পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশে অবলীলায় গুম-বিচারবর্হিভুত হত্যাকান্ড ঘটছে বলে অভিযোগ করেছেব বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এনফোর্স ডিজএপিয়ারেন্স- এটা একটা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। জাতিসংঘের চার্টারে সেটা আছে। অথচ সেটা এখানে (বাংলাদেশ) অবলীলায় ঘটে যাচ্ছে। অথচ যখন দেখি যে, সেনা প্রধান আর আইজি প্রধান দু‘জনে পাশাপাশি বসে প্রেস কনফারেন্স করেন, মেজর সিনহার গুলির পরে- এটা একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলেন। তখন কার কাছে যাবো? কোথায় যাবো? কি বলব? গতকাল বুধবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনটির গুম-বিচারবর্হিভূত হত্যার শিকার নেতা-কর্মীদের ৪০টি পরিবারকে সহযোগিতা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
করোনা মহামারীর কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠানে গুম ও খুন হওয়া ঢাকা মহানগরের এসএম আদনান চৌধুরী, কাওসার হোসেন, ডা. সগীর, নজরুল ইসলাম, মো. মজিদ, ঢাকা জেলার ফয়সল উদ্দিন হাশেমী ও মানিকগঞ্জের মো. শাওন-এই সাত পরিবারের সদস্যের হাতে আর্থিক সহযোগিতার টাকা তুলে দেন মহাসচিব। অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে স্কাইপের মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
এই অবস্থার পরিবর্তনে জনগণকে জেগে উঠার আহবান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আর কতকাল, কত দিন আমরা এভাবে চোখের অশ্রু ফেলব? আজকে যারা স্বাধীনতার জন্য লড়াই করে, যারা গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করে, অধিকারের জন্য লড়াই করে তাদেরকে নির্মম-নির্যাতন-অত্যাচারের শিকার হতে হয়। তারা আর্তনাদ করছেন তাদের প্রিয়জনদের ফিরিয়ে পাওয়ার জন্যে।
তিনি বলেন, গুম হওয়া, খুন হওয়া মানুষের আর্তনাদ তাদের (সরকার) কানে পৌঁছায় না। কারণ তারা ক্ষমতায় টিকে থাকবার জন্যে নিরহ মানুষকে হত্যা করতে তাদের এতটুকু দ্বিধা হয় না, নিরহ সন্তানদের পিতৃহারা করতে তাদের এতোটুকু সংকোচ হয় না। ইলিয়াস আলী, পারভেজ আলম হিরু, চৌধুরী আলমমহ অসংখ্য নেতাকর্মী গুম হওয়ার ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আপনাদের (গুম হওয়া পরিবার) এই ত্যাগ গোটা জাতিকে নিঃসন্দেহে শক্তি যোগাবে জেগে উঠতে, নিসন্দেহে এরা পরাজিত করবে সেই সমস্ত ভয়ংকর দুর্বৃত্ত, ভয়ংকর দানবকে। এই লড়াইয়ে আমরা জয়ী হবো। আমরা এটা বিশ্বাস করি। তা নাহলে মানব জাতির ইতিহাস ভুল হয়ে যাবে। জোর করে কেউ টিকতে পারে নাই, নমরুদ পারে নাই, ফেরাউন, হিটলার পারে নাই। সুতরাং জোর করে কেউ টিকতে পারবে না। অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছাসেবক দলের মরহুম সভাপতি শফিউল বারী বাবুর স্মৃতির প্রতিও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিএনপি মহাসচিব।
স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েলের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ২০১৪ সালে গুম হওয়া এসএম আদনান চৌধুরীর বাবা রুহুল আমিন চৌধুরী ও কাওসার হোসেনের মেয়ে লামিয়া আক্তার, ২০০৯ সালে পুলিশের গুলিতে নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সাজেদা বেগম, প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির হাবিব উন নবী খান সোহেল, ফজলুল হক মিলন, মীর সরফত আলী সপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের গোলাম সারোয়ার, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, ইয়াসীন আলী, সাদরেজ জামান, এসএম জিলানি, ফখরুল ইসলাম রবিন, গাজী রেজওয়ানুল হোসেন রিয়াজ, নজরুল ইসলাম, রফিক হাওলাদার, হারুনুর রশীদ, আজিজুর রহমান মোসাব্বির, বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের রিয়াজউদ্দিন নসু, শায়রুল কবির খান প্রমুখ। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।