মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মার্কিন নির্বাচনে ডাকযোগে ব্যালটে জালিয়াতির আশঙ্কা আগেই প্রকাশ করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সে কারণেই ডাক বিভাগের ব্যায়সংকোচ করে তিনি নির্বাচন বানচালের মতলব করছেন বলে বিরোধীদের অভিযোগ। এবার সংসদেও এ বিষয়ে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের মধ্যে সংঘাতের আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে।
করোনা সংকটের সময় ভোটগ্রহণ আদৌ সম্ভব করতে বিভিন্ন রাজ্যে সব ভোটারদের ডাকযোগে ভোট দেবার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে ডেমোক্র্যাটিক গভর্নররা এমন ‘মেল-ইন’ ব্যালটের উদ্যোগ নিচ্ছেন। ফলে দেশের প্রায় অর্ধেক ভোটার ডাকযোগে ভোট দিতে পারেন। কিন্তু ট্রাম্প এমনই এক সংকটের সময়ে ডাক বিভাগের ব্যয়সংকোচের যে বিতর্কিত পদক্ষেপ নিয়েছেন, তার ফলে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে। সে ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল জানতে দীর্ঘ বিলম্ব ঘটতে পারে।
বিরোধী ডেমোক্র্যাট দল প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে ঘোর দুশ্চিন্তায় পড়েছে। চলতি সপ্তাহেই হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভের অধিবেশনে বিরোধী দল সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে। আগামী নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বড়সড় বিপর্যয় প্রতিরোধ করতে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেবার উদ্যোগ নিতে চান নিম্ন কক্ষের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। করোনা সংকটের মাঝে সংসদের অধিবেশন আয়োজন মোটেই সহজ কাজ নয়। সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে জনপ্রতিনিধিরা সংসদের বদ্ধ কক্ষে সশরীরে উপস্থিত থেকে বিতর্কে যোগ দেবেন, ভোটাভুটিতে অংশ নেবেন, এমনটা আশা করা কঠিন। তবে পরিস্থিতির চাপে রোববার এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন পেলোসি।
এমন এক প্রেক্ষাপটে ডাক বিভাগের অবকাঠামো ও কাজকর্ম খতিয়ে দেখতে মার্কিন পোস্ট মাস্টার জেনারেল লুইস ডিজয় ও অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের কংগ্রেসে তলব করেছেন ডেমোক্র্যাটিক দলের নেতারা। ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের ফলে দেশজুড়ে চিঠিপত্র বিলির গতি ইতোমধ্যেই যেভাবে কমে গেছে, তার ফলে পোস্টাল ব্যালটকে ঘিরে ব্যবস্থাপনা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ছেন বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধিরা। ডাক বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের জেরা করে পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করতে চান তাঁরা। প্রয়োজনে পালটা পদক্ষেপ নিয়ে ডাক বিভাগের কাজে বিঘ্ন দূর করার কথাও ভাবছেন তারা। আইনি পথে ডাক বিভাগে কোনো রকম পরিবর্তন রোখার চেষ্টা করতে পারেন তারা। বেশ কয়েকটি রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে এমন আভাস দিয়েছেন।
বিরোধীদের অভিযোগ, জনমত সমীক্ষায় পিছিয়ে পড়ে নভেম্বরের নির্বাচন বানচাল করার মতলব করছেন ট্রাম্প। তিনি কোনো প্রমাণ ছাড়াই বার বার দাবি করে চলেছেন, যে বেশি ‘মেল-ইন’ ভোট দেয়া হলে জালিয়াতি হতে পারে। অথচ ২০১৬ সালের নির্বাচনে প্রতি চার জন ভোটারের মধ্যে একজন এভাবে ভোট দিয়েছিলেন।
সবকিছু পরিকল্পনামাফিক চললে ডেমোক্র্যাটিক দল ২০২০ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে ডাক বিভাগের সব পরিবর্তন নাকচ করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে শনিবারই এক প্রস্তাব অনুমোদন করতে পারে। তবে সংসদের নিম্ন কক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা কাজে লাগিয়ে সেটা সম্ভব হলেও উচ্চ কক্ষে ক্ষমতাসীন রিপাবলিকাল দল বাধা সৃষ্টি করতে পারে। তাই রাজ্য স্তরেও একই উদ্যোগ নিয়ে ও একাধিক আদালতের শরনাপন্ন হয়ে চাপ বাড়াতে চায় বিরোধীরা। ট্রাম্পের প্রচার অভিযানের আর্থিক মদতদারা হিসেবে পোস্ট মাস্টার জেনারেল ডিজয় সংসদে আসতে অস্বীকার করলে ডাক বিভাগের পরিচালকমণ্ডলীর মাধ্যমে তাকে পদচ্যুত করার কথাও ভাবছে ডেমোক্র্যাটরা।
বিকল্প পদক্ষেপ হিসেবে করোনা সংকটের কারণে ডাকবিভাগের জন্য এককালীন বাড়তি আর্থিক অনুদানের উদ্যোগের কথাও ভাবছে ডেমোক্র্যাটরা। ট্রাম্প প্রথমে এমন পদক্ষেপের বিরোধিতা করলেও কোনো বৃহত্তর প্যাকেজের অংশ হিসেবে ডাকবিভাগের জন্য বাড়তি অর্থসংস্থানের পথে বাধা না দেবার ইঙ্গিত দিয়েছেন। রিপাবলিকান দলের একাংশও এমন অনুদানের পক্ষে। সূত্র: ডয়চে ভেলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।