গোল ডটকমকে শুক্রবার দেওয়া সাক্ষাৎকারে ২০২০-২১ মৌসুমে বার্সেলোনায় থাকার বিষয়টি নিজেই জানান মেসি। তবে ইচ্ছের বিরুদ্ধেই যে কাম্প নউয়ে থাকতে যাচ্ছেন, তা তার কথাই স্পষ্ট হয়েছে।
“আমি ভেবেছিলাম এবং নিশ্চিত ছিলাম যে ইচ্ছে করলেই ক্লাব ছাড়তে পারি। সভাপতি সবসময় বলত, মৌসুম শেষে আমি সিদ্ধান্ত নিতে পারব যে আমি থাকব না চলে যাব।”
গত ২৫ আগস্ট এক ফ্যাক্স বার্তায় চুক্তির একটি ধারা কার্যকর করে ফ্রি ট্রান্সফারে কাম্প নউ ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানান মেসি। তবে বার্সেলোনার দাবি, ওই ধারা কার্যকর করার মেয়াদ গত ১০ জুনে শেষ হয়ে গেছে। ফলে চুক্তি অনুযায়ী হয় তাকে থাকতে হবে ২০২০-২১ মৌসুমের শেষ পর্যন্ত, নয়তো পরিশোধ করতে হবে রিলিজ ক্লজের পুরো ৭০ কোটি ইউরো।
গত ৩০ অগাস্ট লা লিগাও বার্সেলোনার দাবির পক্ষে মত দেয়। চুক্তিপত্র পর্যালোচনা করে স্পেনের শীর্ষ লিগ কর্তৃপক্ষ জানায়, ক্লাবটিতে মেসির চুক্তির মেয়াদ পূর্ণ করার শর্তটি এখনও কার্যকর আছে।
লা লিগার ওই মন্তব্যের জবাবে শুক্রবার মেসির পক্ষ থেকে ‘সংস্থাটির পর্যালোচনা ভুল’ দাবি করে পাল্টা বিবৃতি দেন তার বাবা ও এজেন্ট হোর্হে মেসি। তবে বার্সেলোনায় আগামী মৌসুম আর্জেন্টাইন তারকা থাকবেন কি-না, সে সম্পর্কে বিবৃতিতে কিছু বলা ছিল না।
দু’পক্ষের অনড় অবস্থানে শুরু হয় দীর্ঘ প্রায় দুই দশকের সম্পর্কের টানাপোড়েন। মাঝে গণমাধ্যমে খবর আসে, ভালোভাবে বিদায় নিতে মেসি আলোচনায় বসতে চাইলেও বার্সেলোনার পক্ষ থেকে না করে দেওয়া হয়।
অবশেষে গত বুধবার তারা আলোচনায় বসে। আর্জেন্টাইন তারকার পক্ষে ছিলেন তার বাবা ও এজেন্ট হোর্হে মেসি, ভাই রদ্রিগো এবং একজন আইনজীবী। আর কাতালান ক্লাবটির পক্ষে ছিলেন সভাপতি জোজেপ মারিয়া বার্তোমেউ ও কর্মকর্তা হাভিয়ে বোর্দাস।
ওই মিটিংয়ে কোনো সমাধান না মিললেও পরবর্তীতে তারা আবারও বসতে পারেন বলে ইঙ্গিত মেলে। তাতে আদালতের বাইরে সমস্যা সমাধানের আশাও জাগে।
মেসির কথাতেও সেটাই প্রমাণ হলো। ১৩ বছর বয়সে যেই ক্লাবে যোগ দিয়েছিলেন, যেখানে তার বেড়ে ওঠা, বিশ্বের সেরা ফুটবলারদের একজন হয়ে ওঠা, রেকর্ড ছয়বার বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার জয় যে জার্সি গায়ে, সেই প্রিয় ঠিকানার সঙ্গে মধুর সম্পর্কের শেষটা আদালতে করতে চাননি বলেই থেকেই যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
“আমার প্রিয় ক্লাবের বিপক্ষে কখনোই আমি আইনি লড়াইয়ে যাব না। একারণেই আমি বার্সেলোনায় থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
সূত্র : বিডিনিউজ