পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সম্প্রতি বিভিন্ন ইস্যুতে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপির ডিজিটাল আর্মির আক্রমণের শিকার হচ্ছেন ভারতের মুসলিম তারকারা। কিছুদিন আগেই তুরস্কের ফার্স্ট লেডির সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করে বিজেপির তোপের মুখে পড়েছিলেন আমির খান। এবার তাদের নতুন শিকার হলেন সাইফ আলি খান। অপরাধ, আন্তজীবনী লেখা!
গত ১৬ আগস্ট জীবনের ৫০তম বছরে প্রবেশ করেছেন পাতৌদিনের তৎকালীন নবাব তথা ভারতীয় ক্রিকেট টিমের সাবেক অধিনায়ক মনসুর আলি খান পাতৌদি এবং অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুরের সন্তান সাইফ আলি খান। মায়ের পেশাকেই নিজের পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন তিনি। নয়ের দশকে রোমান্টিক নায়ক হিসেবে নিজের পরিচিতি গড়েছিলেন সাইফ। পরে তা ভেঙে ‘ওমকারা’, ‘একলব্য’ থেকে ‘লাল কাপ্তান’, ‘তানাজি’র মতো সিনেমায় বিভিন্ন ভ‚মিকায় পারদর্শিতা দেখান। নিজের জীবনের এই সমস্ত জানা-অজানা ঘটনাই আত্মজীবনীতে তুলে ধরতে চলেছেন পাতৌদির দশম নবাব। ২০২১ সালে প্রকাশ্যে আসবে তার লেখা বই।
এই খবর প্রকাশ হতেই, এটিকে ইস্যু বানিয়ে পরিকল্পিতভাবে তার বিরুদ্ধে সমালোচনা শুরু করেছে বিজেপির ডিজিটাল আর্মি। প্রকাশিত না হওয়া আত্মজীবনীকে নেপোটিজমের চ‚ড়ান্ত দলিল আখ্যা দিয়েছেন অনেকে। অনেকে আবার কটাক্ষ করে লিখেছেন, ‘সাইফের আত্মজীবনে সেই সমস্ত মানুষের কাছে উদাহরণ হতে পারে যারা ক্রমাগত অবসর না নিয়ে বাজে অভিনয় করে যেতে পারেন।’
ভারতের রাজনীতির সাথে মানিয়ে না চলায় এর আগেও বলিউড তারকাদেরকে সমালোচিত হতে হয়েছে। এ বিষয়ে কিছুদিন আগে আন্তর্জাতিকসংবাদ মাধ্যম গালফ নিউজের ভারতীয় প্রতিনিধি স্বাতী চতুর্বেদী জানিয়েছিলেন, ‘বিজেপির এজেন্ডা স্পষ্ট, সুপারস্টারদের আদর্শগতভাবে বিজেপির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে এবং নির্বাচনী প্রচারে তাদের হয়ে কাজ করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। অন্যথায়, সরকার এবং তার ট্রোল বাহিনীর অবিরাম আক্রমণের মুখে পড়তে হবে।’ তিনি বিজেপির ‘উদ্দেশ্যমূলক ও নিয়ন্ত্রিত’ ট্রলিং নিয়ে ‘আই এম এ ট্রোল’ নামে একটি বই প্রকাশ করেছিলেন। সূত্র : দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।