পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান ইন্তেকাল করেছেন। গত মঙ্গলবার রাতে বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭৮ বছর। গতকাল বুধবার চারটি জানাযা শেষে রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে স্ত্রীর কবরের পাশে মরহুম আবদুল মান্নানকে দাফন করা হয়। বুধবার সকালে অ্যাম্বুলেন্সে করে তার কফিন নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আনার পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ সিনিয়র নেতারা পুস্পস্তবক অর্পণ করে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময়ে তার কফিন দলীয় পতাকা দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়। ঢাকা জেলাসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে তার কফিনের পুস্পমাল্য অর্পন করা হয়।
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর কার্যালয়ের সামনে মরহুমের প্রথম নাজাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মহাসচিব ছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, হাবিব উন নবী খান সোহেল, নাসির উদ্দিন অসীম, মীর সরফত আলী সপু, কায়সার কামাল, আবদুস সালাম আজাদ, রফিক শিকদার, ইশরাক হোসেন, খন্দকার আবু আশফাক, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসেইন, ছাত্রদলের ফজলুর রহমান খোকনসহ কয়েক‘শ নেতা-কর্মী অংশ নেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আবদুল মান্নান সাহেব শুধু দলের ভাইস চেয়ারম্যানই ছিলেন না, তিনি এদেশের একজন প্রতিথযশা কর্মী মানুষ ছিলেন। এরকম সৎ, এরকম আন্তরিক, এরকম নিষ্ঠাবান, এরকম যোগ্য মানুষকে রাজনীতিতে আমি খুব কম দেখেছি। তিনি যখন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেও ছিলেন তখন বাংলাদেশ বিমান প্রফিট করেছিলো এবং সেই প্রফিটের টাকা দিয়ে তিনি লন্ডনে বিমানের একটা স্থায়ী অফিস করেছিলেন, সকল বকেয়া ঋণ পরিশোধ করেছিলেন। আবদুল মান্নান ঢাকা জেলার সভাপতিরও দায়িত্ব পালন করেছেন। তার মৃত্যু বিএনপির নেতা-কর্মী বিশেষ করে ঢাকা জেলার নেতা-কর্মীর জন্য অনেক দুঃখের অনেক কষ্টের।
এরপর তার লাশ নেয়া হয় ধানমন্ডি ঈদগাহ মাঠে, সেখান থেকে নবাবগঞ্জের রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এবং বেলা ৪টায় দোহার-নবাবগঞ্জ কলেজ মাঠে সর্বশেষ জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৯১ সালে বিএনপি সরকারে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন আবদুল মান্নান। ঢাকা-২ আসনে (নবাবগঞ্জ- দোহার) ১৯৯১ সালে থেকে চার বার ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপির এমপি নির্বাচিত হন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।