঘরের মধ্যে ঢুকে কুপিয়ে তার মাথার খুলি ফেলেছে। তারপর গ্রেফতার হয়েছে যুবলীগের সোনার তিনটি ছেলে। খুব বুদ্ধিমান তারা। এতো বুদ্ধি যে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বলেছে, ‘আমরা চুরি করতে ঢুকেছিলাম’। যুবলীগ কী চোর? যুবলীগের নেতারা কী চোর? চুরি করতে গিয়ে কি মাথায় কোপ দেওয়া দরকার? তিনি বলেন, ওই যুবলীগের শিক্ষা হয়েছে যে, খুন করার পর ধরা পড়লে বলতে হবে যে- ‘আমি চুরি করেছি’। ঘটনার পর বহিষ্কার করা হয়েছে, এই বহিষ্কার একেবারে লোক দেখানো। তার মানে দল এসব কাজ করে দেয়, শক্তি বৃদ্ধি করে দেয় ক্রিমিনালদের।
স্মরণসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।