বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের বেঁধে দেয়া স্বাস্থ্যবিধি কোনো গণপরিবহনে না মানায় ৬০ শতাংশ বর্ধিত বাসভাড়া অবিলম্বে প্রত্যাহার করার জোর দাবি উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এ নিয়ে প্রতিনিয়ত ক্ষোভ জানিয়ে ফেসবুকে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন নেটিজেনরা। তারা স্বাস্থ্যবিধি না মানার অসংখ্য ঘটনা তুলে ধরে অবিলম্বে আগের ভাড়া বহাল রাখার জোর দাবি তুলেছেন।
জানা যায়, করোনাভাইরাসের কারণে সরকার গণপরিবহনে ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি করলেও অনেক ক্ষেত্রে বাস মালিকরা ২০০% বেশি ভাড়া নিয়ে থাকে। এমনকি ডাবল সিটে যাত্রী বসিয়ে ভাড়া নেয় ৬০% বেশি। এ নিয়ে প্রায় কথা কাটাকাটি এমনটি মারামারিও হচ্ছে রাজধানীসহ বিভিন্ন রুটে। আর যেসব শর্ত অনুসরণ করে বর্ধিত ভাড়া আদায়ের কথা বলা হয়েছিল, তার কোনোটাই মানা হচ্ছে না বাসগুলোতে। সেই পুরনো কায়দায় গাদাগাদি করে যাত্রী বহন করা হচ্ছে। এতে করোনা সংকটে কর্মহীন ও আয় কমে যাওয়া দেশের সাধারণ মানুষের যাতায়াত দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।
এদিকে করোনা সংকটে গণপরিবহনে ৬০ শতাংশ বর্ধিত বাসভাড়া অবিলম্বে প্রত্যাহার করে আগের ভাড়া বহাল রাখার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতি।
ফেসবুকে আবু বকর লিখেছেন, ‘‘করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে জনসাধারণের আয় রোজগার কমেছে, অন্যদিকে বিশ্ব বাজারে জ্বালানী তেলের দাম কমেছে, স্বাস্থ্য বিধির দোহাই দিয়ে ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে, কিন্তু কোথাও স্বাস্থ্যবিধী মানা হচ্ছে না, ভাড়া নিচ্ছে দ্বিগুন এবং দুই সিটেই লোক নিচ্ছে। তাই বাস সার্ভিস সহ সকল গণপরিবহনে ভাড়া আগের মতো করার জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করছি।
মামুন আহমেদ উল্লাহ লিখেছেন, ‘‘গণপরিবহন প্রতি সিটে লোক বসিয়ে প্রত্যেক জনের কাছ থেকে ডবল ভাড়া নিচ্ছে! তার মানে সরকার ভাড়া দ্বিগুণ করেছে ওরা করেছে চারগুণ! করোনার এই দুঃসময়ে যেখানে মানুষের আয় রোজগার নেই সেখানে গণপরিবহনের ভাড়া কেন বাড়ালো অবৈধ সরকার সেটা আমাদের মত মানুষের বোধগম্য হচ্ছে না। গাড়ি চালকদের জন্য এত দরদ থাকলে প্রয়োজন হলে অতিরিক্ত ৬০% পার্সেন্ট ভাড়া সরকার নিজের পকেট থেকে দিক।’’
কামাল রাহী লিখেছেন, ‘‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দয়া করে অনতিবিলম্বে গণপরিবহনের বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহারের নির্দেশ দিন। কারণ আপনার যে মন্ত্রণালয় থেকে বর্ধিতভাড়া আদায়ের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে তার আমলারা প্রাইভেট গাড়িতে চড়ে গণপরিবহনে নয়। আর যারা গণপরিবহন ব্যাবহার করে তারা নিতান্তই সীমিত আয়ের মানুষ এটা ম্যানেজ করা তাদের জন্য বড়ই কষ্টসাধ্য ও যন্ত্রনাদায়ক।’’
শহিদুল ইসলাম লিখেছেন, ‘‘গরীব মানুষকে মারার জন্য যতো রকমের কায়দা কানুন আছে,,, তা বড় লোক, রাজনীতি নেতারা ভালো করে জানে,,,সাধারণ মানুষের কথা কেউ মুল্য দেয় না,,,, বলতে হয় তাই বলে,,,মানুষ দেখানো,।’’
এইচএম সানাউল্লাহ লিখেছেন, ‘‘বাস মালিকেরা হয়তো একটি গুষ্ঠির লোক যার কারনে তারা কোন কিছুই মানছে না।আর সরকার কি যানেনা দেখেনা এদেশে কোন কিছুই ঠিক থাকেনা। তার পরেও ষাট পার্সেন্ট বাড়িয়ে দেওয়ার অর্থই ডালমে কুচ কালা হায়।’’
আইনুল আহমেদ লিখেছেন, ‘‘দেশের প্রতিটি স্থানে জনসমাগম। দূরত্ব বজায়ের নামে আমি শুধু হয়রানি হচ্ছে মসজিদের মুসল্লীরা আর বাসে চড়া যাত্রী গুলি। তাই অবিলম্বে অতিরিক্ত বাসবাড়া প্রত্যাহার করা হোক।’’
মাসুদুর রহমান লিখেছেন, ‘‘গতকাল ঢাকায় গিয়েছিলাম, বি বাড়িয়া থেকে ঢাকা, বাসে সিট হলো ৪১ টা, আর যাত্রী হলো ৪৫ জন, এই হলো অবস্থা,,,, আর আগের ভাড়া ছিলো ২০০ টাকা, আর এখন ৩০০ টাকা।। এটা দেখার কেউ নেই।।।
মোঃ মহিন উদ্দীন লিখেছেন, ‘‘অতিরিক্ত ভাড়া প্রত্যাহার এখন সময়ের দাবী। প্রথম দিকে স্বাস্থ্যবিধি কিছুটা মানা হলেও দিনকে দিন গণপরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে। ভাড়াও বাড়তি নিচ্ছে, স্বাস্থ্য বিধি ও মানছে না! যাত্রীরা হয়ে গেছে কলুর বলদ!’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।