পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের পশ্চিমাঞ্চলের সড়ক এবং ডিজিটাল যোগাযোগ উন্নয়নে নতুন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। চার লেনে উন্নীত করা হচ্ছে যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়ক। ফলে পশ্চিমাঞ্চলীয় অর্থনৈতিক করিডর গড়ে তোলার কাজ সহজ হবে।
এতে ২ কোটি মানুষ সরাসরি উপকৃত হবে। জাতীয় অর্থনীতিতে আসবে নতুন গতি। ওয়েস্টার্ন ইকোনমিক করিডর অ্যান্ড রিজিওনাল এনহান্সমেন্ট নামে এই কর্মসূচিতে ৫০ কোটি ডলারের ঋণ ইতিমধ্যে অনুমোদন করেছে বিশ^ব্যাংক। প্রকল্পের আওতায় পশ্চিমাঞ্চলের চারটি জেলাজুড়ে যশোর-ঝিনাইদহ করিডর ধরে বাংলাদেশকে সড়ক যোগাযোগ উন্নত করতে ভ‚মিকা রাখবে। এ প্রকল্পের আওতায় এখনকার ১১০ কিলোমিটার দুই লেনের মহাসড়ক ভোমরা-সাতক্ষীরা-নাভারণ ও যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীত করা হবে।
এ ছাড়া পশ্চিমাঞ্চলে বাংলাদেশের জলবায়ু সহনশীল চার লেন মহাসড়কটি সরকারের ২৬০ কিলোমিটার অর্থনৈতিক করিডর উন্নয়নের লক্ষ্য পূরণে ভ‚মিকা রাখবে। প্রকল্পের আওতাভুক্ত মহাসড়ক যশোর, খুলনা, ফরিদপুর, নড়াইল, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা এবং বেনাপোল স্থলবন্দরের মাধ্যমে প্রতিবেশীর সঙ্গে সংযুক্ত করবে। এভাবে করিডর বরাবর বাণিজ্য, ট্রানজিট ও পণ্য সরবরাহ বাড়িয়ে এই অঞ্চলের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো সম্ভব হবে। সড়কের গুরুত্ব বিবেচনায় প্রথম পর্যায়ে যশোর থেকে ঝিনাইদহ পর্যন্ত ৪৮ কিলোমিটার মহাসড়ক উন্নীত করা হবে চার লেনে।
প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ৫০ কোটি ডলারের ঋণ বিশ্বব্যাংকের বোর্ড ইতোমধ্যেই অনুমোদন করেছে। এমনকি বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশের মধ্যে ঋণের বিষয়ে নেগোসিয়েশন (সমঝোতা) হয়ে গেছে। এখন বাকি শুধু চুক্তির। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি চ‚ড়ান্ত অনুমোদন পেলেই চুক্তি অনুষ্ঠিত হবে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) বিশ্বব্যাংক উইংয়রে প্রধান (অতিরিক্ত সচিব) সাহাবুদ্দীন পাটোয়ারি বলেন, যশোর থেকে ঝিনাইদহ সড়ক ফোরলেনে রূপ দিতে ৫০ কোটি ডলার ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক। সড়কটি অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইতোমধ্যেই বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে নেগোসিয়েশন হয়ে গেছে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সূত্র জানায়, নানা কারণে প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হচ্ছে। জাতীয় এবং আঞ্চলিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ব্যাপক সম্ভাবনা আছে এ অঞ্চলের। এই প্রকল্প সেই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সহায়ক হবে। এ অঞ্চলে উৎপাদিত পণ্য খামার থেকে হাটে, রাজধানী ঢাকা এমনকি প্রতিবেশী দেশগুলোতেও যেতে পারে। এভাবে এই প্রকল্প বাণিজ্য এবং ট্রানজিট ও করিডোরকে শক্তিশালী করবে।
প্রকল্পের আওতায় রুটের উভয়পাশে সেøা মুভিং ভেহিক্যাল ট্রাফিক (এসএমভিটি) লেন নির্মাণ করা হবে। সড়কের যেখানে যানজট বেশি হবে সেখানে নির্মাণ করা হবে ফ্লাইওভার। এছাড়া রেলওয়ে ওভারপাস, সেতু, কালভার্ট, পেডিসটেইন ওভারপাস, আন্ডারপাস নির্মাণ করা হবে। শিল্পায়ন, নগরায়ন ও মানবসম্পদ উন্নয়নে প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করবে। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন অনুবিভাগ) চন্দন কুমার দে বলেন, যশোর-ঝিনাইদহ সড়কটি আমরা বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছি। এই রুটকে ফোর লেনে উন্নীত করবো। অর্থের জন্য একটা টেনশন থাকে সেটা নেই। এই প্রকল্পের জন্য বিশ্বব্যাংক ঋণ দেবে। আমরা প্রকল্পের ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা) তৈরি করছি।
এদিকে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নের জন্য এই প্রকল্পের আওতায় হাইওয়ে ধরে ফাইবার অপটিক ক্যাবলও বসানো হবে, যার নির্ভরযোগ্য ও সাশ্রয়ী মূল্যের ইন্টারনেট অ্যাকসেস সরবরাহ করা সম্ভব হবে। ব্যবসায়িক ধারাবাহিকতার জন্য কোভিড-১৯ মহামারীর মতো সঙ্কট কাটাতে এই উদ্যোগ ভ‚মিকা রাখবে। কেননা কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে অনেকে চাকরি হারিয়েছেন, অনেকের আয় কমে গেছে। ফলে দারিদ্র্য বেড়েছে।
এই ধাক্কা থেকে দরিদ্র হয়ে পড়া ব্যক্তিদের আর্থিক অবস্থা পুনরুদ্ধারে সহায়তা করার জন্য প্রকল্পটি শ্রমনির্ভর কাজে নিযুক্ত করে ঝুঁকিপূর্ণ গ্রামীণ জনগণের তাৎক্ষণিক সামাজিক সুরক্ষা এবং জীবন-জীবিকার ক্ষেত্রে সহায়তা করবে। এই ঋণের সুদের হার ২ শতাংশ এবং চার বছরের রেয়াতকালসহ ৩৪ বছরে বাংলাদেশকে পরিশোধ করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।