Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কারাগারের মই দিয়েই পলায়ন

এখনো লাপাত্তা সাজাপ্রাপ্ত সেই কয়েদি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ আগস্ট, ২০২০, ১২:০২ এএম

গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে পালানো যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি আবু বকর সিদ্দিকের (৩৪) ২২ দিনেও সন্ধান মেলেনি। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। গত ৬ আগস্ট কারাগারের মই দিয়ে সে পালিয়ে যায়। এ সময় তার পরনে সিভিল পোশাক ছিল। ওই সিভিল পোশাকের কারণে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কারারক্ষীরা কেউ বাধাও দেননি। পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় সরকারের গঠিত তদন্ত কমিটির অনুসন্ধানে এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত কারা মহা-পরিদর্শক কর্নেল আবরার হোসেন।

তিনি জানান, তদন্ত কমিটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ, ৪২ জন কারা কর্মকর্তা-কর্মচারীর সাক্ষ্য ও অন্যান্য নথি পর্যালোচনা করে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। পরে তদন্ত কমিটির সদস্যরা ৮ ও ১৩ আগস্ট কারাগার পরিদর্শন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, আমরা তদন্তে পেয়েছি, কাজের জন্য বানানো মই দিয়েই কারাগারের প্রধান ফটক অতিক্রম করে পালিয়েছেন ওই বন্দি। কারাগারের ভেতরে বিভিন্ন কাজের জন্য ব্যবহার করা হতো মইটি। কারাগারের ভেতরে ইলেকট্রিক্যাল ও বিভিন্ন কাজের জন্য মই ব্যবহার করে থাকে। নিয়ম হলো কাজের পরে মই খুলে প্রধান কারারক্ষী তত্ত¡াবধানে স্টোররুমে তালা দিয়ে রাখা। কাজের পরে সেই মই না খুলে কারাগারের ভেতরে স্টোরে রেখে দেয়। স্টোররুমের তালা না থাকায় সেই স্টোররুম থেকে মইটি নিয়ে পালিয়ে যায় বন্দি। কারাগারে থাকা কারারক্ষী ও কর্মকর্তাদের অবহেলার কারণেই বন্দি পালিযে যেতে পেরেছেন বলে তদন্ত কমিটিতে তা উল্লেখ করা হয়েছে।

তদন্ত কমিটি সূত্র জানান, জেলসুপার ও জেলার যদি কারা অভ্যন্তরে আরো তদারকি করতেন এবং ডেপুটি জেলাররা যদি তাদের নির্দিষ্ট এলাকাগুলো নিয়মিত ঘুরতেন এবং কারারক্ষীরাও যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতেন, তাহলে বন্দি পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেতো না। তদন্ত কমিটির মতে, পুরো ঘটনায় কারাবিধি ও সরকারি চাকরি বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হয়েছে। এ ঘটনার জন্য কাশিমপুর কারাগারের জেলসুপারসহ মোট ২৫ জনকে দায়ী করা হয়। দাষীদের বিরুদ্ধে কারাবিধি ও সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিমালা অনুয়ায়ী ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কারাগার

৭ ডিসেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ