পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর নাখালপাড়ায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আশা এনজিও’র কার্যালয় থেকে এক দম্পতির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে স্বামী আসমত আলীর (৪৫) লাশ ঘরের ভেতরে ফ্যান থেকে ঝুলছিল। আর তার স্ত্রী ফারজানা বেগমের (৩২) লাশ পড়ে ছিল ঘরের মেঝেতে। তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন থাকায় পুলিশের ধারণা স্ত্রীকে হত্যা করে স্বামী নিজেই আত্মহত্যা করেছেন। গতকাল লাশগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছ হস্তান্তর করা হয়।
নিহত আসমত আলীর বাড়ি নরসিংদীতে। তারা নাখালপাড়ার লুকাস মোড়ে ৮৫ নম্বর বাসায় বসবাস করতেন। তাদের তিন সস্তান রয়েছে। বড় ছেলে রিফাত মোটর মেকানিক। আর আসমত আলী মাছের ব্যবসা করেন এবং তার স্ত্রী ফারজানা আশা এনজিও অফিসে বুয়ার কাজ করতেন। তাই আশা এনজিও’র অফিসের একটি রুমে থাকতেন তিনি।
তেজগাঁও থানার ওসি (তদন্ত) কামাল উদ্দিন দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, তাদের মধ্যে দাম্পত্য জটিলতা দীর্ঘদিনের। কলহের কারণে এক পর্যায়ে নাখালপাড়ায় কাছাকাছি দুটো বাসায় আলাদা থাকতে শুরু করেন তারা। তবে দুজনেই সন্তানদের দেখাশোনা করতেন। সন্তানরা বলেছে, মাঝেমধ্যে তাদের বাবা-মায়ের মিটমাট হয়ে যেত, আবার নতুন করে সমস্যা হত। গতকাল যে বাসায় দুজনের লাশ পাওয়া গেছে, সেখানে ফারজানা থাকতেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে ওই বাসায় যান আজমত। তখন দুজনের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে বড় ছেলে রিফাত বিষয়টি মিমাংসা করে দেয়। পরে ছেলে বাসা থেকে চলে যাওয়ার পর কোনো কারণে ফের তাদের মধ্যে ঝগড়া লাগে। এ সময় স্ত্রীকে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যা করেন আজমত।
ছেলে রিফাতের বরাত দিয়ে তিনি আরো বলেন, রিফাত রাতে বাসায় যাওয়ার পর তাদের রুমের দরজা বন্ধ পায়। গতকাল সকালে অনেক ডাকাডাকি করার পর দরজা না খোলাতে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে ফ্যানের সাথে স্বামীর লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় পায় এবং স্ত্রীর লাশ মেঝেতে পায়। পরে লাশ উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে জানান তিনি।
এদিকে, রিকশাচালককে মারধরের প্রতিবাদ করায় সোহাগ নামে এক কলেজছাত্রকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর উত্তরখান রাজাবাড়ি খ্রিস্টান পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সোহাগ স্থানীয় একটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। করোনায় এইচএসসি পরীক্ষা না হওয়ায় টঙ্গীতে দুলাভাইয়ের শুঁটকির ব্যবসায় সহযোগিতা করছিলেন সোহাগ।
উত্তরখান থানার ওসি মো. হেলাল উদ্দিন জানান, রিকশার চাকা থেকে কাদা ছিটকে গায়ে পড়ায় এক রিকশাচালককে বকাঝকা ও মারধর করে দুর্বৃত্তরা। তা দেখে প্রতিবাদ করেন সোহাগ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে একজন সোহাগের নাভির নিচে ছুরিকাঘাত করেন। পরে তাকে উদ্ধার করে উত্তরা নর্দান হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরো জানান, গতকাল দুপুরে তার লাশ উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ওসি বলেন, কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে আমরা তা খতিয়ে দেখছি। আমরা কয়েকজনকে শনাক্ত করে নজরদারিতে রেখেছি। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।