বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী ও হরিপুর উপজেলার ভারত সীমান্ত সংগল্ন নাগর নদীতে কুমির দেখা মিলেছে । কুমির গুলো লম্বায় ৬-৭ ফুট । ওজনে ৫০-৬০কেজি ।কোনটা আবার আকারে ছোট । নদীতে কুমির দেখার পর জেলেরা প্রাণের ভয়ে মাছ ধরতে নদীতে নামছে না । কুমির আতংকে ভুগছে গ্রামবাসিরা ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, নাগর নদী সংলগ্ন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার নিটালডোবা গ্রামের সমিরউদ্দিন জানান সোমবার বিকালে স্থানীয়রা ওই নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে আকস্মিক দেখতে পায় ওই নদীতে একটি কুমির ভাসছে । কুমি দেখে জেলেরা চিৎকার করলে এলাকার শত শত মানুষ সেখানে ছুটে যায় । উত্তর নিটালডোবা গ্রামের হালিমার মেয়ে লাবনী বলেন তিনি দুর থেকে কুমিরটির ছবি তুলেছেন । তবে অনেক মানুষের সমাগম দেখে মূহূর্তের মধ্যে কুমিরটি পানিতে ডুব দিলে আর দেখা যায়নি । গ্রীন ল্যান্ড টি কোম্পানির মালিক ফয়জুর রহমান বলেন ওই নদীতে কুমির রয়েছে । তবে নিদিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না কুমির টি কোথায় অবস্থান করছে বলে মন্তব্য করেন পাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান ।
৬-৭ দিন আগে হরিপুর উপজেলার যাদুরাণী এলাকায় একই নদীতে স্থানীয়রা কুমির দেখতে পায় । বাংলাদেশ বডার্র গার্ড (বিজিবি)এর ডাবরী বিওপির কম্পানি কমান্ডার নায়েক সুবেদার মিজানুর রহমান বলেন পাঁচ-ছয়টা কুমির দেখা মিলেছে । তারা এব্যপারে স্থানীয় জেলেদের নদীতে নামতে সর্তক করেছেন ।
এ বছর বন্যায় এলাকা প্লাবিত হয় , বন্যার পানিতে কুমির গুলো ভারত থেকে এই নদীতে ঢুকে পড়ে বলে এ মন্তব্য করেন গেদুরা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ। তবে তিনি বলেন এখন নদীর পানি কমে যাওয়ায় কুমির গুলো নিরাপদ আশ্রয় ও খাবারের জন্য ছুটাছুটি করছে ।
বরুয়াল গ্রামের আব্দুল মতিন বলেন এলাকার ৫০টি পরিবার নদীতে মাছ ধরে সংসার চালায় । কুমির দেখে এখন তারা নদীতে নামতে সাহস পাচ্ছে না । এছাড়া কৃষকরা নদী ওপারে গিয়ে ক্ষেত খামারের পরিচ্চার্ করতে এবং গবাদি পশুকে ঘাস খাওয়াতে যেতে ভয় পাচ্ছে । একই ভাবে জানালেন বালিয়াডাঙ্গীর শালডাঙ্গা গ্রামের ফরিদ ও আবু সুফিয়ান । বনভিবাগের কর্মকতার্ হরিপদ দেবনাথ বলেন ৩ দিন আগে কুমির দেখা মিললেও এখন নেই । জেলা মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তা আফতাব হোসেন বলেন সরেজমিন দেখে জেলেদের বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানাবেন ।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক কে এম কামরুজ্জামান সেলিম বলেন তিনি বিষয়টি দেখবেন ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।