Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দক্ষিণ সুদানে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২৭

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ আগস্ট, ২০২০, ১:১২ পিএম | আপডেট : ৭:৪৫ পিএম, ১২ আগস্ট, ২০২০

দক্ষিণ সুদানে সেনাবাহিনীর সাথে বেসামরিক নাগরিকদের সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২৭ জনে। উত্তর-মধ্যাঞ্চলীয় ওয়ারাপ রাজ্যে রবি ও সোমবার এ সংঘর্ষ হয়। এতে ৩২ জন আহত হয়েছে। নিহতদের ৮২ জন বেসামরিক নাগরিক এবং ৪৫ জন সেনা। মঙ্গলবার সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লুল রুয়েই কোয়াং এ তথ্য জানিয়েছেন। -আলজাজিরা

দেশটিতে জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেনে ডুজারিক বলেন, ওই এলাকায় অস্ত্রবিরতি ভাঙ্গার কারণে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। এ অস্ত্রবিরতি শান্তি চুক্তির একটা অংশ। কিছু দিন আগে প্রেসিডেন্ট সালভা কির ও বিরোধী রিয়েক মেচারের মধ্যে শান্তি চুক্তি হয়। ফেব্রুয়ারিতে মেচারকে ভাইস প্রেসিডেন্ট নিয়োগ করেন কির। টনজ ইস্ট কাউন্টির কাউন্সিলর জেমস মেবিয়ার মেকুই বলেন, টনজ ইস্টের একটি মার্কেটে সশস্ত্র লোকজন সেনাবাহিনীর হাতে অস্ত্র জমা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে স্থানীয় নিরস্ত্র লোকজনও যোগ দেয়। দ্রুত এ সংঘর্ষ পাশের গ্রামগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে।

সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লুল রুয়েই কোয়াং বলেন, সশস্ত্র লোকজন সংঘর্ষ কবলিত গ্রামগুলোর কাছের রোমিচ শহরে সোমবার সকালে সেনা ঘাঁটিতে হামলা করে। ডুজারিক বলেন, রোমিচ শহরে কিছু মার্কেটে লুটপাট ও আগুন দেয়া হয়েছে। জীবনের ভয়ে অনেক নারী ও শিশু পালিয়ে গেছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের শান্তি রক্ষীরা সেখানে টহল শুরু করেছে। শান্তি মিশন অস্ত্র জমা দিয়ে শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠায় তাদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছে। পুনরায় সংঘর্ষ এড়াতে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাজনীতিক ও সম্প্রদায় নেতাদের সঙ্গে শান্তি মিশন আলোচনা করছে। ২০১১ সালে সুদান থেকে স্বাধীনতা হয় দক্ষিণ সুদান। দুই বছর পর ডেপুটি রিয়েক মেচারকে অব্যাহতি দেন প্রেসিডেন্ট কির। এরপরই শুরু হয় গৃহযুদ্ধ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দক্ষিণ সুদান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ