মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সউদী আরবের মতো বাহরাইনও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে কোনোরকম সম্পর্ক নয় বলে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপসাগরীয় দেশটির বাদশাহ হামাদ বিন ইসা আল খলিফা। গতকাল বুধবার (২৬ আগস্ট) দুই নেতার বৈঠকের পর বাহরাইনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে,
এর আগে মঙ্গলবার সুদানের অন্তবর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লা হামদাকও পম্পেওকে জানিয়ে দেন, ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার তার সরকারের নেই। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
গত ১৩ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্ততায় ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চুক্তি স্বাক্ষরের ঘোষণা দেয় সংযুক্ত আরব আমিরাত। এরপরই ইসরায়েল ও মার্কিন কর্মকর্তারা প্রকাশ্যেই বলতে শুরু করেন, অচিরেই আরও কয়েকটি আরব রাষ্ট্র একই পথ অনুসরণ করবে বলে আশা করছেন তারা। আর এতে রাজি করাতে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার কয়েকটি দেশে পাঁচ দিনের সফরে রয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সফরের শুরুতেই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাতের পর মঙ্গলবার সুদান পৌঁছান তিনি।
সুদান থেকে ফিরে বুধবার মানামায় বাহরাইনের বাদশাহ হামাদ বিন ইসা আল খলিফার সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। ওই বৈঠকে বাহরাইনের বাদশাহ তাদের মিত্র এবং আঞ্চলিক শক্তি সৌদি আরবের অবস্থানের প্রতিধ্বনি করেন। আমিরাত-ইসরায়েল চুক্তিকে স্বাগত জানালেও রিয়াদ স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর কোনও কাজে আসবে না।
বাহরাইনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার খবরে বলা হয়েছে, বাদশাহ হামাদ বিন ইসা আল খলিফা মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছেন যে, তার দেশ এখনও আরব শান্তি উদ্যোগের প্রতি প্রতিশ্রুতিশীল। উল্লেখ্য, ২০০২ সালে আরব লীগের মাধ্যমে ওই উদ্যোগ নেওয়া হয়। এতে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিনিময়ে ১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের পর দখল করা পশ্চিম তীর, গাজা ও পূর্ব জেরুজালেমের সব এলাকা থেকে ইসরায়েলি দখল অপসারণ এবং সেখানে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেওয়া হয়। তবে এই প্রস্তাব বাস্তবায়নের পক্ষে ইসরায়েল কোনও উদ্যোগই নেয়নি।
উল্লেখ্য, স্বাভাবিক কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা না করলেও ১৯৯০’র দশক থেকেই ইসরায়েলের সঙ্গে নানাভাবে যোগাযোগ বজায় রেখেছে বাহরাইন। প্রথম আরব দেশ হিসেবে আমিরাত-ইসরায়েল চুক্তিকে স্বাগত জানায় তারা। ফলে অনেক পর্যবেক্ষকই মনে করতে থাকেন আমিরাতকে অনুসরণ করবে মানামা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।