বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটে চট্টগ্রামে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে সর্বাত্মক ধর্মঘট। এতে দুর্ভোগ বেড়েছে মানুষের। এই ধর্মঘটে বন্ধ রাখা হয়েছে গণপরিবহন, দূরপাল্লার বাস চলাচল। চলছে না পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত ট্রাক-কাভার্ডভ্যানও। পরিবহন মালিক ও চালকরা বলছেন, তেলের দাম বাড়ানোর ফলে বিদ্যমান ভাড়ায় তাদের পক্ষে গাড়ি চালানো সম্ভব নয়। কাভার্ডভ্যান-ট্রাক-প্রাইমমুভার পণ্য পরিবহন মালিক সমিতিও কর্মবিরতি পালন করছে। এতে চট্টগ্রাম বন্দর এবং ১৯টি আইসিডি থেকে পণ্য পরিবহন বন্ধ রয়েছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শাখার সভাপতি মো. মুছা বলেন, এটা আমাদের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত। পাশাপাশি চট্টগ্রাম নগর, উত্তর, দক্ষিণ সব এলাকার মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলো সম্মিলিতভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ডিজেলের দাম বাড়ানোর কারণে পরিবহন ভাড়া বাড়বে। যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়ুক-এটা আমরা চাই না। হয় জ্বালানি তেলের দাম কমাতে হবে অথবা পরিবহন ভাড়া বাড়াতে হবে। বাংলাদেশ কাভার্ডভ্যান-ট্রাক-প্রাইমমুভার পণ্য পরিবহন মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী জাফর আহমেদ বলেন, তেলের দাম বাড়ানো হলেও আমাদের পরিবহন ভাড়া বাড়ানো হয়নি। খরচ বাড়ছে, তার সঙ্গে যদি ভাড়া সমন্বয় করা না হয় তাহলে গাড়ি চালানো সম্ভব নয়।
গণপরিবহন বন্ধ থাকায় আশপাশের বিভিন্ন উপজেলার মানুষ প্রাইভেটকার, টেম্পু, সিএনজি অটোরিকশায় যাতায়াত করছেন। এ সুযোগে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। শুক্রবার বন্ধের দিনেও বিভিন্ন কারখানা ও বেসরকারি অফিস খোলা থাকায় কর্মজীবী মানুষ মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছেন। কেউবা বাড়িতে যাওয়ার জন্য বাস স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছেন। কিন্তু বাস চলাচল বন্ধ। জরুরী প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন অনেকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।