নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে আসাই বড় অর্জন ছিল আরবি লাইপজিগের। তবে এখানেই যাত্রা থামাতে চায়নি তারা। স্প্যানিশ জায়ান্ট অ্যাতলাটিকো মাদ্রিককে হারিয়ে আরও বড় বিস্ময় উপহার দিয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে জার্মান ক্লাবটি।
গতপরশু রাতে পর্তুগালের লিসবনে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এক লেগের কোয়ার্টার ফাইনালে ২-১ গোলে অ্যাটলেটিকোকে হারিয়ে দেয় লাইপজিগ। শেষ মুহূর্তের গোলে ইতিহাস গড়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে উঠেছে মাত্র ১১ বছর আগে ফুটবলের আঙিনায় পথচলা শুরু করা ইউলিয়ান নাগেলসমানের দল। ১৯ আগস্ট শেষ চারে তারা খেলবে পিএসজির বিপক্ষে। আগের দিন আতালান্তাকে ২-১ গোলে হারিয়ে সেমি-ফাইনালে ওঠে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা।
লিসবনে যাওয়ার আগেই একটা ধাক্কা খেয়েছিল অ্যাটলেটিকো। কোভিড-১৯ পরীক্ষায় পজিটিভ ফল আসে তাদের ফরোয়ার্ড আনহেল কোররেয়া ও ডিফেন্ডার সিমে ভারসালিকোর। সেই ধাক্কা যেন আর সামলে উঠতে পারল না তারা। ম্যাচের শুরু থেকেই পড়ে তার ছাপ। আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে জমে উঠে অ্যাটল্যাটিকো-লাইপজিগ লড়াই। তবে প্রথমার্ধে আসেনি কাক্সিক্ষত গোল। বিরতির মিনিট পাঁচেক পর এগিয়ে যায় লাইপজিগ। ডান দিক থেকে আসা ক্রস থেকে হেডে গোল করে দানি ওলামো। ৭১ মিনিটে জোয়াও ফিলিক্সকে ডি বক্সে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় অ্যাটলেটিকো। তা থেকে ফিলিক্স গোল শোধ করে দিলে ফের ম্যাচে আসে প্রাণ। ৮৮ মিনিটে স্প্যানিশ জায়ান্টদের স্তব্ধ করে দেন টেইলর অ্যাডামস। তার নিচু শট প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে জালে জড়িয়ে যায়। বাকি সময়ে ম্যাচে ফেরার প্রাণপণ চেষ্টা করে আতলেতিকো; কিন্তু আর গোলের দেখা পায়নি তিনবারের রানার্সআপরা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বে প্রথমবারের মতো কোনো জার্মান দলের বিপক্ষে হেরে বিদায় নিল মাদ্রিদের দলটি। প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে পা রাখার উৎসবে মাতে লাইপজিগ।
২০০৯ সালে নতুন রূপে, নতুন মালিকানায় যাত্রা শুরু করা লাইপজিগ পঞ্চম বিভাগ থেকে ৯ বছরের মধ্যে জার্মানির শীর্ষ লিগে ওঠে ২০১৬ সালে। এবার বুন্দেসলিগায় হয়েছে তৃতীয়। চার বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে এসে প্রথমবার নকআউটে উঠেই সেমি-ফাইনালে জায়গা করে নিল দলটি।
শেষ ষোলোয় গতবারের রানার্সআপ টটেনহ্যাম হটস্পারকে হারানোর পর এবার ২০১৪ ও ২০১৬ সালের ফাইনালিস্ট অ্যাটলেটিকোকে হারাল লাইপজিগ। এমন জয়ে সেমি-ফাইনালে ওঠার পর তাদের সাফল্যেরক্ষুধা যেন আরও বেড়ে গেছে। তাইতো দলটির কোচ নাগেলসমান কোনোরকম জড়তা ছাড়াই জানিয়ে দিলেন, এবার তাদের মনোযোগ পিএসজিকে ঘিরে, লক্ষ্য ফাইনাল। ক্লাব ঐতিহ্য বা সাফল্যের ইতিহাস-সব দিক বিবেচনাতেই অনেক এগিয়ে প্যারিসের দলটি। তবে এতটা কঠিন পথ পাড়ি দেওয়ার পর এখানে থামতে চান না লাইপজিগ কোচ। ম্যাচ শেষে আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে সে কথাই বললেন তিনি, ‘পরের রাউন্ডে ওঠার পর স্বাভাবিকভাবেই চাওয়া বাড়বে। আজ আমরা আনন্দিত। আগামীকাল (গতকাল) আমরা পিএসজির দিকে নজর দিব। সেটা আরেকটি কঠিন ম্যাচ হবে, তবে আমাদের একটা পরিকল্পনা আছে। এটাই স্বাভাবিক যে আমরা এখন ফাইনালে উঠতে চাই। লক্ষ্য পরিষ্কার। যখন সেখানে পৌঁছাব তখন আবার কথা হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।