Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মারামারি চমেক হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৪ আগস্ট, ২০২০, ১:৫৭ পিএম | আপডেট : ২:০৬ পিএম, ১৪ আগস্ট, ২০২০

মেডিকেল কলেজ ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মারামারির পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন শুরু করেছেন।
শুক্রবার সকাল থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা হাসপাতালে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। এছাড়া সকাল থেকে তারা ক্যাম্পাসে মিছিল-সমাবেশ করেন। ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে বাঁশ দিয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেন। চমেক হাসপাতালের বিভিন্ন ফটকেও তারা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে।এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ূন কবীর বলেন, জুলাই মাসে কিছু কিছু ইন্টার্ন চিকিৎসক কাজে যোগ দিয়েছেন। এতদিন ইন্টার্ন চিকিৎসক ছাড়াই সেবা দিয়েছি। তারা নিজেরা-নিজেরা মারামারি করে ধর্মঘট ডেকেছে। তাদের বলেছি, আন্দোলনটা যেন নিয়মতান্ত্রিক হয়। রোগীদের যেন কোনো দুর্ভোগ না হয়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরীর চকবাজার থানার চট্টেশ্বরী সড়কে চমেকের প্রধান ছাত্রাবাসে আধিপত্য নিয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত ইন্টার্ন চিকিৎসক এবং কলেজে বিভিন্ন বর্ষের ছাত্রদের দুই গ্রুপে মারামারি হয়। এক পক্ষ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর এবং অপর পক্ষ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী।
এ ঘটনার জের ধরে রাতে ছাত্রাবাস সংলগ্ন গুলজার মোড়ে আরেক দফা মারামারিতে আহত হন ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের (আইডিএ) আহ্বায়ক ওসমান গণিসহ তিন জন। এর মধ্যে ওসমান চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। মারামারি-হামলার জন্য উভয়পক্ষ একে-অন্যকে দায়ী করছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর থেকেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দেন ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা। কিন্তু চমেকের ছাত্রাবাসে তাদের কয়েকজন অবস্থান করছিলেন। চমেকে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত আরেক গ্রুপের নেতাকর্মীরা হলে উঠতে গেলে সংঘাত দেখা দেয়।

চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রুহুল আমীন বলেন, বিকেলে একদফা এবং রাতে আরও একদফা মারামারি হয়েছে। ক্যাম্পাসে এবং ছাত্রাবাসে পুলিশ মোতায়েন আছে। কেউ মামলা করেনি।
এর আগে গত ১২ জুলাই চমেক ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে মারামারিতে কমপক্ষে ১৩ জন আহত হন। এরপর শিক্ষা উপ মন্ত্রীর অনুসারী চমেক ছাত্রলীগের নেতা খোরশেদুল আলম বাদী হয়ে ১১ চিকিৎসকসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সংঘর্ষ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ