মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রাজনৈতিক উচ্চাকাক্সক্ষী আবদুল রশিদের জন্ম মিয়ানমারেই। সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের যে কয়েকজন সদস্য দেশটিতে টিকে আছেন, তিনি তাদের একজন। তার বাবা ছিলেন সরকারি চাকরিজীবী। কিন্তু নভেম্বরের নির্বাচনে আবদুল রশিদ প্রার্থী হতে পারছেন না। তার পরিচয়ে বিদেশি ভিত্তি রয়েছে বলে অভিযোগ কর্মকর্তাদের। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য মিলেছে। আসছে নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে অন্তত এক ডজন রোহিঙ্গা মুসলিম প্রার্থী হওয়ার আবেদন করেছেন। শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সুচির নেতৃত্বাধীন নতুন গণতান্ত্রিক সরকারের অধীন তারা রাজনীতি করার অধিকার পাবেন বলে প্রত্যাশা থেকেই প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ইতিমধ্যে ছয় জনের আবেদনই প্রত্যাখ্যান করা হয়। অজুহাত হিসেবে তাদের জন্মের সময় বাবা-মা মিয়ানমারের নাগরিক ছিলেন বলে প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে। জান্তা শাসন থেকে গণতান্ত্রিক উত্তরণে মিয়ানমারের নির্বাচন একটি গুরুত্বপ‚র্ণ পরীক্ষা। মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, রোহিঙ্গা প্রার্থীদের অযোগ্য ঘোষণা সংস্কারের সীমাবদ্ধতার কথাই সামনে নিয়ে আসে। ব্রিটেনে বার্মা রোহিঙ্গা সংস্থার প্রধন তুন খিন বলেন, নৃতাত্তি¡ক ও ধর্মীয় পরিচয় আলাদাভাবে বিবেচনা না করে মিয়ানমারে সবাইকে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে। ইয়াঙ্গুনে নিজের বাসায় দিস্তায় দিস্তায় চিঠি ও পরিচয়পত্র উল্টে যাচ্ছেন আবদুল রশিদ। তিনি বলেন, সরকারের ইস্যু করা সব নথি আমার কাছে আছে। আমার বাবা-মা যে নাগরিক ছিলেন, তারা সেই সত্য স্বীকার করতে চাচ্ছে না। এটা অবশ্যই উদ্বেগের বিষয়। সুচির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মনইয়াও অং শিন বলেন, আইন মেনেই প্রার্থীতা বাতিল করছে নির্বাচনী সংস্থাগুলো। হোক সে বাঙালি কিংবা অন্য কিছু, বিদেশি ও অনৃতাত্তি¡ক লোকজন নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন না। রাখাইন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের প্রধান টিন হ্লেইং বলেন, এটা নিশ্চিত যে আবদুল রশিদের জন্মের সময় তার বাবা-মা মিয়ানমারের নাগরিক ছিলেন না। আবদুল রশিদের কাছে তার বাবা-মায়ের যে কাগজপত্র আছে, নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য তা যথেষ্ট বলে তিনি মনে করেন। ১৯৯০ সালে এসব পরিচয়পত্র উঠিয়ে নেয়া হয়েছিল। পরিবর্তে রোহিঙ্গাদের একটি সাদা পরিচয়পত্র ধরিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু ২০১৫ সালে সেটিও অকার্যকর ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট থেইন সেন। সুচিকে ক্ষমতায় নিয়ে আসা ওই নির্বাচনে রোহিঙ্গাদের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। ভোটাধিকার ও প্রার্থিতা কেড়ে নেয়ার পরেও দীর্ঘ সময়ে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে যাওয়া সুচির ওপর আস্থা রাখতে চাচ্ছেন বহু রোহিঙ্গা। ডেমোক্রেসি ও হিউম্যান রাইটস পার্টির(ডিএইচআরপি) মহাসচিব কেইয়াও সো অং বলেন, আমরা আগের পরিস্থিতি বুঝতে পারছি। আগের সরকারগুলো সামরিক ছিল, তারা গণতান্ত্রিক রীতিনীতি অনুসরণ করত না। তিনি জানান, কিন্তু সুচিকে বোঝা বেশ কঠিন। তিন ও তার গণতান্ত্রিক সরকারও কেন জান্তা সরকারের মতো আচরণ করছেন, তা বুঝতে পারছি না। ১৯৯০ সালের নির্বাচনে একটি আসনে জয়ী হওয়া ডিএইচআরপি দলের চেয়ারম্যান কেউ মিনের(৭২) প্রার্থিতাও চলতি সপ্তাহে বাতিল ঘোষণা হয়েছে। যদিও অন্যান্য গণতান্ত্রিক নেতাদের সঙ্গে তাকে বহুদিন কারাগারে থাকতে হয়েছে। আবু তাহিয়া নামের এক রোহিঙ্গাকে প্রার্থী হতে বাধা দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, নির্বাচন থেকে রোহিঙ্গাদের বাদ দেয়ার অর্থ হচ্ছে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার অর্জনের সুযোগ নষ্ট করে দেয়া। তাদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।