Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসরায়েল-আমিরাতের চুক্তি আল-আকসার সঙ্গে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’: প্রেসিডেন্ট আব্বাস

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ আগস্ট, ২০২০, ১২:১৬ পিএম

ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে ইসরায়েলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ও পূর্ণাঙ্গ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে সংযুক্ত আরব আমিরাত জেরুজালেম ও আল-আকসা মসজিদের সঙ্গে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ করল বলে অভিহিত করেছেন। খবর রয়টার্সের।

ফিলিস্তিন টিভিতে প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেইনাহ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এই পদক্ষেপকে আরব শান্তি উদ্যোগ এবং আরব ও ইসলামিক সম্মেলনে নেওয়া সিদ্ধান্তের প্রতি আঘাত, একই সঙ্গে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে আগ্রাসন হিসেবেই দেখছে ফিলিস্তিনি নেতৃত্ব।’

‘লজ্জাজনক এই চুক্তি’ থেকে আমিরাতকে সরে আসার আহ্বান জানিয়ে ফিলিস্তিনি নেতৃত্ব বলেছে, ‘আমিরাত যা করছে, সেটা ফিলিস্তিনি নেতৃত্ব প্রত্যাখ্যান করছে এবং এটাকে জেরুজালেম, আল-আকসা মসজিদ এবং ফিলিস্তিনিদের স্বার্থের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে দেখছে।’

বিবৃতির বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ওয়াফা বলেছে, অবৈধভাবে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখলের ইসরায়েলি পরিকল্পনা স্থগিত রাখার সঙ্গে আমিরাত কিংবা কোনো দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার যোগসূত্র টানার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছে ফিলিস্তিনি নেতৃত্ব।
বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের চাপের কাছে ভ্রাতৃপ্রতিম আরব দেশগুলোর নতিস্বীকার, আমিরাতের পদাঙ্ক অনুসরণ এবং ফিলিস্তিনিদের স্বার্থের বিরুদ্ধে গিয়ে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে সতর্ক করা হয়।

এতে আরো বলা হয়, ‘আমিরাত কিংবা অন্য কোনো পক্ষের ফিলিস্তিনিদের হয়ে কথা বলার কোনো অধিকার নেই। ফিলিস্তিনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ অথবা নিজেদের মাতৃভূমিতে তাদের বৈধ অধিকার নিয়ে তাদের হয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি অনুমোদন করবে না ফিলিস্তিনি নেতৃত্ব।’
এমন মারাত্মক পরিস্থিতিতে ইসরায়েল-আমিরাত চুক্তি প্রত্যাখ্যান করতে আরব লীগ ও ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা-ওআইসির জরুরি বৈঠক ডাকার আহ্বান জানিয়েছে ফিলিস্তিনি নেতৃত্ব।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার জানায়, ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত দুই দেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপনে রাজি হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ আল নাহিয়ান এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, ‘এই ঐতিহাসিক অগ্রগতি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির অগ্রযাত্রায় সাহায্য করবে।’

ইসরায়েলের সঙ্গে এতদিন পর্যন্ত কোনো উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিল না। বিগত বছরগুলোতে ইসরায়েলের গোপনে সম্পর্ক বজায় রাখলেও এখন সেটাকে আনুষ্ঠানিক রূপ দিতে যাচ্ছে আমিরাত।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওই ঘোষণার পর নেতানিয়াহু হিব্রুতে টুইটে বলেন, এটা ‘এক ঐতিহাসিক দিন’ বলে।



 

Show all comments
  • nizam ১৪ আগস্ট, ২০২০, ১২:২৮ পিএম says : 0
    arob hose pochimader dalal
    Total Reply(0) Reply
  • nizam ১৪ আগস্ট, ২০২০, ১২:২৯ পিএম says : 0
    soudi hoche pochimader dalal
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফিলিস্তিন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ