পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপি সরকারের ভুল-ভ্রান্তি ছিল’ স্বীকার করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বিএনপি সরকারের ভুলের খেসারত দেশের জনগণসহ বেগম খালেদা জিয়াকে দিতে হচ্ছে। গতকাল নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা জেলা বিএনপির আয়োজনে দলটির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মরহুম আব্দুল মান্নানের স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, মনের ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় সরকারে থাকতে ভুল-ভ্রান্তি আমাদের কিছু ছিল। যার খেসারত আজকে জনগণ দিচ্ছে, আমরা দিচ্ছি, খেসারত তারেক রহমান দিচ্ছেন, খেসারত খালেদা জিয়া দিচ্ছেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, যারা অপকর্ম করেছে তারা খেসারত দেয়নি। তারা কিন্তু আমাদের আশপাশে আরও বলীয়ান হওয়ার চেষ্টা করছে। এটা (২১ আগস্টের ঘটনা) বাংলাদেশের ভাবনা থেকে হয়নি, এই ভাবনার পরিকল্পনা অন্য কোথাও বাস করে। ‘বিএনপির নেতৃত্বকে কবর দিতেই ২০০৪ সালের সংঘটিত ২১ আগস্টের ঘটনা এক-এগারোর রি-অ্যারেজমেন্ট’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২১ আগস্টের ঘটনা শেখ হাসিনাকে মারার বড় চক্রান্ত- এখানেই সীমাবদ্ধ ছিল না। যদি থাকে, এই চক্রান্ত ছিল সেদিন জাতীয়তাবাদী শক্তির নেতৃত্বের কবর দেয়া। এটা একটা রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে বিএনপির ওপর প্রয়োগ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ওই ঘটনার প্রকৃত দোষীরা এখনও বেঁচে আছে, নিরাপদে বেঁচে আছে এবং ভালো আছে। তারা দেশে আছে, দেশের বাইরেও আছে। সেটা সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার কারও অজানা থাকার কোনো কারণ নেই। সেটা দেশি-বিদেশি গোয়েন্দারা সম্মিলিতভাবে কাজ করলে তাদের নখদর্পণে থাকার কথা। যেহেতু এটা একটি রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশের ব্যাপার সেই কারণে আসল ঘটনা কখনও আলোর মুখ দেখবে না, আপনারা-আমরা জানব না।
বিএনপির এ নেতা বলেন, এই যে ভুল অ্যাপ্লিকেশন পলিটিক্সে- মিথ্যা দিয়ে সত্যকে চাপা দেয়া, দুর্ঘটনার মধ্য দিয়ে সামগ্রিক রাজনীতিকে দুর্ঘটনায় ফেলা। ২১ আগস্ট এই রকম ঘটনা- যা ১/১১-র কোনো রি-অ্যারেজমেন্ট হতে পারে। এই যে ১/১১টা আসছে সরকারে। ১/১১-তে কে ভিকটিম হয়েছে? বিএনপি হয়েছে, খালেদা জিয়া হয়েছে। ১/১১-তে লাভবান হয়েছে কে? আওয়ামী লীগ। তাহলে ডাউট অব দ্যা বেনিফিসারি যদি বলা হয় ১/১১ এর মাধ্যমে বেনিফিট হয়েছে বিএনপির অতি মুখোমুখি প্রতিপক্ষ।
দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, ২১ আগস্ট মিটিং হওয়ার কথা ছিল মুক্তাঙ্গনে, সেই মিটিং আওয়ামী লীগ নিয়ে গেছে তাদের পার্টি অফিসের সামনে। পুলিশকেও ঠিকমত অবহিত করা হয়নি। একটি দেশে কত ধরনের চক্রান্ত হতে পারে। দেশে ওয়ান এলিভেন, আমেরিকায় নাইন এলিভেন হয়েছে। আমেরিকানরা কি বলে বুশ এর সাথে জড়িত ছিল? বিডিআর হত্যাকাÐ আওয়ামী লীগ আসার পরে হয়েছে। এখন আমরা যদি বলি এটার জন্য শেখ হাসিনা দায়ী, শেখ হাসিনা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। নারায়ণগঞ্জে সাত খুন হয়েছে আমরা কি বলবো এটার জন্য প্রধানমন্ত্রী দায়ী? তিনি বলেন, আমার কাছে একটা জিনিস খুব খটকা লাগল প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় তারেক রহমান জড়িত। তাহলে আপনাদের আন্দোলনের ফসল মঈনউদ্দিন-ফখরুদ্দিন সরকার চার্জশিটে তারেক রহমানের নাম কেন দেয়নি? আপনার রাষ্ট্রক্ষমতায় এসে আইন-আদালত কব্জা করে তারপর তার নাম দিতে হলো। তাতে কি প্রমাণিত হয় না এই মামলায় আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নাম প্রতিহিংসামূলকভাবে দেয়া হয়েছে।
ঢাকা জেলা সভাপতি দেওয়ান মো. সালাহউদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাকের পরিচালনায় আলোচনা সভায় দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী, আমিনুল ইসলাম, ধামরাই উপজেলা চেয়ারম্যান তমিজউদ্দিন আহমেদ, মরহুম আবদুল মান্নানের একমাত্র কন্যা ব্যারিস্টার মেজনাজ মান্নান প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।