মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
লেবাননকে ফ্রান্সের শাসনে অন্তর্ভুক্ত করতে অন্তত ৬০ হাজার নাগরিক একটি পিটিশনে স্বাক্ষর করেছেন। যেখানে তারা দাবি জানিয়েছেন, আগামী ১০ বছর লেবাননকে ফ্রান্সের শাসনে পরিচালনার জন্য। মঙ্গলবার বৈরুতে ব্যাপক বিস্ফোরণের পর পুরো এলাকা লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। তারপরই ফরাসী শাসনের অধীনে রাষ্ট্র পরিচালনার দাবি জোরালো হয়েছে।
সরকারের বিরুদ্ধে দেশবাসীর ক্ষোভের মধ্যেই আজ লেবাননের প্রেসিডেন্ট দাবি করলেন, মঙ্গলবারের ভয়াবহ বিস্ফোরণের পিছনে ‘বহিরাগত কোনও শক্তির’ ভূমিকা থাকতে পারে। আজ সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রেসিডেন্ট মিশেল ওউন বলেছেন, ‘‘বাইরে থেকে নাশকতার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। হয়তো রকেট ছোড়া হয়েছিল, হয়তো বা বোমা বা অন্য কিছু।’’ সরকারি ভাবে এই বিস্ফোরণে ১৫৭ জনের মৃত্যুর কথা বলা হলেও ১২০ জন এখনও খুবই সঙ্কটজনক অবস্থায় রয়েছেন। নিখোঁজ বহু। লন্ডভন্ড শহরের রাস্তায় রাস্তায় সর্বহারা মানুষের হাহাকার।
বর্তমানে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট চলছে লেবাননে। সেই সঙ্গে অব্যাহতভাবে বাড়ছে রাজনৈতিক জটিলতা। এসবের জন্য দেশটির রাজনীতিবিদদের দায়ী করছেন সাধারণ মানুষ। পিটিশনে বর্তমান প্রেক্ষাপট তুলে ধরে ফরাসী শাসন কার্যকরের দাবি জানানো হয়।
‘রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনায় লেবাননের শাসকরা চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হয়েছেন। দুর্নীতি, সন্ত্রাসবাদ, বিদ্রোহী সংকটে পর্যুদস্ত দেশটি ধ্বংসের কিনারে দাঁড়িয়েছে। আমাদের বিশ্বাস স্বচ্ছ এবং স্থায়ী সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনে লেবাননের উচিৎ ফ্রান্সের শাসনে ফিরে যাওয়া।’ পিটিশনে উল্লেখ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন শহরে হেঁটে বেড়ান ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। কাছ থেকে পরিদর্শন করেন দুর্ঘটনাস্থল। সঙ্গে ছিলেন লেবাননের প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন। দুর্ঘটনার পররপই ত্রাণ ও উদ্ধারকারী বাহিনীর সঙ্গে লেবাননে আসেন ম্যাক্রোঁ। তারপরই পপুলার পিটিশনের বিষয়টি শুরু হয়।
লেবাননে ফরাসী প্রেসিডেন্টের সফর ব্যাপক উচ্ছ্বাসের সঙ্গে স্বাগত জানান দেশটির সাধারণ মানুষ। ক্ষতিগ্রস্তদের দেয়া ফরাসী সহযোগিতা সরকারের মাধ্যমে না দিয়ে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠেনর মাধ্যমে বিতরণের আহ্বান জানান তারা। বলেন, রাজনীতিবিদরা দুর্নীতিগ্রস্ত।
বৈরুতের শহরতলীতে সরকারবিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভে সংঘাতে জড়ায় আন্দোলনকারী ও নিরাপত্তা বাহিনী। এসময় সরকারের পদত্যাগ দাবি করেন বিক্ষোভকারী জনতা।
ইতিহাসের ভয়াবহ আর্থিক সংকটে ভুগছে লেবানন। ওই সংকটের মধ্যে করোনা ভাইরাসের মহামারী মোকাবিলা করতে হিমশিম খাচ্ছে সরকার। মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে এসেছে বৈরুতের বিস্ফোরণ। এতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৫০ জন নিহত হয়েছে। আহত ৫ হাজারের বেশি। নিখোঁজ রয়েছে ৬০ জন। কমপক্ষে ৩ লাখ মানুষ বাড়ি ঘর হারিয়েছে। আর্থিক ক্ষতি ১৫শ’ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি বলে জানিয়েছে শহর কর্তৃপক্ষ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।