পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে সৌর্ন্দয নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। ময়লার গন্ধে মহাসড়কে যাতায়াতকারী যাত্রীদের নাভিশ্বাস চরমে। এতে ক্ষুব্ধ খোদ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
গত মঙ্গলবার ভিডিও কনফারেন্সে কুমিল্লা জোনের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি পর্যালোচনার সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, নিষেধ করার পরও কেন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে ময়লা আবর্জনা রয়েছে এ ব্যপারে সড়ক পরিবহন ও সেতু বিভাগের কুমিল্লা জোনের কর্মকর্তার কাছে কৈফিয়তও চান মন্ত্রী। অন্যদিকে মন্ত্রীর এই নির্দেশের পরও মহাসড়কের পাশে বিভিন্ন পৌরসভার গাড়ি দিয়ে গতকাল বুধবারও আবর্জনা ফেলতে দেখা গেছে। মন্ত্রীর এই নিদের্শের পরও কেন এভাবে মহাসড়কের পাশে ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে জানতে চাইলে শ্রমিকরা দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, বিভিন্ন পৌরসভা কিংবা বাজার কমিটির নির্দেশে এসব ময়লা ফেলা হচ্ছে।
গতকাল সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মহাসড়কের পাশে শতাধিক ময়লার ভাগাড় গড়ে উঠেছে। দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ মহাসড়কে চলাচলকারীরা। দিন যতই যাচ্ছে ময়লার স্তূপ ততই বড় হচ্ছে। স্থানীয় হাটবাজার, পাড়া-মহল্লা এমনকি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বর্জ্য ফেলার স্থান হিসেবেও বেছে নেওয়া হয়েছে মহাসড়ককে। ফলে সড়কের দুপাশের বাতাস হয়ে উঠছে বিষাক্ত। নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে উৎকট গন্ধে। এতে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। বিশেষ করে স্কুল শিক্ষার্থীরাসহ পথচারীরা চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন।
সোনারগাঁওয়ের মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে মাহাসড়কের দুই পাশে ময়লা-আবর্জনা ফেলে ভাগাড় সৃষ্টি করা হয়েছে। শুধু মোগরাপাড়া নয় ভবেরচর, গজারিয়া, দাউদকান্দি, গৌরীপুর, ইলিয়টগঞ্জ, কুটুম্বপুর, মাধাইয়া, চান্দিনা, নিমসার, ক্যান্টারমেন্ট, ঝাগুরজুলি, পদুয়ার বাজার ও চৌদ্দগ্রাম, মিরাইসরাই, সীতাকুন্ড এলাকায় প্রতিদিন শত শত টন ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। এতে অস্বস্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি হলেও ময়লা-আবর্জনা সরানোর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না মহাসড়ক কর্তৃপক্ষ। কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াগুজ্জামান দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, বর্জ্য পোড়ানোর বিষাক্ত ধোঁয়ায় মানবদেহের মারাত্মক ক্ষতি।
মহাসড়ক চারলেন প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক জুলফিকুল আলী বলেন, কোনোভাবেই মহাসড়কের পাশে ময়লা-আবর্জনা ফেলা যাবে না। ইতোমধ্যে পৌরকর্তৃপক্ষ এবং বাজার কমিটির কাছে সড়কের পাশে ময়লা-আবর্জনা না ফেলতে বার বার চিঠি দিয়েছি। ময়লাগুলো সরিয়ে ফেলতে দ্রুত তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ কুমিল্লা অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আহাদ উল্লাহ জানান, বিনা অনুমতিতে আমাদের রাস্তা ও রাস্তাসংলগ্ন জায়গা এক ধরনের দখল করে ময়লা-আবর্জনা ফেলে আসছে। এতে আমরা ভীষণ বেকায়দায় পড়েছি। তিনি বলেন আমরা খুব শিগগিরই মহাসড়কের পাশের বিভিন্ন পৌর কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে চিঠি দেব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।