বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঠাকুরগাঁওয়ে এক ইউপি চেয়ারম্যানের ডাকা সালিশ বৈঠকে সালিশ নিষ্পত্তির উদ্দেশ্য নিয়ে বসা দুই গ্রুপের সংঘর্ষে পড়ে আহত হন খোদ চেয়ারম্যানসহ মোট চারজন। সদর উপজেলার বড়গাঁও ইউনিয়নে একটি সালিশ বৈঠকে এ ঘটনা ঘটে । এ ব্যাপারে ৫ জনকে আটক করেছে সদর থানার পুলিশ।
বড়গাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম।আহতরা হলেন- বড়গাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রভাত কুমার সিং (৫৫), গ্রাম পুলিশ আতাউর রহমান (৫৫), কুলসুম আক্তার (২৭) ও ফিরোজ (২৫)।এলাকাবাসী জানান, ১০ বছর আগে বড়গাঁও ইউনিয়নের আরাজি-সরকারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হামিদের ছেলে সোহেল রানার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী দেবীপুর ইউনিয়নের পয়সাফেলা গ্রামের মজিবর রহমানের মেয়ে কুলসুম আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের একটি মেয়েও হয়। প্রায় দেড় মাস আগে বজ্রপাতে সোহেল রানার মৃত্যু হয়। সোহেল রানা মারা যাওয়ার পর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের কাছ এক বিঘা জমি দাবি করে কুলসুম আক্তার। এ নিয়ে কুলসুমের উপর নির্যাতন শুরু করে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। বিষয়টি নিয়ে মিমাংসার চেষ্টা করা হলেও কোনো সমাধান হয়নি।সোহেলের বাবার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বড়গাঁও ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাত কুমার সিং ঘটনার দিন দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে সালিশ বৈঠকের আয়োজন করেন।কিন্তু সালিশ বৈঠক চলাকালে দুপক্ষের মধ্যে প্রথমে বাকবিতণ্ডা ও পরে মারপিটের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি শান্ত করতে ইউপি চেয়ারম্যান এগিয়ে গেলে তিনিসহ আরও তিনজন আহত হন।আহত হওয়ার কথা স্বীকার করে চেয়ারম্যান প্রভাত কুমার সিং জানান, ‘এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’সদর থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম বলেন, খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।