পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হতে পারে কোনো রাস্তায়, কোনো হুড তোলা এক রিকশায়, আমি নীল ছাতা নিয়ে দাঁড়িয়ে, তুমি দেখলে না। রোদে পোড়া এ রোমিও চেহারা, তুমি বুঝলেনা আমার ইশারা, মন বলে যদি থামতে, তুমি থামলে না। এই গানের কথার মতোই হয়তো থামলেন না লরেন মেন্ডেস কিংবা একদমই থেমে গেলেন। কিংবা থামলেন না, চলে গেলেন না ফেরার দেশে। অল্পকিছুদিন আগেই মিডিয়ায় এসেছিলেন। এরইমধ্যে নিজের মিষ্টি চেহারায় একটা জায়গা করে নিচ্ছিলেন। এয়ারটেলের কয়েকটা বিজ্ঞাপনে তিনি বেশ পরিচিতি লাভ করেন। সংগীত শিল্পী নাহিদের গান ‘তোমার পিছু ছাড়বো না’ দিয়ে বেশ আলোচিত হন। মাহতিম সাকিবের সাথে গুডলাক বলপেনের বিজ্ঞাপন করে নজড় কাড়েন লরেন। কিন্তু কি অভিমানে চলেন এভাবে?
পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গুলশান থানাধীন কালাচাঁদপুরের বাসায় বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতেন লরেন। ‘ইন্টারনেট শেষ হলেও, নো টেনশন’- এয়ারটেলের এই বিজ্ঞাপন দিয়ে আলোচনায় আসা লরেন কয়েকটি মিউজিক ভিডিও, নাটক এবং সর্বশেষ একটি স্বল্পদৈর্ঘ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এক তরুণের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তরুণটি মুসলিম ধর্মালম্বী হওয়ায় লরেনের বাবা-মা বিষয়টিকে মেনে নিতে চাইছিলেন না। বিষয়টি নিয়ে গত শনিবার রাতে লরেনকে বকাঝকা করেন মা-বাবা। একারণে রাতের কোনও এক সময়ে সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে ধারানা করা হয়।
পুলিশ জানায়, গত রোববার সকালে পরিবারের লোকজন লরেনকে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলতে দেখে দ্রুত উদ্ধার করে বসুন্ধরার এভারকেয়ার (সাবেক অ্যাপোলো) হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানান, বাবা-মায়ের সাথে অভিমান করে মডেল ও অভিনেত্রী লরেন আত্মহত্যা করেছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। তার আত্মহত্যার নৈপথ্যে কারও কোনও প্ররোচনা রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
স্বজনরা জানান, লরেন সর্বশেষ সঞ্জয় সমদ্দার পরিচালিত ‘ট্রল’ নামে একটি নাটকের শুটিংয়ে অংশ নেন। গত ২৬ আগস্ট অপূর্ব, তাসনিয়া ফারিনদের সাথে এ নাটকের শুটিং করেছেন তিনি। এদিকে, উঠতি মডেল ও অভিনেত্রী লরেন মেন্ডেসের আত্মহত্যার ঘটনায় শোকাহত সহকর্মীরা। সঙ্গীতশিল্পী নাহিদ বলেন, সে ইদানীং খুব অন্যরকম পোস্ট দিচ্ছিল ফেসবুকে। আমার গানে মডেল হবার কারণেই তার সাথে পরিচয়টা ছিল। লুসিফার নামে একটি চরিত্রকে সামনে এনে নানারকম পোস্ট দিচ্ছিল। আমি তার এই আচরণে একটু চিন্তিত হয়ে ফোন দিয়েছিলাম পরশুদিন। সে বলল লুসিফার একটা কাল্পনিক চরিত্র। তেমন কিছু না। আর তেমন কিছু বলেনি। নাহিদ বলেন, তার ছোট দু’টিবোন আছে, এক বোন থাকে দেশের বাইরে। খুবই হ্যাপি ফ্যামিলি তাদের। কী এমন হলো, কিছু বুঝলাম না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।