বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঘন কুয়াশার সঙ্গে ফরিদপুরে জেঁকে বসেছে শীত। সেই সঙ্গে প্রতিনিয়ত কমছে তাপমাত্রা।
বুধবার (৪ জানুয়ারি) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কুয়াশা থাকায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে দেখা গেছে যানবাহনগুলোকে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি মাসের শেষ দিক থেকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
ফরিদপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এ অঞ্চলে কয়েক দিন ধরেই ঘন কুয়াশা পড়ছে।
দিনের বেলা দীর্ঘক্ষণ কুয়াশা থাকায় রোদের প্রখরতা তেমন থাকছে না। জরুরি প্রয়োজন না থাকলে মানুষ ঘর থেকে কম বের হচ্ছেন। কনকনে ঠাণ্ডায় কৃষিজীবীসহ নিম্ন আয়ের মানুষরা কাজে বের হওয়া নিয়ে বিপাকে পড়ছেন।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা করিম বলেন, এখন ধানের বীজ বপন করার সময়। মাঠে পেঁয়াজ আছে। যদি এমনভাবে কুয়াশা পড়ে তাহলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেবে। এ সময়ে কৃষকরা খুব ভয়ে থাকেন। কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশা থাকায় ফসলে কীটনাশক স্প্রে করতে হচ্ছে।
ফরিদপুর শহরের সাধিপুর এলাকার বাসিন্দা কুদ্দুস শেখ প্রতিদিন সকালে ইজিবাইক নিয়ে বের হন। তিনি বলেন, এ সময়ে ইজিবাইকের চলাচল কম হওয়ায় যাত্রী ভালো পাওয়া যায়। তবে কয়েক দিন ধরে সকালে যাত্রীদের উপস্থিতি একেবারেই কম। ইজিবাইক চালাতে গিয়ে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় হাত-পা জড়ো হয়ে যায়।
ফরিদপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, প্রতিদিন তাপমাত্রা কমছে। আজ সকাল থেকেই ঘন কুয়াশা ছিল। এ তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
প্রচণ্ড শীতের কারনে জেলার ২ টি সরকারি হাসপাতালে শিশু এবং মহিলা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে ব্যাপক হারে। বিশেষ করে ঠাণ্ডা জনিত কারনে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল বহুলাংশে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।