বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আপন দুলা ভাইয়ের সাথে শারীরিক যৌনতায় জড়িয়ে পড়ে শ্যালিকা। ঘটনাটি চোখে পড়ে যায় শাশুড়ির। পরিণতিতে জীবন গেল তার। গলা কেটে হত্যা করে নিজ কন্যা ও মেয়ে জামাই। হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে ঘটেছে এ নির্মমতা। পুলিশ আটক করেছে হত্যাকারী কন্যা ও মেয়ে জামাইকে। বুধবার (৫ আগস্ট) দুপুরে হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন এ তথ্য। নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও গ্রামের হিরন মিয়ার বাড়িতেই বসবাস করতেন মোগল মিয়া। সে হিরন মিয়ার মেয়ে সৌদি প্রবাসী জেসমিন আক্তারের স্বামী। সেই সুবাধে শিশুপূত্র ইয়াসিনকে নিয়েই শশুরালয়েই থাকে মোগল। একপর্যায়ে স্ত্রীর ছোট বোন শান্তি বেগমের সাথে ঘনিষ্টতায় জড়িয়ে পড়েন মোগল মিয়া। কিন্ত দৈহিক লীলাখেলা গোপন থাকেননি তাদের। চোখে পড়ে যায় শাশুড়ি ছালেমা বেগমের। তবে পরিবারে মান-সম্মান ও মেয়ের সংসারের কথা ভেবে উভয়কে সর্তক করে দেন তিনি। কিন্তু সর্তক হ্ওয়ার বদলে তারা আরো বেপরোয়া চালাতে থাকে অবাধ মেলামেশা। ঘটনার দিন (১ আগস্ট) ঈদ-উল আজহার রাতে বসত ঘরের মেঝেতে উভয়ে শুরু করে শারীরিক উম্মাদনা। ছলেমা বেগম এ দৃশ্য দেখে চিৎকার করে উঠেন। এসময় জামাতা মোগল মিয়া ও মেয়ে শান্তি বেগম মিলে ছলেমা বেগমের মুখ চেপে ধরে। এরপর দা দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে ছালেমা বেগমকে। ছালেমা বেগমের মৃত্যু নিশ্চিত করে, ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে মেয়ে শান্তি বেগম ডাকাত ডাকাত বলে সু-চিৎকার শুরু করে। অপরদিকে, রক্তমাখা কাপড় পরিবর্তন করে ঘুমের ভান করে বিছানায় শুয়ে পড়ে জামাতা মোগল মিয়া। শান্তির সুর-চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে, সে জানায় তার মাকে হত্যা করে পালিয়েছে ডাকাতরা। পুলিশ সুপার প্রেস বিফিংয়ে জানান, এ ঘটনায় নিহতের স্বামী হিরন মিয়া দায়ের করেন একটি মামলা। পুলিশ দুই ঘাতক সহ চার জনকে আটক করতে সমর্থ হয়েছে। আটককৃতরা হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে ১৬৪ ধারায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।