বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার কলারণ ও টগড়া ফেরিঘাটে জোয়ারের পানিতে চরম দূর্ভোগের শিকার পথচারীরা। কলারন ফেরীঘাটটি জোট সরকারে সময়ে উদ্বোধন হলেও পরবর্তীতে সিডরে বিধ্বস্ত হওয়ার পরে আর চালু হয়নি। কলরণ ফেরীঘাটের বর্তমান অবস্থা কোন ঘাট না থাকায় কাদা পানি একাকার হয়ে চলাচল করতে হয়। অথচ এই ঘাট থেকে বছরে লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব আয় হচ্ছে। এই ঘাট দুটি থেকে দৈনিক হাজার হাজার পর্যটক সহ পথচারী যাত্রী পারাপার হয়। কলারন ঘাটে ফেরী যোগাযোগ বন্ধ থাকায় ঘাটে রাখা পল্টুনগুলো মাটির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে। এই ঘাটের মাধ্যমে সুন্দুরবনে ঘুরতে আসা পর্যটকরা ভিভিন্ন ভোগান্তির শিকার হয়। ঘাট না থাকার কারনে শত শত লোক ট্রলারে মাধ্যমে নদী পার হতে ৩কিলোমিটার পথ দ্বিগুন তিনগুন ভারা ও অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে মৃত্যু ঝুকির মধ্যে নিয়মিত পারাপার হচ্ছে। এছাড়াও দক্ষিন অঞ্চলের বৃহত্তর টগড়া ফেরীঘাট থেকে দক্ষিন অঞ্চলের সর্ববৃহৎ মৎস বন্দর পাথরঘাটা সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সড়ক পাথের গাড়িগুলো ফেরীতে চলাচল করে। এই ঘাটটি থেকে বরিশাল, খুলনা, যশোর, রাজশাহী, ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় জোগাযোগের একমাত্র পথ। এই ঘাট থেকে দৈনিক হাজার হাজার ছাত্র/ছাত্রী সহ সাধারণ যাত্রী চলাচল করে। পাথরঘাটা মৎস বন্দরে বঙ্গোপসাগর থেকে শত শত মাছের ট্রলার অবতারন করে। ঘাটের দূর্ভোগের কারনে অনেক ঝুকি নিয়ে যানবাহনগুলো ফেরীতে উঠানামা করে এবং প্রায়ই দূর্ঘটনা ঘটে। দেখা যায়, কচা নদীতে জোয়ার আসলেই ফেরিঘাটটি তলিয়ে যায়, যার ফলে অনেক ঝুকি নিয়ে ঘাট অতিক্রম করতে হয়। ঘাট সংস্কারের অভাব, জোয়ারের শ্রোত ও নদী ভাঙনের প্রতিরোধ ব্যবস্থা না থাকার কারনে এই দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। সরেজমিনে গেলে বাসের ড্রাইভার মতি জানায়, অনেক ঝুকি নিয়ে যাত্রী সহ বাসটি এই ঘাট থেকে উঠতে হয়। কোন রকম ত্রæটি হলেই বড় ধরনের দূর্ঘটনার শিকার হতে হয়। অনেক সময় জোয়ারের পানি বেশি থাকায় ইঞ্জিনে পানি ঢুকে বড় ধরনের যান্ত্রিক ত্রæটি হয়। কিছুদিন আগে টগড়া ফেরীঘাটের মেরামত হলেও জোয়ারে পানি বারলেই ভোগান্তির সীমা নেই। ইন্দুরকানী উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড এম মতিউর রহমান জানান, কলারণ ও টগড়া ফেরীঘাট দুটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ । কলারন ঘাট থেকে সুন্দরবন, মোড়েরগঞ্জ, মংলা, শরনখোলা সহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতে হয়। জরুরী ভিত্তিত্তে¡ ঘাটটি সংস্কার করে ফেরি চালু করার জন্য কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।