পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত চট্টগ্রামে কলকারখানা পুরোদমে উৎপাদন চলছে। করোনার ধাক্কা সামাল দিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় আরো গতি এসেছে। রফতানি বাড়ছে, বাড়ছে রফতানি আদেশও। কলকারখানায় ব্যাপক শ্রমিক ছাঁটাইয়ের যে আশঙ্কা করা হয়েছিলো তাও এখন আর নেই। ফলে নতুন উদ্যোমে কাজে নেমেছে লাখ লাখ শ্রমিক।
চট্টগ্রামের তিনটি ইপিজেড, বিজিএমইএর অধীন প্রায় সাড়ে তিনশ তৈরি পোশাক কারখানা এবং এই অঞ্চলের ভারী ও মাঝারি কারখানায় উৎপাদনে গতি এসেছে। ইস্পাত ও সিমেন্ট খাতের ভারী কারখানার উৎপাদন বরাবরই স্বাভাবিক রয়েছে। ক্ষুদ্র শিল্প কারখানাগুলোও সচল হতে শুরু করেছে। ইপিজেড এবং তৈরি পোশাক খাতে রফতানি আদেশ বাড়ছে।
তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুস সালাম বলেন, তৈরি পোশাক যেসব দেশে রফতানি হয় সেসব দেশের করোনা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। তবে আশার কথা হলো আমরা রফতানি আদেশ পেতে শুরু করেছি। এ ধারা অব্যাহত থাকলে তৈরি পোশাক খাত ঘুরে দাঁড়াবে।
দেশের প্রথম এবং সবচেয়ে বড় ইপিজেড চট্টগ্রাম ইপিজেডের জেনারেল ম্যানেজার খুরশিদ আলম বলেন, এ ইপিজেডে করোনার আগের পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ১৫৬ কারখানায় প্রায় দুই লাখ শ্রমিক কাজ করছেন। পণ্য রফতানিও বাড়ছে। বেশির ভাগ কারখানা ৪৫ থেকে ৫০ ভাগ রফতানি আদেশ ফিরে পেয়েছে। কোন কোন কারখানা ৯০ ভাগ রফতানি আদেশ পেয়েছে। নিউইর্য়ক ও ইউরোপের কিছু দেশ ছাড়া অন্যসব দেশ থেকে কম বেশি রফতানি আদেশ আসছে।
আগামী দুই এক মাসের মধ্যে রফতানি কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলেও জানান তিনি। এপ্রিলে কয়েকটি কারখানার কিছু শ্রমিক গ্রামে গিয়ে ফিরেনি জানিয়ে তিনি বলেন, কোন কারখানায় শ্রমিক ছাঁটাই হয়নি। এপ্রিলের শেষ দিকে ইপিজেডের প্রায় সব কারখানা খুলে দেওয়া হয়। আশঙ্কা করা হয়েছিলো তাতে সংক্রমণ বাড়বে। তবে কোন কারখানায় কোন শ্রমিক করোনা আক্রান্ত হননি বলে জানান খুরশিদ আলম।
কর্ণফুলী ইপিজেডের জেনারেল ম্যানেজার মশিউদ্দিন বিন মেজবাহ বলেন, ইপিজেডের ৪১টি কারখানা পুরোদমে চালু আছে এবং এসব কারখানায় ৬৫ হাজার শ্রমিক কাজ করছেন। কারখানাগুলো ভাল অবস্থানে আছে বিদেশে পণ্য রফতানি বাড়ছে। রফতানি আদেশ বাতিল হওয়ার যে আশঙ্কা ছিলো তাও কেটে যাচ্ছে। খুব শিগগির পণ্য রফতানি করোনার আগের সময়ের মতো স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
কর্ণফুলীর ওপারে ইয়ংওয়ান গ্রæপের মালিকানাধীন কোরিয়ান ইপিজেড বা কেইপিজেডের ২২টি কারখানায় শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার। কারখানাগুলো এখন পুরোদমে চালু আছে। বিজিএমএ নেতারা জানান, করোনার শুরুতে কিছু কারখানা বন্ধ হলেও এখন ২৩২টি পোশাক কারখানা সচল আছে। এসব কারখানায় কয়েক লাখ শ্রমিক কাজ করছেন। পণ্যরফতানিও বাড়ছে।
চট্টগ্রামে সিমেন্ট, রি-রোলিং মিলসহ ভারী শিল্প কারখানাগুলোতে পুরোদমে উৎপাদন চলছে। উন্নয়ন কর্মকাÐ শুরু হওয়ায় সিমেন্ট রডের চাহিদাও বাড়ছে। করোনাকালে লকডাউনের মধ্যেও চট্টগ্রাম বন্দর সচল ছিলো। ফলে কোন কারখানাকে কাঁচামালের সঙ্কটে পড়তে হয়নি। গ্যাস বিদ্যুতের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকায় উৎপাদন স্বাভাবিক রয়েছে। তবে আবাসন, পর্যটনসহ কিছু কিছু খাতে এখনও মন্দাবস্থা চলছে। ক্ষুদে বিনিয়োগকারীরাও ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।