Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইন্দোনেশিয়ায় ভয়ঙ্করভাবে জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ আগস্ট, ২০২০, ১০:৪০ এএম

করোনাভাইরাসের আক্রমণে বিশ্ব অস্থির সময় পার করছে। এর মধ্যে আরও কিছু প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দিচ্ছে বিভিন্ন দেশে। এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।

এদিকে ভয়ংকরভাবে জেগে উঠেছে ইন্দোনেশিয়ার আগ্নেয়গিরি মাউন্ট সিনাবাং। ইতিমধ্যে আশপাশের এলাকা ধোঁয়ায় অন্ধকার হয়ে গেছে।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, সুমাত্রা দ্বীপের এ আগ্নেয়গিরি জেগে উঠায় প্রায় ৫ কিলোমিটার পর্যন্ত ধোঁয়ায় ঢেকে গেছে। আকাশেও অনেক দূর পর্যন্ত ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে। চারপাশে ছড়িয়ে ছাই পড়েছে।

এর আগে ২০১০ সালে ৪০০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো জেগে ওঠে মাউন্ট সিনাবাং। তবে এর সবচেয়ে ভয়ংকর রূপ দেখা যায় ২০১৬ সালে। সে বছর অগ্ন্যুত্‍‌পাতের কারণে ৭ জনের মৃত্যু হয়।

সম্প্রতি আবার জেগে উঠতে শুরু করেছে আগ্নেয়গিরিটি। গত সপ্তাহেও দুবার ছোট দুটি অগ্ন্যুত্‍‌পাতের ঘটনা ঘটে।

সোমবার সকাল থেকে ভয়ংকর আকার ধারণ করে মাউন্ট সিনাবাংয়ের অগ্ন্যুৎপাত। তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সতর্ক করে বলেছে, আরও অগ্ন্যুপাতের আশঙ্কা রয়েছে।

ইন্দোনেশিয়ার ভলক্যানোলজি অ্যান্ড জিওগ্রাফিক্যাল হ্যাজার্ড মিটিগেশন সেন্টারের এক কর্মকর্তা জানান, স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতি সতর্কবার্তা জারি করা হচ্ছে। সিনাবাংয়ের কাছে রেড জোন এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

আগ্নেয়গিরিটির পাশে আগেই নো-গো জোন ঘোষণা করেছিল কর্তৃপক্ষ। ফলে সেখানে এখন কেউ বসবাস করে না।

তবে কাছেই বসবাসকারী ছোট একটি উপজাতি সম্প্রদায়ের গ্রাম নামান তেরান অগ্ন্যুত্‍‌‌পাতের কারণে ছাইয়ের আস্তরণে ঢেকে গেছে।

গ্রামটির বাসিন্দা রেনকানা সিতেপু বলেন, পুরো ব্যাপারটি অনেকটা ম্যাজিকের মতো হলো। ছাইয়ের আস্তরণে মুহূর্তের মধ্যে যেন রাত নেমে এলো আমাদের এলাকায়।

প্রায় ২০ মিনিট সম্পূর্ণ অন্ধকার ছিল নামান তেরান গ্রাম। ফলে বেশ কিছু ফসলও নষ্ট হয়েছে বলে তিনি জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইন্দোনেশিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ