পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গণতন্ত্র ও বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই বলে মনে করেন বিএনপি নেতারা। তারা বলেন, অত্যন্ত সত্য কথা আন্দোলনের কোনো বিকল্প নাই। কিন্তু সেই আন্দোলন কিভাবে ফলোপ্রসু হবে সেই বিষয়টা আমাদেরকে দেখতে হবে, বুঝতে হবে এবং তার জন্য আমাদেরকে আলোচনা করতে হবে, আলোচনার মধ্য দিয়ে আমাদেরকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। জিয়াউর রহমানসহ জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে সরকারের অপপ্রচারের উদ্দেশ্য নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করার কৌশল উল্লেখ করে এর বিরুদ্ধে ছাত্র সংগঠনকে ভ্যানগার্ডের ভূমিকা পালন করার আহবান জানান তারা।
গতকাল মঙ্গলবার দলটির ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গণতন্ত্রের জন্যই দেশনেত্রী আজকে গৃহবন্দি অবস্থায়, কারাবন্দি হয়ে আছেন। তার যে ত্যাগ গণতন্ত্রের জন্য, বাংলাদেশের মানু্ষরে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য-এটা নিসন্দেহ অপরিসীম একটা ত্যাগ। আজকে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমাদের বড় প্রতিজ্ঞা হোক- যেকোনো মূল্যে আমাদের চ্যালেঞ্জ গণতন্ত্রকে উদ্ধার করা, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা। দেশনেত্রীকে মুক্ত না করলে গণতন্ত্র মুক্ত হবে না-এটা হচ্ছে জরুরী কথা এবং সেটা আমাদেরকে অবশ্যই অত্যন্ত যথাযথ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সফল করতে হবে। এজন্য দল ও অঙ্গসংগঠনগুলোকে সংগঠিত হওয়া আহবানও জানান বিএনপি মহাসচিব।
সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, আসুন হতাশ হবেন না, অনেকে হতাশার কথা বলেন। হতাশ হওয়ার হওয়ার সুযোগ নেই্। এটা বিএনপির ওপর দায়িত্ব। গোটা জাতি এটা বিএনপির ওপর দিয়েছে। আজকে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গোটা জাতির ভবিষ্যত নির্ভর করছে। তিনি বিএনপিকে নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাবেন, এই জাতিরকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে হবে, গণতান্ত্রিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ যার স্বপ্ন শহীদ জিয়াউর রহমান দেখিছিলেন যার ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন এবং যার পতাকা দেশনেত্রীর উড্ডীন করেছেন সেটা সফল করতে হবে।
স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ বলেন, বিদ্যমান অবস্থা থেকে পরিবর্তন আসবে। সেই পরিবর্তন করার দায়িত্বটা বিএনপির। কেননা আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র হত্যা করেছে, তারা তো গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেবে না, মানুষের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দেবে না। সেজন্য বিএনপিকে সেই গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার গুরু দায়িত্ব নিতে হবে। দেশের সকল জাতীয়তাবাদী ও গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে ইস্পাত কঠিন গণঐক্য করে এই সরকারের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে।”
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেন, এই অবস্থা থেকে উত্তরণে আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতন হবে। তবে এই পতন নিজের থেকে হবে না। অন্য কেউ এসে করে দেবে না। এই পরিবর্তন আমাদেরকেই করতে হবে, দেশে গণতন্ত্র আমাদেরকে ফিরিয়ে আনতে হবে।
মির্জা আব্বাস বলেন, ক্ষমতাসীন সরকার কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদী সরকার-এদেরকে তাড়াতে হবে। এদের তাড়ানোর জন্য এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমাদের শপথ হোক-আমরা যেকোনো মূল্যে আমাদের নেতার নির্দেশে আমরা এমন কিছু করবো, যেমনি আমরা নব্বইয়ে এবং পরবর্তি সময়ে আন্দোলনে আমরা ফ্যাসিবাদী সরকারকে তাঁড়িয়েছিলাম, এই সরকারকেও ইনশাল্লাহ আমরা তাড়াবো।
প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন স্থায়ী কমিটির সদস্য জমিরউদ্দিন সরকার, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপি নেতা শামসুজ্জামান দুদু, হাবিব উন নবী খান সোহেল, মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, যুবদলের সাইফুল আলম নিরব, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসেইন, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, মুক্তিযোদ্ধা দলের ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের ফজলুর রহমান খ্ােকন, মৎস্যজীবী দলের আবদুর রহিম। অনুষ্ঠানে অঙ্গসংগঠনের কাজী আবুল বাশার, আবদুল আলীম নকি, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, হাসান জাফির তুহিন, সুলতানা আহমেদ, নজরুল ইসলাম তালুকদার, ইকবাল হোসেন শ্যামলও যুক্ত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে উলামা দলের শাহ নেছারুল হক দলের প্রতিষ্ঠাতাসহ নেতা-কর্মীদের জন্য মোনাজাত পরিচালনা করেন।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।